আমি লজ্জিত,এই একুশ শতকে এসেও আমাদের মাঝ থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিষ গেল না।এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় উপমহাদেশে আসার পূর্বে সাম্প্রদায়িকতা ছিল কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।ব্রিটিশরা এলো শাসন করতে। কিন্তু,ব্রিটিশরা এত বড় রাজ্যে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা নিয়ে ভয় পেতে লাগলেন,ক্ষমতা হারানোর ভয়।তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের জনসংখ্যা ছিল বিশ কোটি।ব্রিটিশদের বিশ কোটি গুলিও ছিল না।তখন ব্রিটিশরা বিভিন্ন পরিকল্পনা করতে থাকেন। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি যার অন্যতম।তারা "ডিভাইড এন্ড রুল" নীতি প্রণয়নে সচেষ্ট হন।হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিতে যে ব্যক্তি প্রধান ভুমিকাপালন করেন তার নাম লে: কর্নেল জেমস টড এবং তার লেখা দুই খন্ডের বই " এনাল এন্ড এন্টিকুইটিস অব রাজস্থান"।
ব্রিটিশদের এই নীতি সফল হয়েছিল।তারা অবিভক্ত বাংলার স্বাধীনতাকে আটকে দিয়েছিল ১৯০ বছর ৬ মাস ১৬ দিনের জন্য।ভারত,পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সৃষ্টি,যা এই নীতিরই ফলাফল মাত্র।এখানেই শেষ নয়,আমাদের বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব এখনও কাটেনি।আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজও এর বাইরে নয়।কেউ কেউ শিক্ষিত হয়েও অন্ধ।আর কতদিন আমরা সাম্প্রদায়িকতার বোঝা নিয়ে চলব?সেইম অন আস।এখন সময় হয়েছে রুখে দাড়ানোর।চাই সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্তি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩