আগামী ২৬শে মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সন্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। শুনলাম সরকার এই কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে!! বিভিন্ন স্কুল-কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র ছাত্রীদের সেখানে নেয়া হচ্ছে বাধ্যতামূলকভাবে! শুনলাম গান গাওয়ার পরে লাঞ্চ করাবে। ভালো কথা!! এবার আসি কিছু বিশ্লেষণ এ। একত্রে জাতীয় সংগীত গাইলে কিনবা একত্রে পতাকা বানিয়ে রেকর্ড করে কি আসলেই দেশপ্রেম প্রকাশ পায়??!! আমার অফিসের এক জার্মান কলিগ একবার আমাকে বলেছিলো তারা নাকি স্কুলে জাতীয় সংগীত গায় না এমনকি তাদের দেশে অনেকে নাকি জাতীয় সংগীত জানেও না!! শুধু জার্মানি নয় পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে স্কুলে জাতীয় সংগীত গাওয়ার উদাহরন হয়ত পাওয়া যাবে না। তার মানে কি তাদের মাঝে দেশপ্রেম নেই??!!! উত্তর হচ্ছে ''আছে'' আছে বলেই আজ তারা এত উন্নত!! তারা ২৪ ঘন্টা দেশপ্রেম দেশপ্রেম করে না বরং কাজের মাধ্যমে সেটা করে দেখায়। একটা প্রবাদ আছে ''চোরের মন পুলিশ পুলিশ'' আমাদের অবস্থা হইছে তাই!! যে দেশ দুর্নীতিতে ৫ বার টানা চ্যাম্পিয়ন হয় তাদেরই দরকার পড়ে এইসব রেকর্ড বানিয়ে নিজেদের দেশপ্রেম দেখানোর!! এই ১০০ কোটি টাকা যদি গরীব মানুষগুলোর জন্য খরচ করা হতো হয়ত সেটাই আসল দেশপ্রেম হত। কারন দেশপ্রেম বলতে দেশের মানুষকে প্রেম করা বুঝায় আমি মনে করি। এই ধরনের উদ্ভট কর্মকাণ্ড এদেশে হচ্ছে আরো হবে কারন কোন একটা সমাজ পরিবর্তন করতে পারে তরুণরা। অথচ আমাদের দেশের তরুণরা মনে করে দেশপ্রেম মানে হচ্ছে কেউ যদি কোন খেলায় পাকিস্তান-ইন্ডিয়া কে সাপোর্ট দেয় তাকে গালি দেয়া ক্রিটিসাইজ করা। সারাবছর যারা ব্যস্ত থাকে রেষ্টুরেন্টে খাইতে,গার্ল ফ্রেন্ডদের নিয়া ঘুরতে,যাদের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই দেশে কি হচ্ছে!! তাদের দেশপ্রেম উতলিয়ে পড়ে ফেসবুকে যদি কেউ পাকিস্তান সাপোর্ট করে ক্রিকেটে!! শেষে একটা কথাই বলতে হয়ঃ
''আমার দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে''