আমার পাকি প্রফেসর বদের হাড্ডি হলেও এবারে একটা কোর্স নিচ্ছে যেটা খুব মজার। কোর্সের একটা পর্যায়ে এসে আমাদের প্রাকটিক্যাল কিছু সমস্যা সমাধান করতে হবে। আমি আর আমার গ্রুপ মেট পোলান্ডের ছেলে ক্রিস্তফ পেনারের ভাগ্যে পড়েছে ইন্টেলের যেখানে ইলেকট্রনিক চীপগুলো সিলিকন ওয়েফারের ওপর বসানো হয় সেখানকার একটি সমস্যা। সমস্যাটা খুব কনফিডেনসিয়াল বলে খুব বেশী বলতে পারব না এ নিয়ে। তবে ইন্টেল নিয়ে একটু আলাপ করা যাক।
ইন্টেলের দুটো ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট আছে অ্যারিজোনাতে। আরও একটা সম্ভবত তৈরী হচ্ছে। চ্যান্ডলার নামক শহরে অবস্থিত ইন্টেলের যে প্ল্যান্টে গতকাল গিয়েছিলাম সেটা সবচেয়ে বড়গুলোর মধ্যে একটা। আমি আগেও একবার ইন্টেলে গিয়েছিলাম, তবে সেবারে এমনি দেখতে গিয়েছিলাম, এবারের মতো সমস্যা সমাধানের জন্য নয়।
ভেতরে যাবার আগে সিকিউরিটি জনিত কারনে নাম ধাম, ব্যাজ নেয়া এসব করে নিতে হয়। তারপর সত্যি সত্যি যেখানে কাজ হয় সেখানটায় যাবার প্রিপারেশন খুব সময় সাপেক্ষ। আমরা যে অংশে গিয়েছিলাম যেখানটায় তেমন প্রস্তুতি দরকার ছিল না। শুধু গাউন, গগলস, আর জুতার সাথে মাটির ঘষায় যেন স্ট্যাটিক বিদু্যৎ তেরী না হয় সেজন্য একটা শরীরকে গ্রাউন্ড করার একটি পদ্ধতি।
অনেক বাঙ্গালী কাজ করেন এই ইন্টেলে। তারপরেও আরেকজন বাঙ্গালী হয়ে ইন্টেলের একটি সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসে আমার বেশ ভালই লাগছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০