সারাদিন কাজ করে বাসায় এসে যখন ক্লান্ত, শ্রান্ত দেহে রান্নাঘরে যাই তখন কষ্টের সীমা থাকে না। কিন্তু সেই কষ্ট অনেকাংশে লাঘব হয়ে যায় যখন দেখি কিছু রান্না করলে সেটা মনমত হয়। পাও ভাজীর আর একটা নাম আছে। গতকালই আম্মা ফোনে জানিয়েছিলাম নামটা। কিন্তু এখন ভুলে গেলাম। যাক, এবার দেখে নিন আরো সহজ পদ্ধতিতে রান্না করার রেসিপি।
এবারো দুঃক্ষিত যে, কোন ছবি দিতে পারলাম না বলে। অনেকেই ছবি দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার মূঠোফোনে প্রব্লেম হওয়াতে ছবি এবারো দিতে পারলাম না।
উপকরণঃ
১। মাঝারি বা বড় সাইজের আলু (২/৩ টা)
২। সয়াবিন তেল (পরিমাণমত)
৩। পিয়াজ (১ টা)
৪। আদা র পেস্ট (আধা চামচ)
৫। রসুনের পেস্ট (আধা চামচ)
৬। কাচামরিচ (২ টা)
৭। লবণ (পরিমাণমত)
৮। হলুদের গুড়া (আধা চামচের কম)
৯। মরিচের গুড়া (আধা চামচ)
১০। পাও ভাজি মসলা
১১। ফুলকপি
১২। মটরসুটি
১৩। ক্যাপসিক্যাম (১টা)
১৪। জিরার গুড়া
কিভাবে করবেনঃ
১। একটা পাতিলে পরিমাণমত পানি নিয়ে চুলায় দিয়ে গরম করুন।
২। আলু (ছোট ছোট করে কেটে), ফুলকপি, মটরসুটি, ক্যাপসিক্যাম কেটে পানিতে দিন।
৩। লবণ দিন আধা চামচের মত
৪। সেদ্ধ করুন ভালমত
৫। সেদ্ধ হয়েছে কি না দেখুন। এরপর আলাদা করে পানি ফেলে একটা বড় পাত্রে নিন আলু , ফুলকপি, মটরসুটি, ক্যাপসিক্যাম। আলুর স্ম্যাসার দিয়া ভাল মত পিষিয়ে ফেলুন মিশ্রণটি।
৬। এবার আর একটি পাতিলে পিয়াজ আর মরিচ কেটে তেল দিয়ে ভাজুন।
৭। আদা আর রসুনের পেস্ট দিন এবং ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না পিয়াজ কালো রঙ ধারণ করে
৮। এরপর একে একে হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া, পাও ভাজি মসলা দিন। ভালমত মিশিয়ে নিন।
৯। এভাবে কষানো হলে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ভালমত নাড়ুন যাতে মসলা মিশ্রণটিতে যায়।
১০। লবণ আর জিড়ার গুড়া দিন এবং নাড়ুন ভালমত
১১। মিনিট ২০ পরে নামিয়ে পাতিল নামিয়ে ফেলুন চুলা থেকে।
ব্যাস হয়ে গেল মজাদার পাও ভাজি। যা আপনি রুটি, ভাত, পরাটা দিয়ে খেতে পারবেন।
সাবধানতাঃ ১। লবণ দেয়া যাতে বেশি না হয়। তাই বার বার টেস্ট করে দেখবেন লবণের পরিমাণ।
২। খেয়াল রাখবেন যাতে পাতিলের নিচে লেগে না যায়।
৩। যতবেশি নাড়বেন মিশ্রণটি ততই আপনার মজাদার হবে।
তো হয়ে যাক নতুন কিছু