তখন ময়মনসিংহ শহরের কালিবাড়ী মোড়ের কাছেই এক রুমের বাসা নিয়ে থাকি। পড়ি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে, সাবজেক্ট এগ্রোনমি। সাহিত্য অনুরাগ থাকায় রেলস্টেশনের লাইব্রেরি থেকে সাহিত্য সাময়িকী কিনে আনি পড়ি, আবার টুকটাক কবিতা লেখার চেষ্টা করি। একদিন আমার এলাকা থেকেই প্রকাশিত একটি লিটল ম্যাগ পাই। লেখা পাঠাতে গিয়ে অবাক হই। সম্পাদনা একজন মেয়ের তাও আবার আমার আবাসনের নিকটবর্তী এলাকায়। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বন্ধু সেই সম্পাদিকাকে একদিন দুর থেকে দেখিয়ে দেয়। প্রায়ই দেখি আমার বাসার সামনে দিয়ে এক সে যায়, আসে। পড়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। নাম তসলিমা নাসরিন। সরাসরি একদিন মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসে গিয়ে তাকে লেখা নিজ হাতে দেই। এরপর তারসাথে পরিচয়। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ব্যস্ততা সত্ত্বেও লেখালেখি করি। মাঝে মাঝে তসলিমার সাথে লেখা নিয়ে আলোচনা করি। জানতে পারি রূদ্র নামে এক তরুন কবির সাথে তার দুর্দান্ত প্রেম। এক সময় তার ইন্টার্নি শুরু হয়। সন্ধ্যার পর কলেজে যেতে হয়। আমি মাঝে তার সাথে কিছুটা পথ যাই। মেডিকেল জীবনে তার হাপিয়ে ওঠার গল্প শুনি। বন্ধুত্ব বেড়ে যায়। একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য মাঝে মাঝে আমার রুমে সে আসতে শুরু। যদিও জানি সে সম্পর্কে আবদ্ধ তারপরেও আমি তার প্রতি অনাগ্রহ প্রকাশ করি না। সেও আমার কাছে অন্য জীবন চেপে যায়। ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠ হই। সন্ধ্যার পর কলেজে যেতে হয়। রাত ৮ টায় যেতে হলে মাঝে মাঝে আমার রুমে সে ৬টায় আসে। তবে প্রায় নয় মাঝে মাঝে। এই মাঝে মাঝেই সাহিত্যের পাশে শরীরের রসায়ন এক হয়। সম্পর্কে পৌঁছে শরীরে।
উপরের গল্পটি বিশ্বাস করেছেন কি? বিশ্বাস করা না করা একান্তই আপনার ব্যাপার। এবার আর একটি গল্প বলি
পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্হানীয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তসলিমা নাসরিনের শরীরে হাত দিতে চেষ্টা করেছেন। চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেছেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখার কোন স্হানে তসলিমা বিন্দুমাত্র স্হান পেয়েছিলেন কিনা জানিনা তবে তিনি উপরোক্ত কাজগুলো করার চেষ্টা করেছেন।
এই গল্পটি কি বিশ্বাস করেছেন? বিশ্বাস করা না করা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
উপরে দুটি গল্প রয়েছে। আমার পরামর্শ বিশ্বাস করতে চাইলে দুইটি গল্পই বিশ্বাস করুন আর বিশ্বাস করতে না চাইলে একটিও করবেন না।