somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বঙ্গবন্ধু নিহত হলে ইত্তফোক লিখেছিল জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া একটিঃ

০৯ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের দৈনিক আমাদের সময় হতে উদ্ধৃতঃ
আকিদুল ইসলাম, সিডনি।।
বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার একদিন আগে ১৪ আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যান। তিনি বেগম মুজিবের সঙ্গে দেখা করে এক বাটি রান্না করা বালিহাঁস দিয়ে বলেছিলেন, ‘মুজিবুর বালিহাঁস খেতে খুব পছন্দ করে, ওকে খাইয়ে দিও।’ এই মর্মান্তিক তথ্যটি লেখা হয়েছে মোহাম্মদ হাননান রচিত ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ইতিহাস’ গ্রন্থে। ঘটনাটি সত্য হলে এরচেয়ে ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুরতা আর কিছু হতে পারে না।

এ গ্রন্থের রচয়িতা মোহম্মদ হাননান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে প্রকাশ্য প্রথম প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার স্থপতি নিহত হওয়ার পরদিনই খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ঘাতকের বুলেটের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত প্রিয় নেতার লাশ ডিঙিয়ে খুনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন বঙ্গবন্ধুর চিরকালের অনুগতরা। যারা তাকে নেতার চেয়ে পিতা বলতেই বেশি পছন্দ করতেন।

বঙ্গবন্ধুর রক্ত শুকিয়ে যাওয়ার আগেই তার চাটুকারদের খুনি মন্ত্রিপরিষদে যোগদান যেমন জাতিকে অবাক করেছিল ঠিক তেমনি দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু সংবাদে উল্লাস প্রকাশ দেখে জাতি বিস্ময় মেনেছিল। ইত্তেফাকের সূচনাপর্ব থেকে শুরু করে উত্থানপর্ব পর্যন্ত শেখ মুজিবের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। পরাধীন জনপদে এই কাগজটির সকল বিকাশ ধারায় আওয়ামী প্রধানের ভূমিকা ইতিহাস হয়ে আছে। ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া আর শেখ মুজিবুর রহমান দু’জনই ছিলেন আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের স্বাপ্নিক। রাজনৈতিক নানা মতান্তর থাকলেও মানিক মিয়া ইত্তেফাক নিয়ে সবসময়ই দেশের তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ ও তার প্রধানের পাশে ছিলেন।

’৭৫-এর ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত পটপরিবর্তনের পর ১৬ আগস্ট দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছিল, ‘গতকাল ছিল গতানুগতিক জীবনধারায় একটি ব্যতিক্রম। চলার পথে শক্তি সঞ্চয়ের দিন। তাই আমাদের জাতীয় জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন। দেশের প্রবীণ নেতা খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী দেশের ভার গ্রহণ করিয়াছে। প্রত্যুষে বেতারে এই ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনগণ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিয়া একটি আকাংক্ষিত সূর্যরাঙা প্রভাত দেখিতে পায়। মনের ভাব প্রকাশের জন্য রাস্তায় নামিয়া পড়ার ইচ্ছা থাকিলেও শান্তিপ্রিয় জনগণ নয়া সরকারের নির্দেশ লঙ্ঘন করে নাই।’ ওই সময় ইত্তেফাকের কর্ণধার ছিলেন মানিক মিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

ই-মেইল: mail@Basbhumi.com
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ২:০০
৮টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাল মার্কস, পুঁজিবাদ ও বাংলাদেশের বাস্তবতা: কমিউনিজম কি এখনো প্রাসঙ্গিক?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২৭


আজ ১৪ মার্চ, কাল মার্কসের মৃত্যুবার্ষিকী। দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে তিনি মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক অনন্য স্থান অধিকার করে আছেন। তাঁর চিন্তাধারা শ্রমিক শ্রেণির মুক্তির লক্ষ্যে গড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুরহা ধাওয়াইল্লেহ, আন্ডা ভোনছে…….

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০০



২৪’এর জুলাই আগষ্টের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান যে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিতে পারতো দেশটিতে তা আর হতে দিলো কই কিছু কিছু রাজনীতিবিদ আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড: আরেফিন সিদ্দিকের সময় যারা ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে বের হয়েছে!

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:১৫






ড: আরেফিন সিদ্দিক (১৯৫৩-২০২৫ ) ২ মেয়াদের ৮ বছর ভিসি ছিলেন; উনার ছাত্রদের থেকে সরকারের উঁচু পদে চাকুরী ( ব্যুরোক্রেট, নন ক্যাডার, পলিসি-ম্যাকার ) করছে কমপক্ষ ২০ হাজার ছাত্র' এদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিনাকি আসলে কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২৬



গেছদাদা্ মনে করেন পিনাকি আসলে ‘র’ এর এজেন্ট। কারণ ‘র’ তাকে হত্যা করে নাই।শেখ হাসিনা ভারতে গেছিলেন সেখান থেকে শক্তি সঞ্চয় করে আবার ক্ষমতা দখল করার জন্য। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতের গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যসন্ত্রাস

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩



জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান যেমন আমাদের দেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যাগুলো উন্মোচিত করেছে, তেমনি এটি ভারতের বাংলাদেশ সংক্রান্ত কূটকৌশল, সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং এর ষড়যন্ত্রগুলোকে সম্পূর্ণ প্রকাশ্যে এনেছে। শত্রু যখন তার চেহারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×