
সাতটার মধ্যে ভেবেছি বাংলা একাডেমিতে যাবো অপর বাস্তবের প্রকাশনায়, মনটা সত্যি সত্যি খারাপ হয়ে গেল। এক পান সিগারেটের দোকান থেকে কাগজ চেয়ে নিয়ে পথের পাশে বসে বসে ঢাকার আসমান থেকে বর্ষিত এই কংক্রিট জাহান্নামের কফকাশ পরিস্কার করলাম।
ফ্যাক্স অলা আইসা আয়েশ কইরা ফ্যাক্স মেশিনের প্লাগ লাগাইল, কাঁচের ঢাকনার ভেতর থেইকা ফ্যাক্স মেশিন বের করে স্টার্ট দিয়া কইল কই করবেন? আমি কইলাম কানাডায়। সে বলল মিনিট চল্লিশ ট্যাকা। আমি বললাম আরেক যায়গায় ত তিরিশ ট্যাকা কইল। ফ্যাক্স অলা ধমকের সুরে কইল তাইলে আরেক যায়গায় যান। আমি মনের দুঃখে দুইশ টাকা দিয়ে পাঁচ মিনিট লাগিয়ে দুইটা পাতা পাঠালাম। ঠিক মত গেল কিনা বুঝতে পারি নাই। প্রিন্ট আউট যেটা দিল সে খানে যে যায়গায় পাঠাইলাম সেই যায়গার নাম্বার কোন উঠে নাই। কি তর্ক করব বুঝতে পারলাম না। দোকানি আমাকে কি কি সব অর্থহীন বোঝাচ্ছে, বেকুবের মত ঐখান থেকে বেরিয়ে এলাম। আর ত পারি না এই ধুরন্দর শহরে...
দুই টা রিক্সা পাল্টে ঢাকার অসহ্য জানজট ঠেলে মোটামুটি ঠিক সাতটার মধ্যেই বই মেলায় পৌছাতে পারলাম। নজরুল মঞ্চে মোড়ক খোলা হবে অপরবাস্তব ৩ এর। সবাই লোকাল টক কে লোকাল টক কে করছে, কৌশিক মশয় বক্তিমা দিচ্ছেন। আমি এমন একটা আনন্দ মুহুর্তের একটা সুন্দ ছবি তুলতে নজরুল মঞ্চের ঘেরায় দাড়িয়ে হাত যতটা উচু করা যায় তাই করে ছবি তুলবার চেষ্ট করছি। আমার পাশে শান্ত দাড়িয়ে ছিল। ও আমাকে ইশারা দিয়ে দেখাল আমার বা কাধ বরাবর বটগাছের কোন এক বাসিন্দা হাগিয়া দিয়াছেন!
এই শহরে এমন বিকেল আমার একার নয় আরো অনেকেরই হয়ত কাটে এই বলে মনকে শান্তনা দেবার একটু চেষ্টা করলাম।
আজ বিকেলটা কোন ক্রমেই আর ভালো কাটল না।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪