বাংলাদেশের আপামর মানুষের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুররা যখন নিজের জীবন বাজী রাখছিলেন তখন জামায়াতে ইসলামী নামের দলটি কি করে বেরাচ্ছিল তার কিছু ফিরিস্তি এখানে দেয়া হলো। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ যাদের কাছে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা সৃষ্ট গৃহযুদ্ধের গন্ডগোল তাদের মহান নেতা প্রফেসর গোলাম আজম সাহেরে ১৯৭১ সালের কিছু কর্মের এক ফিরিস্তি এখানে হাজির করা হলো। ৬৮ পৃষ্ঠার এ পিডিএফ ফাইলটির প্রথম ১৪ পৃষ্ঠা ইংরেজীতে বাকী ৫৪ পৃষ্ঠায় বাংলায় লেখা। এখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়েতে ইসলামী'র তত্কালীন প্রধান গোলাম আজম এর প্রাত্যহিক কিছু কর্মকান্ডের ফিরিস্তি দেয়া হয়েছে।
* পড়ুন গোলাম আজমের একাওর নামা, মোট ৬৮ পৃষ্ঠা*
সকলের কাছে আবেদন দয়াকরে এ ফাইলটির প্রিন্টআউট নিয়ে পড়ুন ও অন্যদের ও পড়তে দিন আর একটিবার শুধু ভাবুন যারা বাংলাদেশের জন্মই চায় নাই সেই বাংলাদেশে তারা আজ কেন মুক্ত ভাবে থাকবে! যাদের রাজনৈতিক আদর্শ বিশ্বাস বাংলাদেশ বিরোধী তারা কি করে বাংলাদেশে রাজনীতি করবার অধিকার লাভ করে! কেন আজ ও বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস নিয়ে তারা স্পর্ধা দেখাতে সাহস পায় বাংলাদেশের মাটিতে? অথচ রাষ্ট্রযন্ত্র বরাবরই কেমন করে এমন অদ্ভুত আচরনে প্রকাশ পায়!
আমরা কি কোন দিন এ রাষ্ট্রদ্রোহীদের বিচার করতে পারবো না, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি করেছে ষড়যন্ত্র আর বিরোধীতা। হত্যা করেছে আমাদের!
* ২৫শে মার্চের গন হত্যার সাফাইগেয়ে গোলাম আজমের বক্তব্য!
* বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে জামায়াত সবসময়ই মনে করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কর্ম! এবং গো.আজমে ও আল-বদর।
কেন এই পোষ্টঃ ২০০৫ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কয়েকশ গজ দূরে এক দৃশ্য দেখে আমি অবাক মেনেছিলাম! সে দৃশ্য তক্ষুনি আমি নিজ ক্যামেরায় ধারন করে ফেলি। সেই ফুটেজের কিছু অংশ ব্যবহার করে ব্লগে আমার যাত্রার প্রথম দিকে একটি পোষ্ট দিই "মুক্তি যোদ্ধা শিবির!" শিরোনামে।
কিছুদিন আগে কে এক জন যেন গোলাম আজমের ছবি সম্বলিত একটা পোষ্ট দিয়ে ছিলেন। ছবিটি দেয়ার পর পরই ব্লগ জুড়ে শুরু হয়ে যায় সে কি তোলপাড়! রাজাকারের ছবি এখানে কেন, চরম ঘৃনা গালাগালিতে উওপ্ত হয়ে যায় পরিস্থিতি। যাই হউক সেই পোষ্টের ছবিটা আমি ডেস্কটপে সেদিন নামিয়ে রাখি। আমি ভীষন অবাক হয়ে দেখলাম ছবিটিতে গোলাম আজম সাহেব বসে আছেন হয়তো তার পড়বার ঘরে, পেছনে একটা বইয়ের সেল্ফ তার পাশেই বিশাল এক বাংলাদেশের পতাকা ঝোলানো! গায়ে পাঞ্জাবী ও টুপী।
আজকে বাংলাদেশের যে নাগরিকের বয়স ধরুন ৩৬/৩৭ তিনি ত আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দেখেন নি কেবল শুনেছেন। যে শিশুটি জন্মে ছিল ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ তার কি নাম! জয় কিংবা মুক্তি। সেই শিশুটি আজ ৩৬ বছরের ব্যবধানে একজন পরিনত মানুষ। তাকে জিজ্ঞেস করলে অন্তত জানা যাবে, ১৬ ডিসেম্বর ফজরের আজানের সময় আমার জন্ম হইছিল। নানী জানের কাছে হুনছি সে দিনের সকালটা নাকি ছিল কি ভীষন ফকফকা! নানা বাড়ীর টিনের চাল থেইকা ছোট মামার গিরিবাস কৈতর গুলান যখন আসমানে উড়াল দিয়া ডিগবাজি দিবার লাগছিল তখন ঠিক তখন আমার জন্ম।
আমি লাল দরজার লালু হইলাম এই মুক্তি/জয় দের সমসাময়িক প্রজন্মের মানুষ। বিজয় আমি তেমন অর্থে না দেখলেও কোন না কোন ভাবে স্বাধীনতার সূর্যের আলোর প্রত্যক্ষ্য ছোঁয়া আমি পেয়েছিলাম বলেই আজও বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস আমার কাছে অবিকৃত থাকে। আমি জানি কে আমি, কে আমাদের আপন কে পর। কিন্ত যে তারুন্যের বয়স আজ ১৬ কিম্বা ২১ তার জন্য গোলাম অজমের লাল সবুজ পতাকার সামনে ছবি তোলা আর শিবিরের মুক্তিযুদ্ধ যে কত বড় নীল নক্সার সঙ্গোপন আয়োজন তা চিন্তা করে আমি অস্থির হয়ে উঠি!
স্বাধীনতার যে সূর্য রশ্মির কাছে আমি ঝৃনী সে সূর্যের আলো আমাকে আমার আলোহীনতার অশঙ্কার কথা জানান দিয়ে যায়। আমি শঙ্কিত হয়ে পরি, যখন আজকের সময়ের অনেককেই বলতে শুনি সব কিছু ভুলে যেতে হবে দেশ গড়তে হবে। শঙ্কিত হই যখন শুনি ৩৭ বছর আগে কি হইছে না হইছে ঐ সব নিয়ে পড়ে থাকলে আর সামনে যাওয়া যাবে না(!) শঙ্কিত হই যখন দেখি বর্তমান বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও তার ইতিহাস নিয়ে জামাতীদের নিঃসংকোচ দুঃসাহসিক আস্ফালন! অথচ কোথাও কেউ বাংলাদেশের জন্ম বিরোধী এ মানুষ গুলোকে কিছুই করতে পারছে না। করতে দেয়া হচ্ছে না! যারা বাংলাদেশ কে তখন স্বীকার করেনি আজ তাদের এ ছল চাতুরির আসল উদ্দেশ্য কি আমার সবাই কেন আজ বুঝেও কিছু করতে পারছি না!
কোন কারনে গত পাঁচ বছর তিরিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ের পাওয়া বাংলাদেশের পতাকাকে এই বাংলাদেশ বিরোধীরা অপমানিত করতে পেরেছে। কেন আজো তারা ঠিক তাই বলতে পারে যা তারা বলে হত্যা করেছিল আমাদের, টুটিচেপে রাখতে চেয়েছিল বিজয়, মুক্তি আর স্বাধীনতার! কেন তারা আমার আপনার প্রাণের বাংলাদেশে এখনো রাজনীতি করবার অধিকার পাবে, কেন তারা আজো আমাদের মাঝে থাকবে! যারা সুযোগ পেলেই স্বীকার করেনি, করে না, করবে না আমাদের দেশ, সংস্কৃতি, মানুষ কোন কিছুকেই।
এ দেশ বিরোধীদের নিয়ে প্রশ্ন করলে রাষ্ট্র আজো কেন আমাদের কোন সদউওর দেয় না। আমরা আর কতকাল এ বিষ হজম করে যাবো...