somewhere in... blog

যুক্তরাষ্ট্রে ফান্ডিং নিয়ে পড়তে আসুন -২ (GRE)।

১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি এইব্লগে খুব কমই লগ-ইন করি। তাই কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমার বর্তমান ঠিকানায় মন্তব্য করবেন। ধন্যবাদ।


আগের পোস্টে জিমেট নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এবার জিআরই নিয়ে আলোচনা করা যাক। জিমেট না জিআরই দিতে হবে সেটা আগের পোস্টেই বলেছি।


জিআরই।

GRE মানে Graduate Record Examination। এটা ETS(Educational Testing Service) administer করে। জিমেট এডমিনিস্টার করে পিয়ারসন ভিউ। আগেই বলেছি জিআরই জিমেট থেকে ইজি। বিশেষ করে ম্যাথ পার্টটা পান্তাভাত! জিআরই তে টোটাল স্কোর ১৬০০। ম্যাথ বা কোয়ান্টিটেটিভ ৮০০ আর ভারবাল বা ইংলিশ ৮০০। জিআরই আর জিমেটের মধ্যে অনেকাংশেই মিল রয়েছে।
জিআরই পরীক্ষা হয় প্রমেট্রিক সেন্টারে। কমবেশি ৩.৫ ঘন্টার পরীক্ষা। জিমেটের মত এটিও কম্পিউটার এডাপ্টিভ। ম্যাথ আর ভারবাল ছাড়াও আরো একটা সেকশান রয়েছে যেটাকে এনালিটিকাল রাইটিং এসেসমেন্ট বা জিমেটের মত সংক্ষেপে Essay বলা হয়। এই স্কোরটা আপনার ১৬০০ স্কোরের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না। রেজিস্ট্রেশান করতে হবে অনলাইনে ইটিএসের ওয়েবসাইটে। যুক্তরাষ্ট্রে টেস্ট ফি ১৪০ ডলার তবে দেশে ১৭০ ডলার। উল্লেখ্য জিমেট, জিআরই, টোফেল যেকোন পরীক্ষার জন্যই পাসপোর্ট লাগবে আর রেজিস্ট্রেশানের সময় খুব খেয়াল রাখতে হবে যেন পাসপোর্টের নামের বানান আর রেজিস্ট্রেশানের নামের বানান একই হয়। নাহলে পরীক্ষা দিতে দিবেনা। বার্থডেটাও একই হতে হবে।

জিআরই সেকশান কি কি থাকে।

জিআরই তে তিনটা সেকশান নিয়ে কিছু কথা বললাম।

১। Essay: জিমেট আর জিআরই রচনা একই রকম হয়। দুটাতেই আপনাকে দুটা রচনা লিখতে হবে। একটা এনালিসিস অফ ইস্যু আরেকটা এনালিসিস অফ আর্গুমেন্ট। তবে জিমেটে যেখানে দুটার জন্যই ৩০ মিনিট করে সময় থাকে সেখানে জিআরই তে ইস্যুর জন্য ৪৫ মিনিট আর আর্গুমেন্টের জন্য ৩০ মিনিট সময় থাকে। জিআরই-র রচনাগুলো আপনি যদি সায়েন্স পড়তে চান তাহলে খুব গুরুত্বপূর্ণ না, তবে আর্টস, হিউমেনিটিজ পড়তে চাইলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোটামোটি ৪-এর উপরে পেলেই চলবে ৬-এর মধ্যে। জিমেটে যেভাবে টেম্প্লেট এপ্রোচের কথা বলেছিলাম জিআরই তেই একইভাবে টেম্প্লেট এপ্রোচ ব্যবহার করে ভাল করা যাবে। তার জন্য সাইফুর'স জিমেট/জিআরই Essay বইটা দেখুন। পরীক্ষা প্রথমে শুরু হয় রচনা দিয়ে। রচনাগুলো লেখার পর ১০ মিনিটের ব্রেক আছে।

২। ম্যাথ বা কোয়ান্টিটেটিভ:
আপনার পরীক্ষার ২য় সেকশানটা ম্যাথ বা ভারবাল যেকোনটাই হতে পারে। ম্যাথ স্কোর টোটাল ৮০০। বাংলাদেশের ছেলেদের জন্য ৮০০ তে ৮০০ পাওয়া খুবই কমন। এখানে জিমেটের মতই হাইস্কুল লেভেলের এরিথমেটিক, এলজেব্রা, জিওমেট্রি, ওয়ার্ড প্রবলেম এসব আসে। মোট ২৮টা প্রশ্নের ৪৫ মিনিট সময় থাকবে। তিন ধরণের প্রশ্ন থাকে। প্রবলেম সলভিং, কোয়ান্টিটেটিভ কমপেরিসন আর ডাটা ইন্টারপ্রিটেশান। প্রবলেম সলভিং জিমেটের মতই, আরেকটু হয়ত ইজি। কোয়ান্টিটেটিভ কমপেরিসনে দুইটা এক্সপ্রেশান থাকবে, যেগুলোর মধ্যে কোনটা বড়, কোনটা ছোট বা সমান এসব বের করতে হয়। কয়েক সপ্তাহ প্র্যাকটিস করলে এটা সবচেয়ে সহজ হয়ে যায়। যারা আন্ডারগ্র‌্যাডে স্ট্যটিসটিকস নিয়েছেন তাদের জন্য ডাটা ইন্টারপ্রেটেশন ডালভাত। না নিলেও ক্ষতি নেই। এখানে সাধারণত পাইচার্ট, বার-ডায়াগ্রাম এসবের উপর ভিত্তি করে কিছু প্রশ্ন থাকে। বলা যায় এটা সবচেয়ে সহজ পার্ট যদি আপনি নার্ভাস না হয়ে যান। কম্পিউটার এডাপ্টিভ হওয়াতেপ্রথম ৮/১০ টা প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেগুলোর জন্য একটু বেশি সময় দিতে হবে। ইদানিংকালে এভারেজ, মিডিয়ান, স্ট্যান্ডারড ডিভিয়েশান, প্রবাবিলিটি এসবের উপর প্রশ্ন আসতেছে। এদিকে একটু নজর দিতে হবে। ম্যাথ কিভাবে পড়বেন সেটা প্রেপ সেকশান বলব।

৩।ভারবাল:
জিআরই-র ভারবাল কঠিন। এতে কোন সন্দেহ নেই। জিআরই-র ভারবাল স্কোর ডিপেন্ড করে আপনি ভোকাবুলারিতে কিরকম সেটার উপর। ভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে সায়েন্সের প্রোগ্রামগুলোতে ভারবাল স্কোরটা খুব বেশি গুরুত্ব বহন করেনা। মোটামোটি ভারবালে ৮০০-র মধ্যে ৫০০-৫৫০ পেলেই ভাল প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়। তবে হিউমেনিটিজ বা আর্টেসের সাবজেক্টগুলো্তে ভারবাল গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের অন্তত ৬০০+ পাওয়া উচিৎ স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য। যাদের ইংলিশ স্কিলস ভাল না তারা কিভাবে ভাল করবেন সেটা জিমেটের পোস্টে বলেছি। তাই ইংলিশ ভাল করার জন্য ৫/৬ মাস কষ্ট করুন যেভাবে বলেছি সেভাবেই। ভারবালে মোট ৩০টা প্রশ্ন থাকে, সময় থাকে ৩০ মিনিট। উল্লেখ্য ম্যাথ এবং ভারবালের মধ্যে কোন ব্রেক নেই (জিমেটে আছে)। ভারবালে ৪ ধরণের প্রশ্ন থাকে। সেন্টেন্স কম্পলিশান, এন্টনিমস, এনালজি, রিডিং কম্পরিহেনশান। চারটার মধ্যে তিনটাই সরাসরি আপনার ভোকাবুলারী স্কিলসের উপর ডিপেন্ড করে। তাই ভোকাবুলারীটা জিআরই-র ভারবালের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেন্টেন্স কম্প্লেশান হচ্ছে আমরা ছোটকাল থেকে যে শুণ্যস্থান পূরণ করতাম সেই একই জিনিস, শুধু ইংরেজীতে। তবে বেশিরভাগ প্রশ্নে দুটা শুণ্যস্থান থাকে। এনটনিমস আর এনালজি পুরোপুরি ভোকাবুলারির উপর ডিপেন্ড করে। রিডিং কম্প্রিহেনশান নিয়ে যারাই জিআরই পরীক্ষা দেয় তাদেরই খুব চিন্তিত দেখা যায়। তবে জিমেটের রিডিং কমপ্রিহেনশানের চেয়ে জিআরই-র কম্প্রিহেনশান অনেকটাই সহজ। কিভাবে পড়বেন সেটা বিস্তারিত বলতেছি।


কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন।
যেসব ম্যাটেরিয়েলস লাগবে:
১। কাপলান জিআরই/জিমেট ম্যাথ ওয়ার্কবুক।
২। ব্যারন্‌স জিআরই।
৩। জিআরই বিগবুক।
৪। পাওয়ারপ্রেপ সফটওয়্যার।
৫। পার্টিসিপেশান ইন টেস্টমেজিক ফোরাম।
৬। সাইফুর'স GRE/GMAT Essays.
৭। ওয়ার্ড পাওয়ার মেড ইজি/ ওয়ার্ড স্মার্ট।

প্রথম তিনটা বই নীলক্ষেতে পাওয়া যায়। শেষের দুটাও। বিগবুকের সফট কপি এস্নিপসেও পাওয়া যায়। পাওয়ারপ্রেপ জিআরই-র অফিসিয়াল ইটিএস ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হবে। টেস্টমেজিক ফোরামের এড্রেস হল http://www.urch.com/forums/gre/ ফোরামে পার্টিসিপেট করলে আপনার পড়ালেখার আগ্রহ বাড়বে আর অনেক নতুন টেকনিক শিখতে পারবেন যা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।

জিআরই প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ হল ওয়ার্ড শিখা। প্রথমে হল ওয়ার্ড কোনগুলো বা কোথ্থেকে শিখবেন। ডিকশনারীর সব শব্দ মুখস্ত করা সম্ভব নয়, দরকারও নেই। আপনার যদি আগে থেকেই ওয়ার্ড স্মার্ট বা
ওয়ার্ড পাওয়ার মেইড ইজি পড়া থাকে তাহলে অনেক এগিয়ে আছেন। না থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার এখন সবচেয়ে বেশি লাগবে হচ্ছে জিআরই-তে ভাল করার অদম্য ইচ্ছা যেটা আপনাকে ওয়ার্ড শিখার জন্য ড্রাইভ করবে। এজন্য আপনি ফোরামে যে ডিব্রিফিংগুলো লেখা হয় সেগুলো নিয়মিত পড়বেন, তাহলে আপনার পড়ালেখারআগ্রহ বাড়বে। তবে সারাদিন ফোরামে বসে থাকলেও খুব ক্ষতি হবে, পড়ালেখা হবেনা। প্রতিদিন ১ ঘন্টা বা ৪৫ মিনিট সময় ফোরামে দেওয়া যায়।

ওয়ার্ড শেখা:

আমি আগেই বলেছি জিআরই-তে ভাল করার জন্য ওয়ার্ড শেখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যারনসের বইয়ে ৩৫০০টা শব্দ আছে। এই শব্দগুলো আপনাকে জানতেই হবে। এগুলো না জানলে আপনি কোনমতেই পরীক্ষায় ভাল করবেননা। তার আগে আপনি ওয়ার্ড-পাওয়ার মেইড ইজিটা পড়ুন। সেটা পড়ে শেষ করতে যে কোন এভারেজ ছাত্রের ১৫ দিন মত লাগার কথা যদি প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা সময় দেন। এর পরেই আপনার শুরু হবে ব্যারনসের ওয়ার্ড শিখার পালা। এটা আপনার প্রেপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। ৫০টা ওয়ার্ড লিস্টের মধ্যে ৩৫০০ ওয়ার্ডের ১০০০ থেকে ১৫০০ ওয়ার্ড আপনার জানা থাকার কথা। না জানা থাকলেও কোন সমস্যা নেই। এই ওয়ার্ড লিস্টগুলো আপনাকে ২ মাসে সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। এজন্য আপনাকে ফ্ল্যাশকার্ড বানাতে হবে। যাতে আপনি সবসময়ই আপনার সাথে কয়েকটা ফ্ল্যাশ কার্ড রাখতে পারেন এবং ১ মিনিট সময় পেলেও একটু চোখ বুলাতে পারেন। ওয়ার্ড শিখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল রিভিউ করা। আপনি প্রতিদিন যতসময় নতুন ওয়ার্ড শিখার জন্য দিবেন অন্তত ততটুকু সময় পূর্বের শিখা ওয়ার্ড রিভিউ করার জন্য দিতে হবে। নাহয় কোনদিনই আপনি মনে রাখতে পারবেননা। তাছাড়া এই ওয়ার্ডগুলো যাতে কনটেক্স্ টে পান সে ব্যবস্থা করতে হবে। ইউসেজ না জেনে শুধু শুধু গাদাগাদা ওয়ার্ড শিখে কোন লাভ নেই। এজন্য নিয়মিত ইংরেজী পত্রিকা, জার্নাল, ম্যাগাজিন পড়তে হবে। সেখানে আপনি যখন শিখা ওয়ার্ডগুলো কনটেক্সটে পাবেন তখন আর কোনদিন শব্দগুলো ভুলবেননা। আপনি যদি মুসলিম হন তবে এই ওয়ার্ডগুলো কনটেক্সটে পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ইংরেজীতে কোরআনের আল্লামা ইউসুফের তরজমাটা নিয়মিত পড়া। (মওদুদীরটা পড়বেননা। ভুলভাল আছে।) এখানে জিআরই অলমোস্ট ৯০-১০০% শব্দগুলোই এসেছে। জিআরই-র ওয়ার্ডগুলো সবগুলোই একসাথে কনটেক্সটে থাকার অন্য কোন সোর্স আমার জানা নেই, থাকার কথাও না। এডিশনালি, আপনি ফাযায়েলে আ'মাল বইয়ের ইংরেজী ভারশানও পড়তে পারেন। অন্য ধর্মের হলে আপনি টাইম, নিউজউইক, ইকনমিস্ট, রিডার'স ডাইজেস্ট পড়তে পারেন। নীলক্ষেতে এসবের পুরাতন কপি বিক্রি হয়, এককপি মনে হয় ১০টাকা নেই। এভাবে রিলিজিয়াসলি ওয়ার্ড শিখলে সেটা শুধু জিআরই-র জন্যই নয়, আপনার সারা জীবনে আপনাকে অনেক উপরে নিয়ে যাবে। তাছাড়া শুধু ব্যারনসের ওয়ার্ডগুলো শিখতে পারলে আর মনে রাখতে পারলে আপনি ভারবালে ৬৫০+ পাওয়া গ্যারন্টিড। আর জিআরই-তে ১৪০০-র বেশি পেলেই আপনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফান্ডিংসহ পড়াটা বলা যায় একেবারে হাতের কাছেই।

রিডিং কম্প্রিহেনশান:
জিআরই-র রিডিং কম্প্রিহেনশান নিয়ে সবাই ভুগে। সময় কম হওয়াতে আর পেসেজগুলো বোরিং হওয়াতেই সমস্যা। তবে জিআরই-র বিগবুকে এক্সপ্ল্যানেশান না থাকাটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে সেটা হল জিমেটের অফিসিয়াল গাইডটা কিনতে হবে। সেখানে প্রায় ৩০-৩৫টা রিডিং কম্প্রিহেনশান বিস্তারিত এক্সপ্লানেশান দেওয়া আছে। সেগুলো আপনাকে প্রথমবার কোন টাইমিং ছাড়া করতে হবে। তারপর ব্যাখ্যা বিস্তারিত পড়তে হবে। পরে আবার টাইমিংসহ করতএ হবে। এগুলো জিআরই-র পেসেজ থেকে টাফার এবং ইটিএসেরও বানানো। তাই এগুলো ভালমতে করলে জিআরই-র কম্প্রিহেনশান ডালভাত হয়ে যাবে।

ওয়ার্ড শেখা আর জিমেটের রিডিং কম্প্রিহেনশান করার জন্য আপনার ২-২.৫ মাস সময় লাগবে। এরই ফাকে ফাকে কিন্তু আপনাকে ফোরামে পার্টিসিপেট করতে হবে। আর ব্যারনসের বইটা প্রথম থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ করতে হবে। ম্যাথের জন্য কাপলানের জিআরই/জিমেট ম্যাথ ওয়ার্কবুক করতে হবে। এতে আপনার অন্যান্য সেকশানগুলোও ক্রমান্বয়ে হয়ে যাবে। রচনার জন্য টাইপিং স্পিড ভাল করতে হবে। সাইফুর'সের বইটা ফলো করবেন। ২.৫ মাস হয়ে যাওয়ার পর এখন আপনার আর ১ মাস লাগার কথা ভালমতে প্রেপ নেওয়ার জন্য। এসময়ে আপনি প্রথমে শুরুতে পাওয়ারপ্রেপ টেস্ট-১ দিবেন। দিয়ে আপনার বিস্তারিত স্কোর ডেটসহ কয়টা ভুল হয়েছে, কোন কোন প্রবলেম ভুল হয়েছে এসব লিখে রাখবেন। এরপরে বিগবুক শুরু করবেন। বিগবুকে মোট ২৭টা টেস্ট আছে। সেগুলো টাইমড কন্ডিশনে সল্ভ করতে হবে। তারপর ভুলগুলো কেন হয়েছে সেটা বুঝতে হবে। কোন প্রশ্ন না বুঝলে ফোরমে পোস্ট করতে হবে। বিগবুক হচ্ছে জিআরই-র বাইবেল। বিগবুক যদি ভালমতে করেন তাহলে আসল জিআরই আপনার জন্য ইজি হয়ে যাবে। প্রতিদিন ২টা করে টেস্ট করবেন। ১৪ দিনে শেষ হবে। এরপরে আপনি পাওয়ারপ্রেপ-২ দিবেন। দেখবেন আপনার স্কোর অনেক ইমপ্রোভ করেছে। এই টেস্টে আপনি যা পাবেন আসল পরীক্ষায়ই আপনি তার কাছাকাছিই পাবেন। পাওয়ারপ্রেপ ১ আর ২ দেয়া হয়ে যাওয়ার পর আনইনস্টল করে, ডিলিট করে রিইনস্টল করুন এবং আরেকবার দুটাই দেন। পরীক্ষার আগ পর্যন্ত আপনার ভুলগুলো ভালমতে এক্সপ্লানেশান পড়তে হবে, স্ট্র‌্যাটেজি ঠিক করতে হবে। ইনশাআল্লাহ এভাবে পড়লে আপনি জিআরই তে ১৪০০-র উপরে পাবেন।


আসলে জিআরই/জিমেটের স্ট্র‌্যাটেজি, প্রেপ এসব নিয়ে লিখতে গেলে অনেক লিখতে হয়। আমার সময় নেই ভাই। আপনাদের প্রেপের সময় অনেক প্রশ্ন মনে উদয় হবে। সেগুলো এখানে পোস্ট করলে আমি জবাব দেবার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।


পরের পোস্টে ইউনিভার্সিটি কিভাবে সার্চ করবনে, স্কলারশিপ কিভাবে ট্রাই করবেন, এডমিশান, ভিসা, রেকমেন্ডেশান, ইন্টারভিউ ইত্যাদি নিয়ে
লিখার ইচ্ছে আছে। আলসেমীর জন্য লিখতে ইচ্ছে হয়না। তাছাড়া ব্যাপক ব্যস্ত আছি।





সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:২৭
৯৭০ বার পঠিত
৬৩টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিলিং মিশন শেখ হাসিনা , বাংলাদেশ

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬


বাংলাদেশে কোটার জন্য যে আন্দোলনটা হলো প্রকৃতপক্ষে সেটা কি আর কোটার আন্দোলন ছিলো⁉️ নাকি এটা প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য একটি ঘৃণ্য চক্রান্ত ছিলো‼️

আসুন ফিরে দেখি আন্দোলনের সময়ে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র শান্তির ধর্মের নাম কি?

লিখেছেন রাজীব নুর, ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৭



পৃথিবীতে কোনো ধর্মই শান্তি বয়ে আনে না।
ধর্ম মানেই ঝামেলা, ক্যাচাল এবং অশান্তি। ধর্ম থেকে দূরে থাকাই ভালো। যুগ যুগ ধরে ধর্ম মানুষের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শীতের কিছু পুরোনো স্মৃতি

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৭

শীত শুধু একটা ঋতু নয়, অনেকগুলো আবেগ আর স্মৃতির জননী। প্রতিটি শীত আমাদের নতুন নতুন কিছু উপহার দেয়। কেড়েও নেয় অনেকের জীবন। আমাদের দেশের গরিব অসহায় মানুষদের শীতকালে কষ্টের কোনো... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ভাবনার গভীরে অতীত দেয় হানা-২=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০২



৬। পূর্ণতা আসতো মনে, যদি দিতে উপহার;
তুষ্টি আসতো মনে, যদি করতে কর্মের প্রশংসা
সুখ ছুঁতো মন, যদি ইচ্ছেতে না দিতে বাঁধা;
ভালো থাকতাম সদা, সৃজনশীল কর্মে হতে যদি মুগ্ধ।

এসবের কিছুই নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেন্টমার্টিন নিয়ে সরকারের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই।

লিখেছেন শাহিন-৯৯, ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


ছবি- নেট

সেন্টমার্টিন নিয়ে সরকার দারুণ একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে নিচের লিংকে পড়তে পারেন।
পর্যটক নিয়ন্ত্রণে কমিটি, সেন্ট মার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের

এই পদক্ষেপ যে এই সরকার নিয়েছে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×