সেই থেকে তোমার হৃদয়ের তরজমা পড়তে আমার ভুল হয় না
ভুল করে সুবর্ণ লেখার হাত
নিয়মবাঁধা নিয়মটাকে উল্টে দিয়ে করে হাস-ফাঁশ
বর্ণাঢ্যকে ডেকে বলে— এই কৃষ্ণবর্ণ! ঢেউ তুলে পালাচ্ছো কোথায়?
তখন আমার ভালোবাসা মরে যায়
বৈরী বাতাসে উড়ে যায় অদ্রির সবুজ শাড়ির আঁচল
কুঁকড়ে যাওয়া ভ্রূণ ভঙ্গিমায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়
হিম রক্তের উষ্ণতা বাড়াতে অকারণেই ঝগড়া করি
রিকশাওয়ালা সাথে, বচসা করি দূরত্ব মেপে ভাড়ার
চিনুর সাথে, মহল্লার চা-ওয়ালা এক; লিকারে নিম পাতার তেতো
ধুর ছাই কিচ্ছু ভাল্লাগে না—
ক্রীতদাস আমি, হ্যাঁ হ্যাঁ ক্রীতদাস; আধপেটা খাই সন্তানের জন্যে বাকীটা জমাই
এইখানে, ঠিক এই শ্যাওড়া গাছটির তলায় দাঁড়িয়ে বাবা বলেছিল
দেখিস খোকা, একদিন আমাদের সব হবে; দু’বেলা পেটপুরে খেতে পারবো।
জানো না বাবা, বাবা তুমি জানো না; ক্রীতদাসদের কিছু হয়না
ধরিত্রীর ত্রিকালে গোলার্ধের সম্ভ্রম সব কিছু কেড়ে নেয়
ফিরিয়ে দেয় না ফুটো পয়সার স্বীকৃতি
পরিচয়পত্রটাও হলো না স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত বলে, কৃষক আমি
পারছি না কাস্তেটাকে জ্বলন্ত চাবুকে পরিণত করতে
বাবা তুমি জানো না- দেখছো না-
বোধহীন বুদ্ধিজীবী, সামন্তবাদী আমলা, ভণ্ড রাজনীতিবিদ’রা
বংশ বিস্তার করেই যাচ্ছে মহাজনের চাতুরী, সাপের উলুধ্বনি
দাদনের ভারে জর্জরিত আমি কৃষক, ক্রীতদাস এক নিজেরই সর্বনাশ!
কান পেতে শুনতে পারছি না মায়ের আর্তনাদ, মানুষ তোরা মানুষ হ’
০৮.১০.২০১৩। ১৯.৫৪। ঢাকা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


