বিষ্টি হচ্ছে, এক নাগারে হচ্ছে তো হচ্ছে, থামছে না, ভালই লাগছে কিন্ত সাইট গুলো দেখতে যেতে হবে কিন্তু সেমন করে যাবো ভেবে পাচ্ছি না। তার উপর দুপুরের খাবারের চিন্তা মাঝে মধ্যে বাসায় খাই আবার সাইটে বা হোটেলে, চলে যায় দিন কোন ভাবে, সবই আল্লাহুর ইচ্ছা।
হাস্য উজ্জল ভাবে অফিসে ডুকলেন "মামা", তবে সে সবার মামা বটে, তবে আমার বেলায় একটু ভিন্ন কারন তিনি আমাকে জামাই বলেই ডাকেন, আমি যদি তিনিকে শশুর বা আব্বা বলে ডাকি তিনি একটু বেশী খুশি হন বলেই আমার মনে হয়। তবে তাই করি।
অনেক অনেক "কথা আর কথা" হাসাচ্ছেন, আমাদের সবাইকে। এক পর্যায় আরম্ভ হলো দুপুরের খাবারের কথা, মামা বললেন, আপনারা কি খেতে চান, আমাদের মধ্যে একজন বলে উঠলো খিচুরী আর গরুর মাংস হলে মনে হয় একটু ভালই হয়।
এখানে, পাঠক সবাইকে আমি জানিয়ে রাখতে চাই, যেহেতু খিচুরীর কথা বলতে চাই । খিচুরী ২ ধরনের হয় একটা ভূনা খিচুরী অন্যটা নরম খিচুরী কেউ কেউ আবার এটাকে ল্যাটকা খিচুরীও বলে থাকে। তবে ল্যাটকা কথাটা আমার কাছে কেমন যেন মনে হয়, আমি এটাকে নরম খিচুরীই বলবো। আমাদের বিখ্যাত বাবুচী সাহেব কে খরব দেওয়া হলো তিনি মাংস বিভিন্ন ধরনের ডাল, মসলা নিয়া হাজির হলো, বিষ্টি হচ্ছে তো হচ্ছে বিরাম নাই, সে এক আজগুবি কারবার, এ বছর বিষ্টি একটু বেশীই মনে হয়।
রান্না আরম্ভ হলো প্রায় সবাই লেগে গেছে, কয়েক জন ছাড়া। তার মধ্যে মামা মানে আমার শশুরই প্রধান ব্যক্তি। একটির পর একটি মসলা, বা উপাদান দিচ্ছেন, এবং ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের স্ত্রী নাড়ছেন। এক পাতিলে গরুর মাংস রান্না হচ্ছে, অন্য পাতিলে খিচুরীর প্রথম পর্ব, তাতে দারচিনি, এলাচ, থেকে আরম্ভ করে সবাই স্থান পেয়ে কিন্তু তেজপাতার দেখা মেলে নাই। এখানে দুই এক জন আবার কিছু কিছু খাবারের প্রতি অনিহা আছে, তাই আমরা সবাই তাদের মতের কিছুটা সন্মান দেখাচ্ছি।
একসময় মনে হলো খিচুরী পাতিলের নিচে লেগে যাচ্ছে তাই মামা নিজেই ঘুটতে আরম্ভ করলেন। এক পর্যায় দেখলাম মামা নিত্য করছেন, তবে নিত্য আর আরম্ভ হওয়ার সময় "ভক" করে একটি শব্দ কর্ন গোচর হলো বলে মনে হয়। এতোক্ষনে বুঝতে পারলাম মামা কেন নাচতেছেন, তাহার পায়ের উপড় খিচুরী ছিটে পড়ায় তিনি এমনি করছেন। একে তো গরম খিচুরী তার উপর পরিস্কার মানুষ পায়ের উপড় লাল হয়ে গেছে। কষ্টই পেলাম । তার পর আমি নিজেই গুটতে আরম্ভ করলাম। আরম্ভ হলো লবন দেখার পালা, লবন চাকতে চাকতে দুই বার খিচুরী খাওয়া হলো। যতই খাই ততোই আমার কাছে ভাল লাগছে।
যদিও খিচুরী দেখতে একটু হলুদে রং তার উপর নরম খিচুরী মাঝে মাঝে কেমন জানি মনে হয়। আবার কিছুই বলি না কারন এটা আমাদের সবার দুপুরের খাবার এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না, যাতে সবার খাবারের মন মানষিকতা নষ্ট হয়। রান্না শেষ হলো, এবার খাবার পালা, সমনে পাতিলে এনে দিল, আমরা যার মতোই লইতে আরম্ভ করলাম তার মধ্যে আমার একজন প্রিয় ব্যক্তি আমার পাশ্বেই বসলেন এবং তিনি তার মতো করে তিন বার লইলেন এবং পেট পুড়ে খাইলেন। আতি তার খাবার দেখে খুবই খুশি হলাম এই প্রথম থাকে একটু বেশী খেতে দেখলাম। কারন তিনি কখনই এতটুকু খাবার খান না।
খাবার সমনে নিয়া, আমার সহকর্মী বলে উঠলেন যে এটা তো আমাদের দেশে হিন্দুরা খায়। তাদের বিভিন্ন অনুষ্টানে এই খাবারের আয়োজন করে বটে। আমরা সব সময় ভুনা খিচুরী খাইয়া থাকি।
যাই হোক, পাঠক আমি আপনাদেরকে খিচুরী পর্ব এখানেই রেখে সাইট ভিজিটে চললাম..........................
চলবে।।।।।।।।।।।।।।।।।