এখন ইমরান খান বলছেন ৭১ এর ঘটনায় পাকিস্থানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।তিনি নাকি লণ্ডনে থাকা অবস্থায় শুনেছেন বাংঙালী বন্ধুদের কাছে পাক হানাদারদের নৃশংসতার কথা।কিন্তু ৪০ বছর উনার মনে হয়নি এই সব। আজ মনে হয়েছে তাতেই আমরা খুশি। কিন্তু ভণ্ড ইমরান খান সাহেব মনে আছে আপনি কেন ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে ধাওয়া খেয়েছিলেন।আপনার মনে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিসৃত বাংঙালীর জীবনে এত ঘটনাই ঘটে যে তারা ভূলে যায় অকালে।তাইতো এরা পাকিস্থানের পতাকা মুখমণ্ডলে আকে –আফ্রিদি বুম বুম করে।
এটা দোষ দেশের শাসকদের। তারা স্কুল কলেজে পাঠ্যপুস্তকে শিখিয়েছে পশ্চিমা হানাদারদের বিরুদ্বে আমরা যুদ্বে জয়লাভ করে স্বাধীনতা এনেছি।কোথায়ও বলা হয়নি পাকিস্থানীদের বর্বরতার কথা।আমার স্কুল পড়ুয়া ভাতিজা বার্সিলোনাতে থাকে।ভাই-ভাবী রিয়েল মাদ্রিদের সমর্থক হলেও ভাতিজা বার্সিলোনার সমর্থক।কারণ কাতালানরা স্কুল থেকেই শিখায় বার্সা তাদের দল। এভাবেই গড়ে তুলতে হয়।
আমার বাল্যবন্ধু বিপ্লব যার জন্ম ১৯৭১ সালে।নামটার কারণ সংগত কারনেই বুঝতে পারছেন।যার পিতাকে ১৯৭১ সালে পাক হানাদারেরা ধরে নিয়ে যায় কোনদিন সে ফিরে আসেনি।বিপ্লবেই প্রথম সন্তান।পিতা দেখে যেতে পারেনি তার অনাগত সন্তানকে।সেই বিপ্লবকেই দেখেছি স্কুল জীবনে পাকিস্থানের সমর্থন করতে।আমার এক কাজিন যাদের বাড়ী পাকি সেনারা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। জীবন বাচতে তার বড় ভাই এই ছোট শিশুকে নিয়ে কচুরীপানার মধ্যে লুকিয়ে বেচেছিল।সেই কাজিনকেও দেখেছি পাকি পাকি বলে দিশেহারা হতে।তারা দুইজনেই এখন পাকিদের ঘৃনা করে। এই ঘৃনা আনতে বড়দের অনেক সময় দিতে হয়েছে।
আবার ফিরে আসি সেই ইমরান খানের কথায়।পাকিস্থানি একটি দলের সাথে খেলতে এসে চট্টগ্রামে নেমেই বাংলাদেশীদের প্রতি নমস্কার বলে উপহাস করেছিলেন ইমারান।জনতা তাকে ধাওয়া করে।ইমরান বোঝাতে চেয়েছিলেন আমরা হিন্দু হয়ে গেছি।এমনতর সাম্প্রদায়িক ব্যক্তির মুখে ভালো ভালো কথা শুনতে ভালো ই লাগে। শোনা যায় নিয়াজির ভাতিজা আপনি তাই কষ্টটা একটু বেশী লাগছে আপনার।ইমরান খানের বায়গ্রাফি লেখক ক্রিষ্টোফার স্টান্ডফোর্ড দাবী করেছেন প্র্য়াত বেনজির ভূট্টোর সাথে ইমরান খানের পরিণয় ছিল।বলিঊডের খোলামেলা নায়িকা জীনাত আমানের সাথে চুটিয়ে ্ডেট করেছেন।বিলাতে অনেক খ্রীষ্টানের সাথেও ডেট করেছেন।এরা না হয় মুসলমান আর খ্রীষ্টান কিন্তু আপনি ইমরান হিন্দু মুনমুন সেনের সাথে ডেট করার সময় কি পরে গিয়েছিলেন?
অনেকেই খেলার সাথে রাজনীতিকে জড়াতে চান না।১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ব যদি রাজনিতি হয় তবে আমার দেশের মা-বোনেরা ধর্ষিতা হয়েছিল কোন রাজনীতির কারনে।অবুজ শিশুরা জীবন দিয়েছিলেন কি রাজনীতির জন্য।যে পতাকা বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলার জন্য ৩০ লাখ লোক শহিদ হল সেই পতাকাই আমরা গায়ে মুখে আকি।মিরপুর ষ্টেডিয়ামে আমি বাংলাদেশের জন্য এত জাগরণ দেখিনি দেখছি পাকিস্থানের গুল আর আফ্রিদির বলে বলে।এই জাগরন শহিদ আর মুক্তিযোদ্বার হ্রদয়ে একেকটি বুলেটের মত।পাকিস্থানের বুলেট তারা হাসি মুখে নিয়েছে।কিন্তু যাদের জন্য নিয়েছে সেই তরুন প্রজন্মের পাকি পাকি চিৎকার তাদের দেহ ছিড়ে ৫৫ হাজার বর্গমাইল বিদ্ব হল।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৪৮