'কি করি'র' ভাষায় আমি
গিয়াস লিটন বলছি;
মুন্সি করিম ভাগ্য দেখে
জ্বলছি শুধু জ্বলছি।
আব্দুল করিমস্থলে
হতেম যদি আমি;
ইতিহাস কি যে হতো
জানেন অন্তর্যামি।
পেত্থমে মিঠে কয়ে
রাণীমারে পটিয়ে;
দিতুম যে বাকীগোরে
কৌশলে হটিয়ে।
রোজ লিখতুম তারে
কবিতায় চিঠি;
জানাতুম কতটা সে
সুইট এন্ড প্রিটি।
আটষট্টিতে তার
রূপে কত জেল্লা;
কইতুম খুঁটে সবি
খুল্লাম ই খুল্লা।
আজো তার যৌবনে
জোয়ারের বান;
দেখে হই শিহরিত
হৃদে টানটান।
প্রাণ নিলে নাও রাণী
তাও নাহি লুকাবো;
ভালোবাসি ভালোবাসি
কয়ে শির ঝুঁকাবো।
ইনিয়েবিনিয়ে ছলে
চামে নেবো হাতটা;
ঝটকায় টেনে তারে
করে দেবো কাতটা।
শ্বাসে শ্বাস ছুঁয়ে কবো
পারছিনা ও মা'রে;
পাগলের মত খাবো
গালে তার চুমারে।
শুনে জানি খুব ক'বে
শালা তুই পোংটা;
এই মোর তরিকাগো
জমানোর প্রেমটা।
এভাবেই ধীরে ধীরে
জা'গা করে প্রাসাদে;
বিষময় করে দেবো
প্রাসাদটা ফ্যাসাদে।
এর কথা ওরে কবো
ওর কথা তারে;
মুঠো করে বশে নেবো
ছলে রাণীমা'রে।
মাতাল বানাবো তারে
ভাং গুলে গেলাসে;
একাই ঘুরাবো ছড়ি
বাকিংহাম প্যালেসে।
জানি সে হবোনা কভু
প্রাসাদের রাজা রে;
তাই যে বাড়াবো হাত
রাণীমার ট্রেজারে।
আছে যত হীরে চুনি
কিংবা সে কোহিনুর;
ধ্যাৎ বাপু চুরি কি হে
ওরাইতো মূল চোর।
এইভাবে মাল নিয়ে
চামে যাবো সটকে;
রাণীমার দরোজাতে
লেটার এক লটকে।
লেটারেতে রবে লেখা
পেয়ারের রাণী মা;
চিঠিখানি পড়ে তুমি
চমকাবে জানি মা।
এতদিন যা কয়েছি
সবি ডাহা মিছে;
আদতে আমি যে ছিনু
মওকারি পিছে।
তুই বেটি থুত্থুরি
বুড়ি এক মিনসে;
বুলডগি ফেস দেখে
প্রাণ যায় চিমসে।
চান করেছিস কভু
গায়ে সেকি গন্ধ;
তোর আশেপাশে গেলে
দম পুরো বন্ধ।
কচি পুলা দেখে তোর
তর আর সয়না;
রাণী বলে তোরে কেউ
ডরে কিছু কয়না।
চুমু তোরে খাবো কিরে
গন্ধ যা বাজে না;
কস্মিনে এই বুড়ি
দাঁত কভু মাজে না।
যতবার দেখি তোরে
গন্ধতে হড়হড়ি;
পেটে চেপে গাল খিঁচে
বমি করি ঝরঝরি।
হারামি চুন্নি বুড়ি
নেই তোর লজ্জা?
কোহিনুর চুরি করে
মুকুটের সজ্জা!!
শকুনি কূটনি তুই
সাদা চাম ডাইনি;
বাধ্য করলি ক'তে
কইতে তা চাইনি।
ভালোবাসা দূরে থাক
তোরে লাগে ঘেন্না;
ডিসিশান ফাইনাল
পাঠী সনে আর না।
লুটেছিস যা যা যত
আমাদেরি সম্পদ;
তার থোড়া কেঁড়ে চামে
দিনু আজ চম্পট।
থাকিসরে ভালো বুড়ি
মিস করে মোরে;
ওমা একি,শুনি বুড়ি
মরে মাথা ঘোরে।
চিঠি পড়ে নাকি তার
সাথে সাথে হার্ট ফেল;
হেমোরেজ হয়ে যায়
অভাগীর ব্রেন সেল।
সেকেন্ডও টেকেনি সে
জায়গাতে অক্কা;
পারেনি সইতে বুড়ি
চিঠির সে ধাক্কা।
ফিরিঙ্গি হারামীগো
এভাবেই দিয়ে বাঁশ;
আমি হলে ভূ-ভারতে
ভীন হতো ইতিহাস।
শেষ কথাঃ
যা কয়েছি লিটন কথন
কল্প তা,নয় স্থায়ী;
দুঃখ পেলে কেউ পড়ে তা
লিটন ভায়াই দায়ী।
শেষ কথার পিঠের কথাঃ
এই লিখাটা কমেন্ট হয়ে
ছিলো তাহার পোষ্টে;
শায়মা কহেন দে মুছে তা
পোস্ট করে দে ভাস্তে।
শায়মাফুফুর কথা কি আর
যায় ফেলাগো বলো;
ঝটপট এলা পোষ্টটি পড়ে
কওতো কেমন হলো?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৬