৬
এ শহর ছেড়ে যে চলে যাবে, তার পায়ে নেই কোনো বেড়ি;
তবু সে একদিন তার কবির জন্য কেঁদেছিল, অভিমানে
তারপর পাহাড়ের রহস্য থেকে ছিঁড়ে এনে বহুদিন লুকিয়ে রেখেছিল অজর একটি ফুল
গভীর কূয়ো খুড়ে আমিও তার জন্য একটি অক্ষয় শব্দ কুড়িয়ে পেলাম
সে হাত পাততেই খা-খা করে যে-শব্দটি জ্বলে উঠলো, তার নাম ‘শূন্য’
৭
সে এক ক্ষণজন্মা পাখি, প্রতিটা গোপন সাঁঝে অরূপ পাথারে নেমে এসে
অলৌকিক সুর তোলে গানে। তারপর রাত্রি শেষে
ফিরে যায়, পেছনে রেখে যায় একগুচ্ছ পদছাপ, ও কয়েকটা পালক
মাটিতে করুণ দাগ কেটে একধ্যানে চেয়ে থাকে বিবাগী বালক