আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল একটি উপত্যকা। চারপাশে পাহাড় ঘেরা, সেও সবুজ পাহাড় নয়। এক্কেবারে বড় বড় পাথরের পাহাড়। সেই পাথুরে পাহাড়ি রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয় উত্তরাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদ। জালালাবাদ প্রায়ই সবুজ একটি শহর। তবে এটাও পাহাড়ি শহর। এখানে চোখ জুরানো বরফ ঢাকা শ্বেতশুভ্র পাহাড়, নীল আকাশ আর সেই নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা যেন এই রুক্ষ দেশে আকন্ঠ তৃষ্ণার একফোঁটা জল। আবার পরক্ষণেই পাথরের পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে কঠিন হয়ে। আবার এখানেই ফুটে থাকা বিভিন্ন রঙের ফুল যেন স্বপ্নপুরীতে নিয়ে যায়!!!
আমরা আফগানিস্তানের চোখ জুরানো দু’একটা স্থাপনা দেখে, পাথুরে পাহাড়ি পথ পেরিয়ে চলে যাব জালালাবাদ। বাংলাদেশে এমন ভয়ংকর পাথুরে পাহাড়ি রাস্তা নেই, তাই আমাদের জন্য এটি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা!! তো চলুন আমরা ঘুরে আসি।
১। আফগানিস্থানের পাঘমান শহরে গ্রীস্মকালীন সংসদ ভবনের সামনে উড়ছে সে দেশের পতাকা।
২।গ্রীস্মকালীন সংসদ ভবন - সামনে থেকে
৩। সুন্দর টিলার উপরে সংসদ ভবনটি।
৪। চারপাশের পাহাড় আর সবুজ বৃক্ষরাজি এর সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
৫। পাঘমান শহরের কেন্দ্রস্থলে, পাঘমান স্কয়ারে এমন বিশাল দৃষ্টিনন্দন একটি স্বারক তোরণ, ওই শহরকে আরো সুন্দর করেছে।
৬। পাঘমান শহরে যেমন সবুজ টিলা তেমনি পাথরের পাহাড়।
এরপরে আমরা কাবুল থেকে যাত্রা শুরু করব জালালাবাদের পথে। প্রায় পুরোটাই পাথুরে পাহাড়ি রাস্তা। একপাশে পাথরের পাহাড়, আরেক পাশে গভীর খাদ। ভয়ংকর এই রাস্তা দিয়ে চলব আমরা, মাঝ মধ্যেই পাহাড়ের ভিতরেই টানেলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে আমাদের। এক সময় পৌছে যাব জালালাবাদ শহরে। কাবুল থেকে জালালাবাদের দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। কাবুল থেকে যাত্রা শুরু করার ১০ কিলোমিটার পরেই শুরু হয় এমন কঠিন পাহাড়ি রাস্তা। পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি নদি, এক সময় প্রবল খরস্রোতা ছিল। প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। জনশ্রুতি আছে সেসব মাছ উড়তে পারত, উড়ে এপার ওপারে যেত। তাই এই জায়গাটার নাম মাহিপাড়। মাহি শব্দের অর্থ মাছ।
১। যাত্রা পথে শুরু হলো আমাদের পাথুরে পাহাড়ি পথযাত্রা।
২। উপরের রাস্তায় একটা টানেল দেখা যাচ্ছে ।
৩। এমন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে আমরা অনেক উপরে উঠে যাব। নিচের রাস্তার পাশে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদি। এখন পানি খুবই কম বলে এটাকে মনে হচ্ছে শুধু পাথর পড়ে আছে।
৪। পাহাড়ি এমন পথেও অনেক অনেক গাড়ি যাতায়াত করছে।
৫। মাঝে মাঝেই এমন বাড়িঘর দেখতে পাওয়া যায়।
৬। রাস্তার মাঝে মাঝে এমন অনেক সামরিক চেক-পোষ্ট দেখা যায়
৭,৮,৯। বিভিন্ন টানেলে ঢোকার মুখ।
১০। এমনই একটা টানেলের ভিতরে।
১১। এমনভাবে ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে ওঠানামা করা।
১২। পাহাড়ের অনেক উপর থেকে এমনই ভয়ংকর মনে হয় রাস্তাগুলো।
১৩,১৪। জলবিদ্যুত কেন্দ্র, সুরভীতে। পাহাড়ি রাস্তা পেরিয়ে এসেছি আমরা।
১৫,১৬। এমন সুন্দর নীল পাহাড়, নদি আর সবুজ সমভূমির শহরে আমরা চলে এসেছি।
১৭। চারপাশে পাহাড়ঘেরা জালালাবাদ।
এরপরে এই রুক্ষ প্রকৃতির আরেক বিস্ময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য! হোটেলের সামনে চমৎকার একটি ফুলের বাগান, অনেক অনেক রঙের গোলাপ ফুটে আছে এখানে!! কী যে সুন্দর!!!
হোটেলের সামনের গোলাপ বাগান।
বসরাই গোলাপের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ ও তৃপ্ত !!
*** লেখাটি ব্লগের দশম বর্ষপুর্তি এবং সপ্তম বাংলা ব্লগ দিবস উপলক্ষে পোষ্ট করা হয়েছে ।
ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ