ভালবাসি সবুজ বনানী, নদি পাহাড়, সাগর, জনপদের ছবি তুলতে। সে দেশেরই হোক, বা বিদেশের। বিষয় পেলে মনের আনন্দে ছবি তুলে যাই। আমি ফটোগ্রাফী জানি না। যা চোখে ভাল লাগে, সেগুলোকে ক্যামেরাবন্দি করে, স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়াই আমার আনন্দ। আর নিজের সেই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আজকের এ প্রচেষ্টা আমার।
আমার প্রথম তুষারপাত দেখা
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পুরোটাই আমি আমার সাহেবের কর্মস্থল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ছিলাম। ওখানেও আমাদের মতই নভেম্বর থেকে একটু একটু করে প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হয়। ডিসেম্বর, জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারী জুড়ে ভালোই শীত থাকে। আমরা আছি অফিসিয়াল গেস্ট হাউসে। দোতলায় শোবার ঘর আর খাবার ঘর নিচতলায়।
শোবার ঘরের জানালাগুলো কয়েক প্রস্থ পর্দা দিয়ে আটকানো, বাইরে থেকে ঠান্ডা আসবার উপায় যেমন নেই তেমনি বাইরের দুনিয়াটা দেখারও উপায় নেই। ঘরে সব সময় ফায়ার প্লেসে আগুন জ্বলতেই থাকে। সকালে কেউ একজন এসে ফায়ার প্লেসের ছাইগুলো নিয়ে যায় আর নতুন করে কাঠখড়ি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে যায়। ঘরটাকে গরম রাখতে, সারা দিনরাত ধরেই আগুন জ্বালাতে হয়।
শুক্রবারের এক সকালে নিচের খাবার ঘরে নাস্তা করছি, বাইরে তখন তুষার পড়ছে। হঠাৎই চোখে পড়ল আমার। পাকিস্তানী বাবুর্চিকে জিজ্ঞেস করলাম,”কাকা, বাইরে তুষার পড়ছে? আমি কখোনো দেখিনি।“ সে জবাব দিল,” হ্যা, আপনি ভারী শীতের কাপড় পড়ে এসে উঠোনে নেমে যান, আপনার ভাল লাগবে।“ – তখনই নেমে যাইনি। তবে এই তুষারে আবৃত কাবুলকে দেখার লোভ সামলাতে পা্রিনি। ক্যামেরা নিয়ে দু’জনে বেরিয়ে পড়েছিলাম। সে আনন্দ আজ শেয়ার করবঃ-
বাড়ীর আঙিনা তুষারে আবৃত
পাহাড়গুলোও তুষারে ঢেঁকে আছে
মনে হয় যেন এটা তুষারেরই গাছ
বাড়ীর আঙিনায় ওদেরই বানানো তুষার মানব
শীতের শেষে আবার গাছগুলো ফুলে ফুলে ভরে ওঠে ।
ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
স্মৃতির এলবাম থেকে ----- ৩ (ফটোব্লগ)
স্মৃতির এলবাম থেকে ----- ১(ফটোব্লগ)
স্মৃতির এলবাম থেকে -----২ (ফটোব্লগ)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৯