T-Cell (round pink) attacking Cancer cells
এক সময় ক্যান্সার হওয়া মানেই ছিল মৃত্যুদন্ড এর মত...শুধুই সময় ক্ষেপন...বাচার কোন আশা নাই..কিন্তু ছবির প্রেসিডেন্ড কার্টার কে দেখুন...কি হাসি মুখে ঘোষনা দিচ্ছেন যে তার ব্রেইন ক্যান্সার ইজ কিউরড...কিন্তু কিভাবে??? ভীষন আশা জাগিয়ে বাজারে আসছে "ইম্মিউনোথেরাপী"। (Immunotheraphy)। আমাদের শরীরের যে কোন জীবানু, ভাইরাস, ফরেন সেল/মলিকিউল কে প্রতিরোধ করে আমাদের ইম্মিউন সিসটেমের সেল গুলি। কিন্তু ক্যান্সার সেল যেহেতু আমাদের নিজের শরীরের ই সেল কিন্তু কিছুটা মিউটেটেড, তাই ইম্মিউন সিসটেম ক্যান্সার সেল কে নিজের সেল মনে করে আর কোন প্রতোরোধ গড়ে তুলে না ফলে ক্যান্সার সেলগুলি অপ্রতিরোধ্য ভাবে বেড়েই চলে। যদি কোনভাবে শরীরের ইম্মিউন সিসটেমকে বুঝানো যায় যে ক্যান্সার কোষ গুলি আমাদের নিজের কোষ না, তাহলে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলে ক্যান্সার কোষ গুলিকে ধ্বংস করে দিবে। আর সেটাই করা হয়েছে বায়োইন্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে।
বাম পাশের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের ইম্মিউন সেল (T-Cell) এর একটা প্রোটিন- PD-1 (looks like a Y in the picture) যখন ক্যান্সার সেল এর PD molecule এর সাথে বাইন্ড করে, তখন T-cell তাদের যে কাজ (ক্যান্সার সেল কে নিজের সেল মনে না করে ধ্বংস করা) সে কাজ করে না কেননা সে মনে করে যে ক্যান্সার সেল গুলি নিজস্ব সেল। আর তখন ক্যান্সার সেল গুলি দ্রুত বাড়তে থাকে। বিজ্ঞানীরা গবেষনাগারে ওষুধ বানালেন (ছবিতে সবুজ রংয়ের) যেটা T-Cell এর PD-1 এর সাথে বাইন্ড করে। আর তাতে ক্যানসার সেল এর PD molecule আর T-Cell এর PD-1 এর সাথে বাইন্ড করতে পারে না। তখন T-Cell গুলি ক্যান্সার সেল কে আর নিজের সেল মনে করে না..আর তখন T-Cell সহজেই ক্যান্সার সেল কে ফরেন সেল মনে করে ধ্বংস করতে পারে।
এই ইম্মিউনিথেরাপী মাত্র ৪০-৪৫% শতাংশ সাফল্য দেখায়..আবার তাও সব ক্যান্সারে কাজ করে না। তাই নেক্সট জেনেরেশন এপ্লিকেশন হিসাবে এই সপ্তাহে যুগান্তকারী ডেভেলপমেন্ট হল যে চাইনীজ বিজ্ঞানীরা হালের দুনিয়া কাপানো জিন এডিটিং টেকনোলজি (ক্রিস্পার-কাস৯) দিয়ে খুব সহজেই T-Cell এর PD-1 প্রোটিন টা কে মিউটেট করে দিয়েছেন যাতে করে T-Cell সব সময় ক্যান্সার সেল কে ফরেন সেল হিসাবে গন্য করে আর তাতেই T-Cell এর তার স্বভাব গত কাজ- ফরেন অবজেক্ট কে ধ্বংস করা, শুরু করে দিবে।
ক্রিস্পার-কাস৯ এমনই টেকনোলজি যেটা দিয়ে জীনগত রোগকে বাচ্চা জন্ম হওয়ার আগেই জীন এডিট করে নরমাল বাচ্চা তৈরি করা যাবে, এই টেকনোলজি মানুষকে ১৫০ বছর বাচতে সাহায্য করবে কয়েক দশকের মধ্যেই। আগামী বছরের নোবেল প্রাইজ এই টেকনোলজি ই পাবে বলে সবাই বিশ্বাস করে।
বিজ্ঞানী রা ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে T-Cell বের করে ক্রিস্পার-কাস৯ টেকনোলজি দিয়ে PD-1 জীন টাকে 'নস্ট' করে দেয় যাতে T-Cell PD-1 প্রোটিন না বানাতে পারে। এই PD-1 নস্ট করা T-Cell গুলিকে কয়েক মাস ধরে ইনকিউবেটরে লালন-পালন করে সংখ্যায় অনেক বাড়িয়ে, যার শরীর থেকে T-Cell নেওয়া হয়েছিল, তাদের শরীরে ঢুকানো হয়. আর এই PD-1 নস্ট করা T-Cell গুলি তখন ক্যান্সার সেল গুলিকে সহজেই ধ্বংস করতে পারবে। ফল জানতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আমেরিকা আগামি ২০১৭ এর মার্চে তিনটা ক্যান্সার জীন CRISPR Cas9 দিয়ে মডিফাই করে মানুষের শরীরে টেস্ট করার পারমিশন দিয়েছে।
বিস্তারিত এখানে
First time in history: Gene Editing in human for Cancer Immunotherapy
খুবই আশা করা হচ্ছে কার্টারের মত ই কাজ করবে...আর তাতেই হয়ত ক্যান্সার এক সময় ডায়াবেটিসের মত ওষুধ দিয়ে কন্ট্রোলের মাঝে রাখা যাবে বলেই আমার বিশ্বাস
These scans show a 62-year-old man with non-Hodgkin lymphoma, at left in December 2015, and three months after treatment with Kite Pharma’s experimental CAR-T cell therapy at MD Anderson Cancer Center in Houston.
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১২