রাজশাহী, দিনাজপুর, ফেনী, নওগাঁ ও সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ রাইফেলস ব্যাটেলিয়ানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিডিআর জোয়ানরা বিদ্রোহ করেছে। এছাড়া, চট্টগ্রাম, ঠাকুরগাঁও এবং বান্দরবানেও গোলযোগের খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে রক্তাক্ত ঘটনার পরদিন ঢাকার বাইরে বিডিআরের বিভিন্ন ব্যাটেলিয়ানে এসব ঘটনা ঘটছে।
রাজশাহী: সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ৩৭ রাইফেল ব্যাটেলিয়ানে বিদ্রোহ শুরু হয়। ফাঁকা গুলি করে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় বিদ্রোহীরা।
দিনাজপুর: ২ রাইফেল ব্যাটেলিয়ানে সকালে বিদ্রোহ করেছে বিডিআর জোয়ানরা। পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। ব্যাটেলিয়ানে সেনা কর্মকর্তাদের কেউই ব্যাটেলিয়ানে নেই।
নওগাঁ: ৪৩ ও ৪৬ ব্যাটেলিয়ানে সকাল ৯টা থেকে বিদ্রোহ শুরু হয়। এ দুই ব্যাটেলিয়ানে বিডিআর জোয়ানরা ফাঁকা গুলি করে পুরো ব্যাটেলিয়ান এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে।
নওগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরামুল হক বিডিনিউজ ২৪ ডটকমকে এ বিদ্রোহের কথা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা ব্যাটেলিয়ানে বিডিআর জোয়ানরা সকালে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্রোহীদের গুলিতে জুনিয়ার কমিশন্ড অফিসার আবুল কাশেম (৫০) নিহত হয়েছেন বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
ফেনী: ১৯ ব্যাটেলিয়ানে সকালে বিডিআর সদস্যরা বিদ্রোহ করেছে। তারা ফেনী-মাইজদি সড়ক বন্ধ করে দেয়। বিদ্রোহী জোয়ানদের তাড়া খেয়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর কবির ও উপ-অধিনায়ক মেজর মাসুদ পরিবার পরিজন নিয়ে পালিয়েছেন।
মেজর মাসুদ বিডিনিউজ ২৪ ডটকমকে বলেন, "পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমি কোনোমতে পরিবার নিয়ে পালিয়েছি।"
বান্দরবান: নাইক্ষ্যংছড়ি বিডিআর জোনের ১৫ রাইফেল ব্যাটেলিয়ানে গোলযোগের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় টিএনও কয়েকজন সংবাদকর্মীকে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
সুত্র: বিডিনিউজ ২৪ ডটকম/প্রতিনিধি
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ১০৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত
বুধবারের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় রাজধানীর সদরদপ্তরে ১০৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে অনেকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিদোহী বিডিআর সদস্যদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বৈঠক করছে। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবে।
সুত্র: দ্য-এডিটর
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৩