ঢাকা শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে ২০ মে দুপুর ২:১৫ আমাদের চীন যাত্রার নিধারিত সময়ে চায়না ইস্টার্ন এয়্যার লাইনসের সুপরিসর বিমানটি শূন্যে ভেসে উঠলো । ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে আমাদের টিমে আমরা ২ জন অফিসিয়াল আর ৮ জন ছাত্র মোট ১০ জন যার মধ্যে আমি সহ ৮ জন প্রথম বারের মতো বিদেশ ভ্রমনে যাচ্ছি তাই কিছুটা আবেগকম্পিত ছিলাম। স্থানিয় সময় ৬:৩০ দিকে আমরা কুনমিং বিমান বন্দরে গিয়ে পৌছলাম। সেখানে আগে থেকেই ইউনান ওপেন ইউনিভার্সিটির একটি টিম আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল।শুভে্চ্ছা বিনিময় শেষে আমাদের জন্য নির্ধারিত ডরমেটরিতে ফেরার পালা। বাংলাদেশে থাকতেই কুনমিং এর তাপমাত্রা সম্পর্কে আমাদের ধারনা দেওয়া হয়েছিল ঢাকা থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম হবে। মোটামুটি গরম ঠান্ডার মাঝামাঝি। বিমান বন্দর থেকে বের হতেই আমাদের জন্য অধির আগ্রহে উপেক্ষিত এবং অপেক্ষিত চমকগুলো একে একে সামনে আসার পালা। উপেক্ষিত এই কারনে যে এগুলো আমাদের কাছে চমক হলেও ওদের কাছে কমন। যেমন রাস্তায় কোন জ্যাম না থাকা, মাইলের পর মাইল ফ্লাইওভার, রিকসা তো দূরের কথা নির্দিষ্ট নাম্বার ওয়ালা বাস ছাড়া ডিস কোয়ালিফাইড কোন গাড়ি না থাকা, রাস্তার দুই পাশে ফুটপাত দখল করে ভ্রাম্যমান দোকানের বদলে সবুজ গাছের সারি এমনকি ৪০ মিনিটের রাস্তায় মাত্র দুইবার সিগনাল ক্রসিংয়ের কারনে ৩০ সেকন্ডের বিরতি। রাতেরবেলা রাস্তার দুপাশে আকাশছোয়া আলোঝলমলে ইমারতগুলো সত্যিই নয়নাভিরাম। প্রাচীনকালে মানুষ চীনদেশে যেত জ্ঞান অর্জনের জন্য। আর এখন মানুষ চীনদেশে যায় ব্যবসা বানিজ্যের জন্য। আমরা গিয়েছিলাম স্টাডি টুরে। একধরনের জ্ঞান অর্জন করলাম। দেখলাম, শিখলাম, উপলব্ধি করলাম জানিনা কতটুকু কাজে লাগাতে পারব। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:২৪