আমার কবিতা আমার মৃত্যু তোমার হাতে এবং এর প্রতি উত্তর ছিল মুনিরা সুলতানা আপুর কবিতা "করুনা" শব্দটি আমার অধিকারে
আজ থাকছে তার তৃতীয় পর্বে আমার লেখা - ছেলেদের অংশের উত্তরটুকু।
যারা আগেরটি পড়ে নিতে চাইছেন, তারা অনুগ্রহ করে এখনা থেকে দেখে নিতে পারবেন।
কবিতার প্রতিটি কণায় মিশে থাকে ক্ষয়ে যাওয়া নক্ষত্রের আলোকছটা,
অতিদূর হতে গভীর চোখে তুমি সে নক্ষত্রের নাশকতা দেখতে পাবে না।
দেখতে চাও? সত্যি দেখতে চাও??
আমার চোখে নয়,
নিজের চোখেই তাকিয়ে দেখে নিও কি বিশাল হাহাকার ও চোখে!
বুকের উপর আলতো করে হাত রেখে বুঝে নিও রক্তচাপ কমে গেছে শরীরে তোমার,
দাওয়াই নেই, দাওয়াই নেই।
চিকিৎসার অতীত এমনই জখম যা পুষেছ তুমি নিজ অন্তরে।
সত্যি করে বলো তো কি চাও?
করুণা নাকি ভালবাসা?
কিচ্ছুটি নেই তোমার তরে,
হৃদয় বাষ্পের ক্ষুদ্র ঘরে সম্পৃক্ত জলীয়বাষ্প গোঁত্তা খায় সিলিং থেকে সিলিঙে,
ছুটে গিয়ে ছুঁয়ে দাও দেয়ালে লেগে থাকা বাষ্প-কণা,
আড়ষ্ট প্রেমের আনাড়ি প্রেমিকা তুমি,
বড্ড ভুল প্রেম শিখিয়েছ আমাকে!
প্রেম কি করে অবহেলা হয় জানো তুমি?
সুউচ্চ পাহাড় - সমতল ভূমি
ললাট চুমি চুপিচুপি বলেছে-
নয় করুণা নয়, করুণা নয়!
প্রেম ধীরে ক্ষয়ে যায়,
রয়ে যায় এক উপত্যকা পাহাড়ি অবহেলা।
তোমার জীবনবৃত্তান্তে লেখা নেই আমার অংশটুকু,
নিভে যাওয়া নক্ষত্র কেউ কখনো দেখতে পায়? দেখতে চায়!
পূর্ণ কিরণ বুকে লয়ে অন্য একটি তেজী নক্ষত্র আছড়ে পড়ে তোমার গালে,
হায় ঈশ্বর ! নিজের অন্তিমদশা এভাবেই দেখতে হল তোমার চোখে!
আমি হাসি, শুধু ভাবি
এও তবে প্রেম!
তুমি তবে কবি,
আরও একটি মুমূর্ষু কবিতা আমি
প্রেমিক তো ছিলাম না কোন কালেই।
তবু বেচে থাকি,
আশা বুকে বাঁধি
তারাদের ডাক শুনি-
চুপিচুপি প্রেমিকা ডাকে আমায়!
হায়! কবিতায় কি সবই হয়!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৫