কোরবানী ঈদে মনের সুখে গরু-খাসী খান। পোলাও, খিচুরী, চালের রুটি র সাথে তো প্রতিবারই খাওয়া হয়, এইবার নাহয় নিজে বানানো তন্দুরীরুটি দিয়া খাবেন। রেসিপি দিচ্ছি, ভাইয়েরা নিজেরা বানিয়ে ভাবীরে খাওয়ান, ভইনেরা ভাইজানগো দিয়া বানায়া নেন.....আর যারা আমরা-আমরাই চলেন শুরু করি.... এসো নিজে করি তন্দুরীরুটি গ্যাসের চুলায়!!!(কিযে শুরু করলাম..পুডিং প্রেসারকুকারে...এইবার এটা..আবার না কি আসে মাবুদই জানে)
ওক্কে রেডি হন উপকরন নিয়া....যা যা লাগবে..
১. ময়দা - ২কাপ (প্রতিকাপে ৩টি করে ৬টি রুটি হবে)
২. গুড়োদুধ - ২ টেবিল চামচ
৩. ঈষ্ট - ১ চা চামচ
৪. তেল - ১ টেবিল চামচ
৫. বেকিংপাউডার - ১ চা চামচ
৬. চিনি - ১/২ চা চামচ
৭. লবন - ১/২ চা চামচ
৮. সাগরকলা - ১টি
৯. পানি - আন্দাজ মতো
পানিবাদে সব উপকরন মিশিয়ে অল্প অল্প করে পানি দিয়ে ভালোকরে মেখে নেন যেন খামিরটা বেশী নরম না হয়। এবার মাখানো খামিরটা ১ঘন্টার জন্য ঢেকে গরম জায়গায় রেখে দেন। ১/২ ঘন্টা পর একবার ফুলে উঠা খামিরটা ভালোকরে ময়ান দিয়ে আবার ১/২ ঘন্টার জন্য ঢেকে রাখুন। ১ঘন্টা পর ৬টি রুটি বানান একটু মোটা করে মাঝারী আকারের। রুটি বেলে ১৫ মিনিটের জন্য ট্রেতে রেখে দেন।
রুটির তাওয়া লোহার তৈরী ভারী হলে ভালো হয়, তবে ননষ্টিক প্যানেও হয়। এবার ১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ লবন গুলে রাখুন।
তাওয়া গরম হলে ১টি রুটির একপিঠে আঙুল দিয়ে লবনগুলা পানি মাখিয়ে নিয়ে রুটির লবনপানি লাগানো দিকটা তাওয়ায় দেন। ধীরে ধীরে রুটি ফুলে উঠতে থাকবে...এবার চুলার আচঁ কমিয়ে সাবধানে তাওয়াটা উল্টে চুলার আগুনের কাছাকাছি ধরুন কিছুক্ষন। লবনপানির দরুন রুটিটা তাওয়াতে আটকে থাকবে এবং অল্পআচেঁ রুটিটা লালচে রঙের হয়ে আরো ফুলে উঠবে (একদম হোটেলে যেমন পাওয়াযায়)। এবার চামচ দিয়ে একটু খুচিয়েই নামিয়ে আনুন মজার ঘরে বানানো তন্দুরীরুটি।
এবার ভুলুআপার বল্গ থেকে রেজালার রেসিপিটা দেখে নিয়ে মজাসে উপভোগ করুন রেজালা উইথ তন্দুরীরুটি (মেইড আপনার গ্যাসের চুলায়!!)
সবাইকে মজার ঈদ শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
এতো মজার রেসিপি দিলাম....যাবার আগে আমারে হুইস কইরা যান...আজ রাত ১২টার পর আমার হ্যাপ্পি বাড্ডে খানাটা বানায়া নেন...আবার কইয়েন না খানা
কইইই