ড্রামা, থ্রিলার, ক্রাইম সিরিয়াল। যারা রেটিং দেখে সিরিয়াল বাছাই করেন তাদের জন্য সুখবর। এইটার রেটিং সবখানেই অনেক ভালো।
কাহিনী শুরু হয় ওয়াল্টার হোয়াইট নামের এক brilliant chemical scientist কে নিয়ে। খুব brilliant & chemistry এর যে কোন শাখায় over-qualified হওয়া সত্তেও তার মেধার মূল্য তিনি কখনই পাননি। বরং তার সারা জীবনের সবথেকে সেরা আবিস্কারও তার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে মিলিওনিয়ার হয়ে গেছে তার এক co-worker। তার উপর, পারিবারিকভাবেও সে খুব একটা সুখি ছিলনা। তার একমাত্র ছেলেকে ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটতে হয়। স্ত্রী খুব ছোটোখাটো একটা চাকরি করে। এমন অবস্থায় সে এমনিতেই লাইফ নিয়ে বেশ হতাশ। তারপরেও টেনেটুনে কোন রকমে চালিয়ে নিচ্ছিলেন পরিবার।
ঠিক এমন মুহূর্তে তার জীবনকে উলটপালট করে দ্যায় একটা medical test report। রিপোর্টে তার লাং ক্যান্সের ধরা পরে যেটা কিনা stage 3 তে চলে গেছে। অর্থাৎ খুব ভালো মানের চিকিৎসা পেলেও উনি বছর খানেক বাঁচতে পারেন বড়জোর। মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পরে তার। তার নিজের চিকিৎসার জন্য এখন প্রয়োজন প্রচুর টাকা। তার নিজের পরিবারেরও খুব জীর্ণ অবস্থা। তাছারা তাদের পরিবারে আসছে নতুন সদস্য। তার স্ত্রীর গর্ভে তার অনাগত মেয়ে। সে মারা গেলে তাদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট কে দেবে?
ঠিক এইসব আকাশ পাতাল যখন চিন্তা করছিলেন তখন তার সাথে এক ড্রাগ ড্রিলার এর পরিচয় হয়। সাথে সাথে সে তাকে অফার করে বসে - "তুমি যদি সহযোগিতা করো তাহলে আমরা অনেক কামাতে পারি। আমার আছে মেধা আর তোমার আছে জানাশোনা লোক। আমি ড্রাগ তৈরি করবো আর তুমি করবে বিক্রি।"
তার talent ব্যবহার করে ওয়াল্টার ওই ড্রাগ ডিলারের সহযোগিতায় বানিয়ে ফেলে প্রায় ৯০% pure Methamphetamine নামক জনপ্রিয় ড্রাগ। এতটা পরিশুদ্ধ Methamphetamine ড্রাগ তখন পর্যন্ত কেউ বানাতে পারেনি। খুব তারাতারিই তার এই high quality drug মার্কেটে খুব প্রভাব ফেলে। তার পরিকল্পনা ছিল এই ড্রাগ বিক্রির টাকা দিয়েই সে তার নিজের চিকিৎসা ও তার মৃত্যুর পর তার পরিবারের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার ব্যবস্থা করবে। ড্রাগ ক্রমিনালদের দুনিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে গ্রহন করে ছদ্মনাম "হাইজেনবার্গ"। আসতে আসতে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে ড্রাগ ক্রাইম এর দুনিয়ায়।
কিন্তু ড্রাগ এর দুনিয়া খুব ভয়ঙ্কর। ধিরে ধিরে তার সামনে এই ব্যাপারটা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হতে থাকে। একের পর এক ঝামেলা এসে বাঁধা দিতে থাকে তার সাফল্যের পেছনে। তার সাথে তার নিজের ক্যানসারজনিত কারনে অসুস্থতাতো আছেই। এভাবেই পুলিস, DEA, তার নিজের পরিবার, তার বন্ধু বান্ধব, co-worker দের মধ্যে কাহিনীর বিভিন্ন উত্থান পতন ও সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে টান টান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে আগিয়ে যায় সিরিয়ালটির কাহিনী।
সিরিয়ালটির সবথেকে positive বিষয় হোল Bryan Cranston এর দেখার মতো অভিনয়। ওয়াল্টার হোয়াইট এর মতো একটি বহুমুখি চরিত্রকে সে অসাধারনভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। পরিবার, বন্ধু বান্ধবের কাছে সে খুবই নরম স্বভাবের একজন সৎ রসায়ন শিক্ষক মাত্র। অন্য দিকে ড্রাগ এর দুনিয়ায় সে আইজেনবার্গ নামক ভয়ানক এক ড্রাগলর্ড। তার এই অনবদ্য অভিনয়ের মাধ্যমে শুধু এই সিরিয়ালের জন্যই সে ৩ বার গোল্ডের গ্লোবের মনোনয়ন পান কিন্তু দুঃখের ব্যাপার একবারও জিততে পারেননি।
My Rating is 9/10
IMDB rating 9.4/10
সম্প্রতিই নতুন কোন সিরিয়াল শুরু করার ইচ্ছা থাকলে এইটাই শুরু করুন। খারাপ লাগবেনা আসা করি।
এরকম আরও রিভিউ পেতে বা আপনার নিজের দেখা কোন মুভির অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে এখানে যোগ দিন। ধন্যবাদ ...