জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমির ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আরবী বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ-আল গালিবের মুক্তি দাবি করেছেন রাজশাহীর নবনির্বাচিত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
মহানগরীর নওদাপাড়ায় রোববার ১০ আগষ্ট, ২০০৮ তারিখ দুপুরে আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবি জানান। বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘের দপ্তর সম্পাদক শেখ আবদুস ছামাদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিগত জোট সরকারের অন্যায় জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে আহলেহাদীছ আন্দোলন ও আহলেহাদীছ যুবসংঘ নেতা-কর্মীরা। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের মিথ্যা ও ভ্রান্ত অভিযোগে আহলেহাদীছ আন্দোলনের মহতারাম আমীরে জামায়াত অধ্যাপক ড. মুহ্ম্মাদ আসাদুল্লাহ-আল গালিব দীর্ঘ তিন বছর যাবত কারাবন্দি আছেন। তার বিরুদ্ধে আজও কোন অপরাধ প্রমাণিত হয়নি।
আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত আমির ও আল-মারকাজুল ইসলামী আস-সালাফী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শায়খ আবদুস ছামাদ সালাফীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুননির্বাচিত কাউন্সিলর শাহাদত আলী শুহু, আহলেহাদীছ যুবসংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি এ এস এম আযীযুল্লাহ, মাসিক আত-তাহরিক সম্পাদক ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারী শামসুল আলম প্রমূখ।
সংবর্ধনার আগে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন মহানগরীর নওদাপাড়ায় অবস্থিত আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং আল-মারকাজুল ইসলামী আস-সালাফী মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৫ সালের ২২ ফেব্র“য়ারি দিবাগত শেষ রাতে মহানগরীর নওদাপাড়াস্থ ড. গালিবের আস্তানা হতে পুলিশ জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে ড. গালিব ও তার তিন সহযোগী আবদুস ছামাদ সালাফী, এ এস এম আযীযুল্লাহ ও নূরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।