কয়েকটি গোলমেলে কৌতুক - ১, পড়ুনঃ Click This Link
৬)
কলুর গাধাঃ
কলু বড় অত্যাচার করত গাধাটাকে, ভালো করে খেতে দিত না। মারধর করতো। অন্যান্য জীবজন্তুর কাছে গাধা এ নিয়ে খুবই দুঃখ করত।
একদিন পাশের বাড়ির গরুর কাছে গাধা বলল, 'আজ সারাদিন কলু খেতে দেয়নি, তারওপর লাঠি দিয়ে খুব ঠেঙ্গিয়েছে।' গরু বলল, 'তুই পালিয়ে যাচ্ছিস না কেন? '
গাধা বললো, 'শুধু একটা আশায় ধৈর্য ধরে আছি। কলু যখন তার মেয়েকে পেটায় তখন সে বারবার বলে তোকে ওই গাধার সঙ্গে বিয়ে দিব।' মেয়েটা অনেক সুন্দরী। তাই তো এই আশায় কলুর হাতের মার খেয়ে যাচ্ছি।
৭)
সৌদামিনী দেবী নাম্নী এক ভদ্রমহিলা কলকাতার কালীঘাটে মন্দিরে পূজো দিতে যাবেন। তিনি তার নাতির জন্য মানত করেছিলেন। তার নাতির খুব জ্বর হয়েছিলো কয়েকদিন আগে। একেবারে যমে-মানুষে, যমদূতে-কবিরাজে টানাটানি। আজ কয়েকদিন হলো নাতিটির জ্বর ছেড়েছে।
মা কালীর কাছে মানত করে রক্ষা না করলে মহাপাপ, পরের জন্মে কালীঘাটের রাস্তায় কুকুর হয়ে জন্মাতে হয়।
তাই তিনি একদম ভোরেই বেরিয়ে পড়লেন বাড়ি থেকে। শহরের বাসস্ট্যান্ডের মুখে তিনি দু'জন পুলিশ ডিউটি করেন, তাদের কাছে রিক্সা থামালেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, 'বাবা, কলকাতা যাওয়ার বাস কোনটা? একেবারে ধর্মতলায় পর্যন্ত যাবে!'
পুলিশ দু'জনের একজন উত্তর দিলেন, 'বুড়িমা, আপনি সব থেকে পেছনে অশ্বত্থ গাছের নিচে চলে যান, ওখান থেকে আটাত্তর নাম্বার বাস ছাড়বে। একেবারে ধর্মতলায় পর্যন্ত যাবে।'
তিনি সেখানে গিয়ে রিক্সা থেকে নেমে গাছটির নিচে দাঁড়িয়েছেন। অনেকসময় পার হয়ে বেলা দুপুর হয়ে গেছে। ডিউটি পুলিশদের ডিউটি বদলানোর সময় হয়ে গেছে।
যে পুলিশটি আটাত্তর নাম্বার বাসের কথা বলেছিলেন সে দুপুরে বাড়ি যাওয়ার সময় দেখলো মহিলাটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে। সেই সকালে এসেছিলো।
সে জিজ্ঞেস করলো, 'বুড়িমা, আপনি এখনো যান নি?'
সৌদামিনী দেবী উত্তর দিলেন, 'বাহাত্তরটা বাস ছেড়ে দিয়েছি, আর মাত্র ছয়টা বাস পরেই আমার বাস, তুমিই বলেছিলে। আটাত্তর নাম্বার, সেই আটাত্তরের জন্যই দাঁড়িয়ে আছি।'
এরকম গোলমেলে কাণ্ড দেখে পুলিশ কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে প্রস্থান করলেন।
৮)
ডাক্তারঃ অভিনন্দন রামবাবু। আপনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
রামবাবুঃ কিন্তু মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।
ডাক্তারঃ মন খারাপ কেন? মাথা খারাপ সেরে গিয়ে এখন মন খারাপ কেন?
রামবাবুঃ মন খারাপ হবেনা? এতোদিন নিজেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভাবতাম। এখন আবার সেই নিতান্ত রামবাবু হয়ে গেলাম।
৯)
এক ধনবান ব্যবসায়ীর একমাত্র সুন্দরী কন্যার বহু প্রেমিকের মধ্যে একটা ছিলো দরিদ্র। দরিদ্র হলেও সে নির্বোধ ছিলোনা। সে জানত মেয়েটি তাকে কখনোই বিয়ে করবেনা। তবুও একদিন বিশেষ মুহুর্তে সে মেয়েটির হাত ধরে বললো;
'প্রেয়সী, তুমি আমাকে বিয়ে করবে?'
প্রেয়সীঃ তুমি জানো আমার ব্যাপারটা?
প্রেমিকঃ আমি জানি তুমি খুব বড়লোক।
প্রেয়সীঃ আমার দাম এককোটি টাকা বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে।
প্রেমিকঃ তবু তুমি আমাকে বিয়ে করবে কিনা?
প্রেয়সীঃ না।
প্রেমিকঃ আমি জানতাম।
বিব্রতা প্রেয়সী একটু থমকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, 'জানতেই যদি, তাহলে শুধু শুধু জিজ্ঞেস করতে গেলে কেন?'
প্রেমিকটি শুকনো হেসে বললো, 'যাচাই করে দেখলাম এক কোটি টাকা হাতছাড়া হলে কেমনটা লাগে।'
১০)
ছেলে নতুন বিয়ে করেছে।
বিয়ের কয়েকমাস পর একদিন মা ছেলেকে বললেন, কিরে খোকা তুই এসব কি করছিস?
ছেলে বলল, কি করেছি মা?
মা বলল, 'আমি শুনলাম, তুই নাকি তোর বউকে জুয়া খেলা শিখিয়েছিস? প্রতি সন্ধ্যায় নাকি তুই তার সঙ্গে জুয়া খেলিস?
ছেলে বলল, 'এ ছাড়া আর উপায় ছিলোনা। তোমার বউমা একটা পাকা চোর। আমার পকেটে যা পায় সব তুলে নেয়। তাই জুয়া খেলা ধরিয়েছি। ওকে হারিয়ে ওর কাছ থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০