বিজ্ঞান তার নিজ মহিমায় এগিয়ে চলছে।বিজ্ঞানের অগ্রগতি থামানো কারও পক্ষে সম্ভব নয়।সুপ্রাচিন কাল থেকে বিজ্ঞানের জয় যাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে।প্রাচিন থেকে আধুনিক এবং উত্তর আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় বিজ্ঞানের আবদান অসামান্য।বিজ্ঞানের বিভিন্ন অবিস্কারের ফল আমাদের আজকের উত্তর আধুনিক সামাজিক জীবণ ব্যাবস্থা।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উত্কর্ষ সাথনের ফল আজকের উত্তর আধুনিক জীবণ ব্যবস্থা।কিন্তু তবুও বিজ্ঞান থেমে নেই।নতুন নতুন আবিস্কারে সর্বদা সচেষ্ট।সেই ধারাবাহিকতায় আমরা নতুন নতুন আবিস্কার এবং এর ব্যবহার গুরুত্ব প্রয়োজনিয়তা ইত্যাদি বিভিন্ন দিগ সম্পর্কে জানতে পারছি।সব যায়গায় আজ বিজ্ঞানের জয়ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।তেমনি একটি বিষয় হচ্ছে সৌরজগত।এটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্য ব্যাপক কৌতহল আছে যার ফলে সৌরজগতে বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহ আবিস্কার হচ্ছে।তেমনি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নাসা।যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।নাসার ইতোমধ্যে কয়েকটি নতুন গ্রহের আবিস্কার করেছেন।তার মধ্যে ছিল মঙ্গল গ্রহ আর ইদানিং আবিস্কিত ফোরফিফটিটুবি অন্যতম।মঙ্গলে মানুষে বসবাসের জন্য জোড় প্রচেষ্টা চলছে।আরও বিস্তর গবেষণার মাধ্যমে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব এবং মানুষের বসবাসের উপযগি করা সম্ভব।মঙ্গল গ্রহে মানুষ বসবাসের উপযগি এটা শুনলে হতচকিত হওয়ার কারন নেই।কিছুদিন আগের প্রতিবেদনে দেখা যায়,আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই চাঁদ মানুষের বসবাস উপযগি হবে।তার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে নতুন আবিস্কিত গ্রহ ফোরফিফটিটুবি।নাসা বলছে,পৃথিবীর মতো আরেকটি গ্রহের খোঁজ মিলেছে।এটি নিজ নক্ষত্রকে যতটুকু দূরে থেকে প্রদক্ষিণ করছে তা আমাদের পৃথিরীর ও সূর্যের মধ্যবতীঁ দূরত্বের প্রায় সমান।এটি পৃথিবীর চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশী বড়।বিজ্ঞানীরা বলেন,আকৃতি ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যাচাই করে মনে হচ্ছে ওই গ্রহে পাথর আগ্নেয়গিরি মহাসাগর ও সূর্যালোক থাকতে পারে।তবে সেখানকার মধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর দ্বিগুণ এবং বছর হয় ৩৮৫ দিনে।এটি যে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে তা আমাদের সূর্যের সমান হলেও বেশি পুরোনো।এর বয়স প্রায় ৬০০ কোটি বছর।কিন্তু আমাদের সূর্যটি ৪৬০ কোটি বছরের পুরোনো।জ্যোতির্বিদেরা মনে করেন,এ আবিস্কারের ফলে পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর বসবাসযোগ্য স্থানের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।নাসার বিজ্ঞানী জন জেনকিনস বলেন,এ পর্যন্ত পৃথিবীর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল পাওয়া গেছে নতুন চিহ্নিত গ্রহটির।
এভাবে চলতে থাকলে একদিন না এক দিন ঠিকই পৃথিবী ছাড়াও অনেক গ্রহে মানুষের বসবাস সম্ভব।সে দিন টি আর বেশি দূরে নয়,যে দিন আমরা পৃথিবী নয় চাঁদ মঙ্গল বা ফোরফিফটিটুবি তে বসবাস করবো।সে দিক দিয়ে দেখা যাচ্ছে পৃথিবী ধ্বংস হবে নিশ্চয়।পৃথিবীর ধ্বংস হওয়ার আর বেশী দিন নেই।খুব কাছের দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে।তবে মানুষ নয় ধ্বংস হবে শুধু পৃথিবীই!পৃথিবী ছাড়া যদি মানুষ অন্যান্য গ্রহে বসবাস করতে পারে,তাহলে সর্ব প্রথম বিত্তশালীরা পৃথিবী ছেড়ে ঐ সব গ্রহে চলে যাবে আর সেখানে বসবাস শুরু করবে।এর পর তাদের প্রয়োজনিয় কাজ কর্ম করার জন্য তাদের অনুগত মানুষজনকে নিয়ে যাবে।এর পর বিভিন্ন ধার্মিক লোকেরা বিভিন্ন ভাবে কেউ কেউ আলৌকিক ভাবে অনান্য গ্রহে চলে যাবে।এর পরেই পৃথিবীর চুড়ান্ত ধ্বংস হবে।ঠিক যে ভাবে আল্লাহ বা সৃষ্টি কর্তা বর্ননা করেছেন।ঠিক সেভাবেই পৃথিবী ধ্বংস হবে।কিছু মানষ ধ্বংস হবে কিন্তু সব মানুষ নয়।যারা বিভিন্ন কারনে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে তারাই শুধু বেচে থাকবে।আর যারা বিভিন্ন কারনে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারবেনা বা যেতে দেয়া হবে না,তারাই শুধু ধ্বংস হবে।এর পর পৃথিবীর মতো ঐ সব গ্রহে বসবাস শুরু হবে।তবে সে গ্রহটিও খুব বেশী স্থায়ি হবে না।সে গ্রহটিও একদিন ধ্বংস হবে!তবে আবার ও মানুষ বেচে থাকবে ধ্বংস হবে না।হয়তো আরও মানুষের বসবাসের উপযগি গ্রহের আবিস্কার হবে।মানুষ আবার সে গ্রহে বসবাস করবে। এভাবে পৃথিবী সহ এক এক করে গ্রহ ধ্বংস হবে এবং অপরদিকে নতুন নতুন গ্রহ আবিস্কিত হবে।এভাবে মানুষ নয় শুধু পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহগুলো ও মানুষ বসবাসের স্থানগুলো একদিকে যেমন ধ্বংস হবে অন্যদিকে আবার নতুন নতুন গ্রহ বা মানুষ বসবাসের স্থান তৌরি হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩