বিষণ্ণ এক আকাশ চেপে বসেছে বুকের উপর,
এবার তবে পাখিটিকে তোমরা ছেড়ে দাও!
রূপালী এক আসর বসবে চন্দ্র গ্রস্ত অরণ্যে,
এবারের মত পাখিটিকে তোমরা মুক্তি দাও!
পাখিটির পায়ে বেঁধো না সোনালী ঘুঙ্গুর শৃঙ্খল,
ওর যে মনে আছে যৈবতী মেঘেদের জলনূপুর।
পাখিটির চোখে মেখো না ভুল মায়ার কাজল,
ওর যে দিগন্তে আছে শঙ্খ সানাইয়ের বিলাপ!
পাখিটির হৃদয়ে রেখো না গৃহের ঝিনুক সুখ বিস্তার,
ওর যে আছে ফেলে আসা আরন্যিক স্মৃতির নীড় ।
পাখিটির জন্য ঝরিও না অশ্রু কোনো ঠিকানা সন্ধানে,
সব পাখিদের ফিরবার ডানা থাকে না জানো নিশ্চয়।
পাখিটির জন্য সাজিও না রঙ্গিন আকাশ পরিপাটি,
পোষা আকাশের প্রেমে কিছু পাখি কাঁদেনি কখনও।
রঙগুলো কেন যে এমন ধূ ধূ ধূসরের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে মিলিয়ে যায়! সেইটা আর জানা হবে না কখনই। তাই বুঝি রাত্রির জমাট বাঁধা দুঃখ গলে গলে ঝরে পড়ে শিশিরের অশ্রু নিলয়ে। চোখে মায়ার কাজল মেখে একজন এসে ঠিকই দাঁড়িয়েছিল তোমার অপেক্ষায়, কিন্তু তোমার চোখে যে দূরবীন ছিল নীলিমার, কাশফুলেদের ঘনঘোরে তুমি আর জানতে পারলেনা তোমার সেই শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদ ঊঠেছিল। তোমার আর মন খারাপ হয়না ভেবে আর মন খারাপ করোনা, কারণ বকেরাই শুধু জানে, তাই গোধুলীকে ভালবেসেও ওরা উড়ে যায় উড়ে যায় দিকশূন্য নিরুদ্দেশের পানে। রুপকথার চিরসুখী রাজকন্যারাও বুঝি পার্কের পাতাকুড়োনীদের কষ্টের গল্প পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যায়, আর স্বপ্ন দেখে তারও খুব পাতাকুড়োনীদের মত দুঃখ হবে একদিন।