হে এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা,
পৃথিবীতে যদি সেরা দুই মায়াবতী নারীর তালিকা করা হয়, তাহলে এক নম্বরে থাকবে রূপা আর খুব সামান্য ব্যবধানে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবেন আপনি।
হুমায়ূন স্যারের বইয়ের পাতা ছেড়ে আমি এখন ব্লগে। নিজের কথা নিজেই লিখি। চেষ্টা করছি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে, চেষ্টা করছি সময়ের '' ভাও'' বুঝে চলতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, গণদাবী ওঠে, আমার একটা মোবাইল ফোন দরকার। কিন্তু আমি হিমু মানুষ। আমার পাঞ্জাবির তো কোনো পকেটই নেই, মোবাইল কেনার টাকা পাবো কোথায়?
এ সময় নানা মানুষ নানা ধরণের আশ্বাস দিলো, তারা ফোন কিনে দেবে। আমি রাত বিরাতে রাস্তায় হাটিঁ, আমি মানুষ চিনি। কাজেই আমি জানতাম, মোবাইল কিনে দেয়ার আশ্বাস আসলে ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছুই না। আমার একমাত্র ভরসা ছিল রূপা।
কিন্তু এই সময়ে এগিয়ে আসলেন আপনি, এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা। মায়াময় গলায় বললেন, আমিই তোমাকে মোবাইল কিনে দেবো। একটু সময় দাও।
আপনার মায়া আমাকে স্পর্শ করলো। আমি দ্রবীভূত হলাম।
এটা দেখে রূপা দূরে সরে গেল।
এরপর পড়লাম ভয়ানক সমস্যায়। আপনিও যোগাযোগ করেন না, ওদিকে রূপা তো কথাই বন্ধ করে দিয়েছি।
সিদ্ধান্ত নিলাম আত্নহত্যা করবো। রেলের নীচে গলা দেবো। নিতান্তই হিমুবিরোধী কাজ হবে, তবু উপায় কি?
কিন্তু কপাল আমার!!! হরতালের কারণে একটা ট্রেনও সময়মতো আসে না।
আমি যখন হতাশার তলানিতে যখন ডাকযোগে একটা বাক্স পার্সেশ পেলাম। প্রেরক এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা। বেশ বড় বাক্স, ভাবলাম, বোমাটোমা নাকি।
ওমা, খুলে দেখি, মোবাইল। উড়াধুড়া মোবাইল না, রীতিমতো স্মার্ট ফোন।
মোবাইল অন করে আমি আনন্দে ঝর ঝর কেঁদে ফেললাম। আমার চোখের জলে মোবাইল গেলো ভিজে। এরপর তো মোবাইল বন। ছুটলাম ইস্টার্ন প্লাজায়।
এখন মোবাইল ঠিক হয়েছে। যদিও এই স্মার্টফোন ব্যবহারে পুরোপুরি অভ্যস্ত হতে পারিনি, চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আমি যে মেসে থাকি, সবাই ভীড় করে এসে দেখছে।
আচ্ছা, স্বর্ণা, এইটা দিয়ে কি ভিডিও গেম খেলা যাবে?
তোমাকে ধন্যবাদ।
তোমার সাথে যে কথা হল, এটা যেন রূপা না জানে, কেমন?
বালিকা, সুখী হও, তোমাকে দিলাম, ময়ুরাক্ষী নদী।
ইতি
তোমার হিমু