somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রন্তু'র কালো আকাশ - ১৫ (ধারাবাহিক)

২২ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রন্তু খুব মনোযোগ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ছবিটি দেখছে, আপ্রাণ চেষ্টা করছে আর মাত্র দুজনকে চিনতে। তার হাতে একটা দৈনিক পত্রিকা, খেলার পাতায় ছোট মামার বাংলাদেশী প্রিয় ফুটবল দলের ছবি। মামা দু’চার দিন পরপরই ঢাকা স্টেডিয়ামে গিয়ে লীগের প্রিয় ফুটবল খেলা দেখে। রন্তু বেশ কিছুদিন ধরে মামার পেছনে লেগে আছে তাকে স্টেডিয়াম নিয়ে যেতে হবে, সেও মামার সাথে খেলা দেখবে। কিন্তু ছোট মামা রাজী হয় না, বলে ওখানে খেলা শেষে প্রায় দিনই মারামারি হয়। আজ সকালে অনেক করে ধরাতে মামা রাজী হয়েছে তাকে খেলা দেখতে নিয়ে যেতে, কিন্তু একটা শর্তে। ছোট মামা রন্তুর হাতে একটা কয়েকদিন আগের দৈনিক পত্রিকার খেলার পাতা ধরিয়ে দিয়ে একটা ছবি দেখিয়ে বলল, এই ছবি হতে যে কোন পাঁচটা খেলোয়াড়ের নাম বলতে হবে। ছোট মামা অনেকবার রন্তুকে ছবি দেখিয়ে দেখিয়ে নাম বলেছে, এমন কি মাঝে মাঝে যখন বড় ম্যাচগুলো টিভিতে দেখায়, তখনো দেখিয়েছে। কিন্তু রন্তুর যে কিছুতেই তা মনে থাকে না।

আজ রন্তু যেভাবেই হোক পাঁচজনের নাম বলবেই বলবে। তিনজন’কে ইতিমধ্যে চিনে ফেলেছে, আর দুজন হলেই হয়। আবারো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। ঐ যে লম্বা লম্বা ঝাঁকড়া চুলের লম্বু খেলোয়াড়টা, কি যেন নাম? কি যেন... কি যেন... ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করেই নামটা মনে পড়ে গেল। যাক হয়ে গেল চারজন, আর দরকার একজনের নাম। রন্তু আবার থেকে সবার চেহারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা শুরু করল। কিন্তু প্রায় আধঘণ্টা চেষ্টা করেও যখন আর পারছে না, তখন ছোট মামার দিকে গেল। ছোট মামা তার ঘরের একমাত্র টেবিলে কি যেন গভীর মনোযোগ দিয়ে লিখছিল। রন্তু’র ডাকে ঘুরে তাকাল।

‘কি হয়েছে? কাঁদছিস কেন?’

‘কাঁদছি কই? দেখো দেখো, আমার চোখ মোটেও ভেজা না’

‘চোখ শুকনো রেখেও কাঁদা যায় বুঝলি, বড় হলে বুঝবি।’

‘আমি এখন বড়ই আছি’

‘আচ্ছা বুঝেছি, এখন ভাগ, আমার পরীক্ষার নোট করছি, জ্বালাস নে..’

‘ও মামা... চারজনের নাম মনে করতে পেরেছি। আরকেজনেরটা কিছুতেই পারছি না যে...’

‘তো আমি কি করব? ডিল ইজ ডিল। তোর সাথে আমার কথা হয়েছে, তুই পাঁচজন খেলোয়াড়ের নাম বলতে পারলে তোকে খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে নিয়ে যাব। তাই না?’

‘হু...’

‘তো এখন ভাগ, আমাকে আমার কাজ করতে দে’

রন্তু মন খারাপ করে নীচে নেমে এল। ধুর কেন যে রন্তু নামগুলো মনে থাকে না। থাক আজ না হয় আর খেলা দেখতে নাই বা গেল। বড় হয়ে সে নিজে নিজেই কত খেলা দেখতে যেতে পারবে, হুহ...। অথবা, যদি বাবা আবার দেখা করতে আসে, বাবাকে বলবে খেলা দেখতে নিয়ে যেতে। বাবা যেমন রাগী মানুষ, খেলা দেখতে নিয়ে যেতে রাজী হবে কি না রন্তুর ভয় হয়। আর যদি রাজী হয়েও যায়, মা যেতে দিবে কি না রন্তুর সন্দেহ হয়। বাবার কথা বললেই মা কেমন যেন গম্ভীর হয়ে যায়, মাঝে মাঝে খুব রেগেও যায়। রন্তুর তখন খুব খারাপ লাগে, খুব। মা কেন বুঝে না, তাকে এবং বাবাকে, দুজনকেই রন্তুর ভালো লাগে। দুজনকেই রন্তু ভালবাসে।

(পূর্ব ঘটনা প্রবাহঃ রন্তু, শায়লা আর জাভেদের একমাত্র সন্তান। জাভেদের সাথে শায়লার প্রনয় থেকে পরিণয়, পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর শায়লা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে জাভেদ ভয়ঙ্কর রকমের মানসিকভাবে অসুস্থ। এক সময় মানিয়ে নিতে না পেরে ছোট্ট শিশু রন্তুকে নিয়ে মায়ের বাসায় চলে আসে। তাদের মিউচুয়ালি ডিভোর্স হয়ে গেছে। মা-বাবার এই টানাপোড়নে শিশু রন্তুর মানসিক জগতের গল্প, সাথে তার নিত্যদিনকার প্যাচালি, এই হল এই গল্পের উপজীব্য। কয়েক মাস আগ পর্যন্ত জাভেদ রন্তুকে স্কুলের গেটে মাসে এক-দুইবার দেখা করতে আসতো, গত মাস চারেক আগে শেষবারের মত ছেলেকে দেখতে এসেছে। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ জাভেদ পরিবার, আত্মীয় পরিজন হতে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে একাকী জীবন পথে হেঁটে চলেছে। অপর দিকে রন্তুর মা শায়লা এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে, যেখানে তার এক সিনিয়র পোস্টের সহকর্মী ইরফানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে প্রণয়ের দিকে। ইদানীং রন্তুর মাঝে একটি মানসিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে, সে বাবা-মা সহ নিজেদের একটি পরিবার খুব মিস করে। আর সেই অপ্রাপ্তি থেকে সে নিজের মনে একা একা এক কাল্পনিক জগতে বিচরন করে। গত পর্বে রন্তু স্কুলের কালচারাল প্রোগ্রামে কবিতা আবৃত্তি করতে করতে কল্পনায় বাবাকে ভেবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল। পিতামাতা’র সম্পর্কের এই টানাপোড়নের সাথে তার শিশু মনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া’য় কেমন চলছে আমাদের রন্তুর জগত তা জানার জন্য আসুন এবার আবার শুরু করা যাক)

রন্তু তার রংপেন্সিলের বক্সটা নিয়ে বসল, আজ স্কুল ছুটি থাকায় রন্তুর হাতে তেমন কোন কাজ নেই। স্কুলে নতুন ক্লাসে এখনো তেমন পড়াশোনা’র চাপ নেই। সবেমাত্র গতকাল স্কুলের স্পোর্টস আর কালচারাল প্রোগ্রাম শেষ হল, তাইতো আজ স্কুল ছুটি। এমন কাজ নেই দিনে রন্তুর খুব বিরক্ত লাগছে, রং পেন্সিলে নিয়ে একটা সাদা কাগজে সে একটা ঘোড়ায় চড়া রাজপুত্রের ছবি আঁকার চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু হঠাৎ করেই স্কুলের সেই ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটি আবৃত্তি করার কথা মনে পড়তে আর ছবি আঁকার ইচ্ছা করল না। নানুর ঘরে গিয়ে দেখে নানু কি একটা কাপড় হাতে নিয়ে সুঁই-সুতো দিয়ে সেলাই করছে। নানুর পাশে গিয়ে রন্তু বসল।

‘নানু, ও নানু, কি কর?’

‘নাচছি... ড্যান্স’ নানুর কথা শুনে রন্তু হেসে দিল, তবে মনে মনে রন্তু খুশী হল। নানুর মুড ভালো আছে।

‘মিথ্যা কথা বলছ কেন নানু? তুমি সেলাই করছ, অথচ বললে ড্যান্স’

‘এই ফাজিল, তুই যখন দেখছিস যে আমি সেলাই করছি তাহলে আর জিজ্ঞাসা করা কেন?’

‘ওমা, এমনি করলাম। তোমরা সবাই তো কর? কি কর না?’

‘যা ভাগ এখান থেকে, জ্বালাস না’

‘নানু, ক্ষুধা লেগেছে’

‘ছাদে গিয়ে রোদের দিকে চেয়ে হাঁ করে তাকিয়ে থাক, ক্ষুধা চলে যাবে’

‘নানু... সত্যি সত্যি অনেক ক্ষুধা লেগেছে।’

‘যা, রান্না ঘরে লাল কৌটোয় টোস্ট বিস্কুট আছে, নিয়ে খা গিয়ে।’

‘ইয়াক... টোস্ট বিস্কুট মানুষ খায়?’

‘আহারে আমার জমিদার কোথাকার? টোস্ট বিস্কুট মানুষ খায়? তাহলে কি ছাগলে খায়?’

‘না, তুমি খাও?’

‘তার মানে কি আমি মানুষ না? এই বদমাশ এদিকে আয়, তোর কানটা টেনে ছিঁড়ে দেব।’

রন্তু ঝট করে লাফ দিয়ে সরে গেল, নানুটার স্বভাব খারাপ। কথায় কথায় শুধু কান ধরে টেনে দেয়। নানু হাতের কাজটা শেষ করে রন্তুকে দুপুরের খাবার দিয়ে দিল। বেলা সাড়ে বারোটার মত বাজে, আজ একটু তাড়াতাড়ি ভাত খাওয়া হয়ে গেল। আসলে যেদিন কোন কাজ থাকে না, সেদিন যেন খুব ক্ষুধা লাগে রন্তুর। খাওয়াটাও তো একটা কাজ তাই না, তাই হয়ত ক্ষুধা লাগে এতো। রন্তু খাওয়া শেষ করে বিছানায় শুয়ে শুয়ে আরেকটা খেলোয়াড়ের নাম মনে করার চেষ্টা করতে লাগল। চোখ বন্ধ করে পত্রিকার পাতার ছবিটা কল্পনা করে খেলোয়াড়দের নাম ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ল।

‘রন্তু, এই রন্তু...’ ছোট মামার হাতের ঝাঁকুনি আর ডাকের কারণে রন্তু গভীর ঘুম থেকে চোখ মেলে তাকাল। কতক্ষণ ঘুমিয়েছে রন্তু বুঝতে পারছে না। কিন্তু মনে হচ্ছে অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছে। চোখ ডলতে ডলতে ছোট মামার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাল।

‘ওঠ, এই গাধা, ওঠ... কত ঘুমোবি? বিকেল তো হয়ে এল?’

‘আমার আরও ঘুম পাচ্ছে মামা, ঘুমোতে দাও না...’

‘খেলা দেখতে যাবে কে? যাবি না স্টেডিয়াম?’

খেলার কথা শুনতেই যেন হুট করে রাজ্যের যত ঘুম চোখের পাতা হতে নিমিষেই উধাও হয়ে গেল। দ্রুত বিছানা ছেড়ে নেমে রন্তু হাতমুখ ধুয়ে এসে জামা পড়ে তৈরি হয়ে নিল। ছোট মামা তৈরি হয়েই ছিল, মিনিট পনের পরে তারা বাসা থেকে বেড়িয়ে স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে একটা রিকশা ভাড়া করে রওনা হল। আকাশে হালকা মেঘ রয়েছে বলে চমৎকার মিষ্টি একটা বাতাস বইছে। এমন আবহাওয়ায় রিকশা করে ঘুরতে মজাই লাগছে। চারিপাশে রন্তু মনোযোগ দিয়ে দেখছে, তার খুব ভালো লাগছে।

‘রন্তু মিয়া, যদি তুই খেলা দেখতে গিয়ে হারিয়ে যাস তাহলে কি হবে?’

‘কি হবে আবার? একা একা বাসায় চলে আসব।’

‘বাসায় আসবি কি করে? তুই স্টেডিয়াম হতে রাস্তা চিনবি কি করে?’

‘মানুষদের জিজ্ঞাসা করে করে’

‘আর যদি সেই মানুষেরা ‘ছেলেধরা’ হয়?’

‘হুম... এটাও একটা চিন্তার বিষয়। তাহলে রিকশা করে চলে আসব’

‘কিন্তু তোর কাছে তো রিকশা ভাড়া নেই? টাকা পাবি কোথায়?’

‘মামা, তুমি না একটা বোকা। বাসায় গিয়ে নানুর কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে নেব।’

‘কি বললি? আমি বোকা? সাহস বেড়েছে অনেক রন্তু মিয়া, তাই না? মাথায় একটা গাট্টা দিলে সাহস বের হয়ে যাবে।’

রন্তুর খুব মজা লাগলো, ছোট মামাকে বোকা বলায় মামা বুঝি একটু মাইন্ড করেছে। কিন্তু ছোট মামা রাগ করলে তাকে দেখতে মজা লাগে। রেগে গেলে ছোট মামা মাথায় গাট্টা মারে, সেইটা শুধু ভালো না। রন্তু চুপচাপ আবার চারিপাশ দেখতে লাগলো।

‘কিরে গাট্টা’র কথায় ভয় পেয়েছিস?’

‘না...’

‘আচ্ছা শোন, ভিড়ের মাঝে হাঁটার সময় ভুলেও আমার হাত ছাড়বি না কিন্তু... মনে থাকে যেন।’

রন্তু মাথা নেড়ে সায় দিল। এখন রিকশাটা নিউমার্কেট ক্রস করছে। এই জায়গাটা রন্তু চেনে, সেই যে বাবার সাথে হুট করে একদিন স্কুল শেষে শিশুপার্ক যেতে যেতে নিউমার্কেটে আসা, সেই যেবার বাবা শেষ এসেছিল রন্তুর সাথে দেখা করতে। রন্তুকে একটা বাইনোকুলার কিনে দিল রন্তুর জন্মদিনের গিফট হিসেবে। বাইনোকুলারের কথা মনে হতেই রন্তুর মন খারাপ হয়ে গেল। স্টেডিয়াম যাচ্ছে খেলা দেখতে, বাইনোকুলারটা নিয়ে এলে কতই না ভালো হত। ধুর... কেন যে বাসায় থাকতে মনে হল না। বাইনোকুলারের দুঃখেই কি না জানে না, রন্তু ঘাড় ঘুরিয়ে রিকশা হতে পেছনে নিউমার্কেটের দিকে তাকাল। আর তখন সে দেখল, কয়েক রিকশা পেছনে একটা রিকশায় যেন মা বসে আছে, সাথে আরেকজন, ঐ সেদিনের ঐ আঙ্কেলটা বুঝি। রন্তুর জামা নিতে এসে যেদিন একটা আঙ্কেলের সাথে দেখা হল, তারা তিনজনে আইসক্রিম খেয়েছিল। রন্তু ছোট মামার হাত ধরে টান দিয়ে চিৎকার করে উঠলো,

‘ছোট মামা, ছোট মামা, দেখ দেখ মা...’ রিকশার পেছনের দিকে ইশারা করল। শিবলী ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকিয়ে কোথাও কোন রিকশায় তার বোন শায়লাকে দেখতে পেল না।

‘কই দেখলি তোর মাকে?’

‘এখনই তো দেখলাম তিনচারটা রিকশা পেছনে ছিল...’ রন্তু নিজেই দ্বিধায় পরে গেল। সে নিশ্চিত মাকে দেখেছে, কিন্তু মা চোখের পলকে তো আর হাওয়া হয়ে যাবে না। ধুর কাকে দেখতে কাকে দেখেছে সে, নিজেই নিজের উপর বিরক্ত হল। মায়ের প্রসঙ্গ ধরে আবার তার বাইনোকুলারের কথা মনে পরে গেল, ধুর...

শায়লার মাঝে কেমন একটা অপরাধবোধ কাজ করছে। কয়েক রিকশা আগে, হঠাৎ করে রন্তুকে শিবলীর সাথে দেখে শায়লার চমকে ওঠা, রন্তু ঘাড় ঘুরিয়ে তাকে দেখতে পাওয়ার সাথে সাথে রিকশাওয়ালাকে রিকশা ঘুরিয়ে নিতে বলা, এসব কেন করল সে। সে কি ইরফানের সাথে এক রিকশায় অফিস শেষে নিউমার্কেটে শপিং করতে এসে অন্যায় করেছে? ইরফান আর শায়লার সম্পর্ক এতদিনে একটা ভিত্তি পেয়েছে, দুজনেই জানে তারা পরস্পরকে ভালবাসে, তাই লুকোচুরি বেশীদিন রইল না। কিন্তু শায়লা রন্তু’র মা, প্রেমিকা সত্ত্বার সাথে মা সত্ত্বার প্রতিনিয়ত চলা একটা বোঝাপড়ার সংঘাতে শায়লা মানসিকভাবে প্রতিনিয়ত ভীষণ চাপে রয়েছে। এই দ্বৈত সত্ত্বার যুদ্ধে মানুষ শায়লা দিনদিন অসহায় হয়ে যাচ্ছে। বুঝে উঠতে পারছে না, সে কি কোন অন্যায় করছে? ইরফানের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়াটা কি ভুল হচ্ছে? শায়লা জানে না, কিচ্ছু জানে না। জানতে চায় না...

'রন্তু'র কালো আকাশ' এর আগের সব পোস্টগুলোঃ
রন্তু'র কালো আকাশ - ১
রন্তু'র কালো আকাশ - ২
রন্তু'র কালো আকাশ - ৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ৪
রন্তুর কালো আকাশ - (১-৫)
রন্তু'র কালো আকাশ - ৬
রন্তু'র কালো আকাশ - ৭
রন্তু'র কালো আকাশ - ৮
রন্তু'র কালো আকাশ - ৯
রন্তু'র কালো আকাশ - ১০
রন্তু'র কালো আকাশ - ১১
রন্তু'র কালো আকাশ - ১২
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৪
রন্তু'র কালো আকাশ (পর্ব ১-১৪ ফিরে দেখা)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আব তেরা ক্যায়া হোগা কালিয়া!

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৩ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪১

আব তেরা ক্যায়া হোগা কালিয়া!"


অনেকেই আপত্তি জানাচ্ছেন, কেন সেনাপ্রধান নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুললেন? কিন্তু বিষয়টা একটু ভেবে দেখা দরকার, তিনি কি কোনো টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বা জনসমক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন? না।
তিনি শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৫৫

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৩ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০০



১। একজন নামকরা ডাক্তার আছেন।
তার সিরিয়াল পেতে দুই-তিন মাস সময় লাগে। এই ডাক্তার আমার মাকে দেখানো হবে। কিন্তু সিরিয়াল পাচ্ছিলাম না। শেষে একজন বললেন, যে ব্যাক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা সাতজন - বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে প্রধান অন্তরায় !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:২৬


সংকট ঘনীভূত; ড. ইউনূস কে ঘিরে একটি চক্র সক্রিয়-শিরোনামে মানবজমিন পত্রিকা একটা এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট করেছে। ড.ইউনূস কে ব্যবহার করে ইন্টেরিম সরকারের ভিতরে চারজন ও বাইরে তিনজন এক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি - জুলাই বিপ্লবের বিশ্বাসঘাতক

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৩ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০১



ডক্টর ইউনুস এই দেশের ক্ষমতায় আর থাকতে চাচ্ছেন না। তবে এর দায় ভারতের নয়, পলাতক স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগেরও নয়। এই দায় সম্পুর্নভাবে এই দেশের বৃহত্তম রাজনৈ্তিক দল বিএনপির। অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের দরীদ্র সমাজ এখনো ফুটপাতে ঘুমাচ্ছেন

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১:৪৪

বেরিয়েছিলাম উত্তরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে। মানিক মানিক মিয়া এভিনিউ পার হওয়ার সময়ে, খামারবাড়ির সামনে গোল চত্বরে হঠাৎ চোখ গেলো। চত্বর ঘিরে সারি সারি মানুষ শুয়ে আছেন। গত সরকারের আমলে আমার এলাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×