যে পথ দিয়ে গিয়েছিলাম
সেই পথ দিয়েই ফিরে এলাম।
সেই আবছা অন্ধকার রাস্তা,
সেই শান্ত পরিবেশ, সেই নির্জনতা।
দু’পাশে সেই গাছপালা,
কতশত পাখীর আবাস মেলা।
নিবিড় আনন্দে নিজেদের মাঝে ডুবে আছে,
নয়ত সবাই মহাশান্তিতে বিশ্রাম করছে।
যেন কারুর কোন অভিযোগ নেই,
কারুর জীবনে কোন হাহাকার নেই।
যেন প্রতিটি হিসেব মিলেছে সবার,
কোন অপূর্ণতা নেই আর।
আমি শুধু একা একা পথ চলেছি
কষ্টগুলো পথে পথে লুটায়ে দিচ্ছি
এই চিরসুখীদের মাঝে দিয়ে পথ চলছি
হয়ত ওদের সবার শান্তি বিনষ্ট করছি।
একসময় বড় বেমানান মনে হল নিজেকে,
এই দুঃখহীন নির্ঝঞ্জাট শান্ত পরিবেশে।
নিঃসঙ্গতার কোন ঠাই নেই এই দুনিয়ায়,
কোন স্থান নেই চিরদুঃখীদের হায়।
রচনাকালঃ ২২ এপ্রিল ১৯৯৯
[তখন ছিল স্বপ্ন দেখার বেলা, হৃদয়ে চলত ভাবনার খেলা। প্রচুর বাংলা গল্প-উপন্যাস পড়া হত, মাঝে মাঝে কোন লেখকের কিছু কথা, কিছু পংক্তি, কিছু বর্ণনা খুব বেশী ভালো লেগে গেলে পরে তা দিয়ে লেখা হত কবিতার ব্যর্থ পঙক্তিমালা। এই কবিতাটি ঠিক তেমনই একটি। এই কবিতাতিও আমার প্রিয় লেখক নিমাই ভট্টাচার্য’র উপন্যাস হতে রচিত, যত সম্ভব ‘তোমাকে’ হতেই নেয়া। এই উপন্যাস হতে রচিত আরেকটি কবিতা কিছুদিন আগে পোস্ট করেছিলাম ( ক্ষণিকের তরে মনের দর্পণে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে] )। ইদানীং অফিসের কাজের এতো চাপ যে, ব্লগে সময় দিতে পারি না। আজ বসলাম ভ্রমণ সমগ্র’র কাজ করতে; চোখ ঢুলু ঢুলু, তখন ভাবলাম এই কবিতা দিয়ে সবার সাথে একটু যোগাযোগ হোক। এই মাসের ভ্রমণ সংকলন ১০ তারিখে পোস্ট করতে না পারায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা রাখি ১৫ তারিখের মধ্যে দিতে পারব। শুভ রাত্রি