বিকেলে হঠাত করেই কারিফউয়ের নোটিশ। এরপর এলো রাত আটটার মধ্যে হল ছাড়ার নিদের্শ। হল ছাড়বো কি ছাড়বো না এই নিয়ে সবার মধ্যে দোটানা। সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় নির্দেশ এলো হল ছাড়ার। আমি তখন অফিসে চলে এসেছি। এক কাপড়েই এখন আছি। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে মোবাইলের নেটওয়ার্ক বন্ধ। ছেলেরা কে কোথায় আছে, কে কিভাবে হল ছাড়লো কিছু জানি না। হলে থাকা মেয়েগুলো কোথায় গেলো জানা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে থাকা প্রায় বিশ হাজার ছেলেমেয়ের বাবা মা উদ্বিগ্ন। কোথায় গেলো তাদের ছেলেমেয়েরা, কিভাবে আছে কারও জানা নেই। কেউ যোগাযোগও করতে পরাছে না। আমি জানি না আমার বন্ধুরা কে কোথায় আছে, কোথায় গেলো? কারও সঙ্গে যোগযোগ করার উপায় নেই। আমার রুমমেট কোথায় আছে? হলেল অন্য বন্ধুরা কোথয়া আছে? মাস শেষ। বেশিরভাগের হাতে টাকা পয়সা নেই। ওরা কিভাবে গেলো, কি খেলো কেউ জানে না।
এই মানসিক কষ্ট কাকে বুঝাবো? এই সরকার কি এই ২০ হাজার শিক্ষার্থীর ক্ষোভ, কষ্ট এই বিশ হাজার শিক্ষার্থীর বিশ হাজার পরিবারের কয়েক লাখ সদস্যের দুশ্চিন্তাকিষ্ট কখনও অনুভব রকরতে পারবে। কি হতো রাত আটটার বদলে ১০ টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিলে। এসব কষ্ট কেউ কখনও বুঝবে না। বুঝবে না এই সরকার।
আচ্ছা কোন সেনা কর্মকর্তার সন্তান, বোন, ভাই বা কোন স্বজন কি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে না। তারা কি একবারও বোঝে না দুর্ভোগের এসব যন্ত্রনা। ইতিহাসই এসবের জবাব দেবে।