সকালে আমার অফিসে ডেসটিনির :-& এক পোলা হাজির। বলে আমার নাকি কোটিপতি হবার পথে মাত্র ৬টা বছরের ব্যাপার



বল্লামঃ তা বাবা কেইসটা খুইলা কও, ধন্য হৈ।
সে যা জানালো তার সারমর্ম হলো এই,
ডেসটিনি এক অভিনব প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেশব্যাপী তারা প্রায় ৫ কোটি





এই গাছের কাঠ দিয়া নাকি বড় বড় কোম্পানির লাক্সারিয়াস গাড়ীর ড্যাশবোর্ড ইত্যাদি কি কি সব হয়।


তারে জিগাইলাম, "তা বাবা এই গাছ কি তুমি স্বচক্ষে দেখেছো?

সে কয়, "না, এইটাতো চীন, জাপান, কোরিয়াতে হয়


আমি বলি, " তো তুমি কেম্নে নিষ্চিত হৈলা যে এই গাছ বাংলাদেশে জন্মাইবো? আর হৈলেও ১০০% গাছ বাঁচার নিশ্চয়তা কি



দেখলাম সে খুবই দৃঢ়তার সাথে জানাইলো, " আমরা সব পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখেছি। কোন সমস্যা নাই। আমরা সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছি গাছ লাগাবার। জায়গা ব্যাপার না





এই সেই Powlonia বৃক্ষ



আমি এইবার সিরিয়াস। বললাম, দেখো বাঙ্গালী হুজুগের জাতি। অনুমোদনকারী কর্মকর্তারাও বাঙ্গালিই হবেন নিশ্চয়ই






কাজেই বাবা, যে দেশে প্রধান ফসল ধান লাগানোর পর্যাপ্ত জমি নাই, চাউল আমদানী করা লাগে। সেখানে আজাইরা বিষয়গুলা নিয়া এতো গবেষণা করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা আমার জানা নাই। তবে আমি এর পক্ষে নই। আমরা কখোনই বৃহত্তর আঙ্গিকে ভাবতে শিখিনি। ভাবি শুধু নিজেরটা নিয়ে।
এখন তুমি রাস্তা মাপ। পরে ভেবে দেখবো।
মনে হলো ছেলেটা এতো কথা শোনার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আসেনাই। সে খুবই বিরক্ত হৈয়া ..................


সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬