কীভাবে সাইটে নতুন আর্টিকেল যুক্ত করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করার আগে সেকশন ও ক্যাটাগরি ম্যানেজারের কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা ভালো। না হলে আগেই আর্টিক্যাল যুক্ত করার বিষয়টি আলোচনা করা হলে অনেকে সমস্যায় পড়তে পারেন। কারণ আর্টিক্যাল যুক্ত করার বিষয়টি পুরোপুরিভাবেই সেকশন ও ক্যাটাগরির ওপর নির্ভরশীল। তাই এ পর্বে শুধু সেকশন তৈরির প্রক্রিয়াটি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সেকশন ও ক্যাটাগরি ম্যানেজার আসলে আপনি কীভাবে সাইটটাকে ভাগ ভাগ করে সাজাতে চাচ্ছেন সেটি ঠিক করে দেয়। আপনি যে সাইট বানাবেন সেখানে হয়তো অনেক বিভাগ থাকবে; বিভাগেরও উপবিভাগ থাকতে পারে। সেকশন ম্যানেজার ও ক্যাটাগরি ম্যানেজার দিয়ে সেগুলো তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার নিজের ব্যক্তিগত লেখালেখির সাইটটি জুমলা দিয়ে করতে চান। সেক্ষেত্রে স্বভাবতই লেখাগুলোকে নানা ভাগে সাজাতে চাইবেন। ধরে নিই, আপনি চাচ্ছেন 2005, 2006, 2007, 2008, 2009, 2010, 2011 ইত্যাদি সালে লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, দিনপঞ্জিগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে সাজাতে। সেক্ষেত্রে সালগুলো দিয়ে আলাদা আলাদা করে সেকশন বানাতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটা সালের জন্য একটি করে সেকশন বানাতে হবে। আর কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও দিনপঞ্জিকে ক্যাটাগরি হিসেবে তৈরি করতে হবে।
সেকশন বানানোর জন্য আপনার জুমলা সাইটে লগইন করুন। যে পৃষ্ঠা আসবে সেখানে Section Manager-এ ক্লিক করুন।

দেখুন সেখানে আগে থেকেই কিছু সেকশন তৈরি করা আছে। প্রয়োজনে সেগুলোকে বদলে নিতে পারেন বা নতুন সেকশন তৈরি করতে পারেন। আমরা প্রথমে নতুন সেকশন তৈরি করব। সেক্ষেত্রে উপরে কর্নারে New বাটনে ক্লিক করুন।

এরকম একটি পৃষ্ঠা আসবে।

এখন সেকশনের নাম দিন। উদাহরণস্বরূপ এখানে 2005 দেয়া হয়েছে। সেকশনটি যেহেতু পাবলিশ করতে চাচ্ছেন সেহেতু পরের Yes বাটনে ক্লিক করুন। Access level-এ যদি সবাইকে অ্যাকসেস দিতে চান, অর্থাৎ সবাই যাতে দেখতে পারে, সে ব্যবস্থা চাইলে Public, যদি শুধু রেজিস্ট্রেশন করা ব্যক্তিদের দেখাতে চান তাহলে পরেরটা আর Special কিছু হলে শেষটি সিলেক্ট করতে হবে। এখানে আমরা Public সিলেক্ট করলাম।
Image অংশে যদি এই সেকশনের জন্য কোনো ইমেজ নির্দিষ্ট করে দিতে চান, তাহলে সেখান থেকে ইমেজ ঠিক করে দিতে পারেন। এই ইমেজগুলো ছাড়াও যদি অন্য কোনো ইমেজ দিতে চান তাহলে সেটি আপলোড করে তারপর সিলেক্ট করতে পারেন। তারপর Image position ঠিক করে দিতে পারেন।
নিচে Description অংশে আপনি এই সেকশনটির কোনো বর্ণনা দিতে চাইলে তা লিখে দিতে পারেন। কাজ শেষে আমাদের সেকশনটির চেহারা দাড়াবে এরকম।

উপরে সেভ করে বেরিয়ে আসুন। দেখুন 2005 নামে একটি সেকশন তৈরি হয়েছে। ঠিক একইভাবে আপনি যতো খুশি সেকশন তৈরি করতে পারবেন।
কোনো সেকশন তৈরি করার পর সেটি সাধারণত Publish অবস্থায়ই থাকে। যদি সেটিকে Unpublish করতে চান, অর্থাৎ এখন হয়তো সেকশনটি তৈরি করে রেখেছেন কিন্তু ব্যবহার করা হবে ভবিষ্যতে, সেক্ষেত্রে বামপাশের বক্সে সিলেক্ট করে উপরে Unpublish বাটনে ক্লিক করুন। তখন সেটা দেখাবে এরকম।

কোনো সেকশন মুছতে চাইলে সেটি সিলেক্ট করে Deleteকরুন। সেকশনের লেখা বা ছবি ইত্যাদি পরিবর্তন করতে চাইলে Edit বাটনে ক্লিক করে তারপর সেগুলো সম্পাদনা করতে পারবেন।
একটি সেকশনের মতো হুবহু আরেকটি সেকশন তৈরি করতে চাইলে যে সেকশনটির মতো তৈরি করতে চাচ্ছেন সেটিকে সিলেক্ট করে Copy বাটনে ক্লিক করুন। এরকম একটি পৃষ্ঠা আসবে।

সেখানে সেকশনের নাম লিখে সেভ দিলেই আগের সেকশনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এরকম আরেকটি সেকশন তৈরি হয়ে যাবে। অর্থাৎ আগের সেকশনে Access level, Image position ইত্যাদি যা যা কনফিগার করেছিলেন, নতুন সেকশনেও তাই তাই আসবে।
মোটামুটি এই হলো সেকশন তৈরির নিয়মকানুন। আগামী পর্বে দেখান হবে ক্যাটাগরি তৈরির নিয়ম।