somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোয়ান্টাম কালচার এবং বিজ্ঞান ও ইসলাম ‌॥ পর্ব ১

০৩ রা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বহুদিন পর ব্লগে আসলাম। আসার পেছনে অবশ্য কারণও আছে। কিছু চিন্তাভাবনা অন্যদের সাথে শেয়ার করা দরকার। প্রথমেই বলুন তো, আপনি কি “কোয়ান্টাম” শব্দটি শুনেছেন? যদি শুনে থাকেন তবে নিশ্চয়ই ভাবছেন যে আমি এখনই “কোয়ান্টাম মেকানিক্সের” কথা বলব। আসলে ব্যাপারটি তা নয়। শিরোনামে কোয়ান্টাম শব্দটি থাকলেও আমার এই লেখার বিষয়বস্তু কিন্তু “কোয়ান্টাম মেকানিক্স” নয় বরং “কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন”। যারা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নাম শুনেছেন তাদেরকে তো আর এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আর যারা এর নাম শোনেননি বা এই ফাউন্ডেশন সম্পর্কে যাদের কোন ধারণা নেই- তাদের ঘাবড়ানোর কিছু নেই, এই লেখাটি পড়তে থাকুন - আশাকরি জানতে পারবেন। মনে প্রশ্ন আসাই স্বাভাবিক যে এই ফাউন্ডেশন নিয়ে এত বড় লেখা লিখার কী দরকার ছিল। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বেশ কিছু ব্যাপার আমার কাছে গড়বর লাগছে। এত বেশি গড়বর লাগছে যে ব্যাপারগুলো আমার জন্য হজম করা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছে, এই লেখাটি সেই বদহজমেরই ফলাফল।

লেখার শুরুতেই কিছু ব্যাপার খোলসা করে বলে ফেলি। আমি বিজ্ঞানপ্রিয় একজন মানুষ, কোন বিজ্ঞানী নই। তাই একজন বিজ্ঞানীর চেয়ে আমার বিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞান অনেক কম হবে সেটাই স্বাভাবিক। আমি আস্তিক এবং ধর্মবিশ্বাসে মনেপ্রাণে একজন মুসলিম, চেষ্টা করি জীবনের সব ক্ষেত্রে কুরআন-সুন্নাহ মেনে চলতে, তবে আমি কোন মুসলিম পন্ডিত নই কিংবা ইসলাম নিয়ে আমার অগাধ জ্ঞান নেই। আমার এই লেখায় বিজ্ঞান ও ইসলাম নিয়ে যা কিছু চলে এসেছে তার সবই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর এই সীমাবদ্ধতাকে পাকপোক্ত করার জন্য বিভিন্ন রেফারেন্স ও ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে রেফারেন্সগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে নাম্বার দিয়ে রেফারেন্সগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। আর লেখায় ব্যবহৃত কোয়ান্টাম মেথড সংক্রান্ত সকল তথ্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট [১] এবং তাদের প্রকাশিত বিভিন্ন বই [২][৩] থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সবগুলো বইয়েরই সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করা হয়েছে।

বিজ্ঞান

আমার এই ছোট্ট জীবনে বিজ্ঞান বেশ বড়সর একটা জায়গা দখল করে আছে। বিজ্ঞানের সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করে - হোক সেটা ডিনামিক্সে দেয়া নিউটনের মূলসূত্রগুলো কিংবা আইনস্টাইনের থিউরি অফ রিলেটিভিটি অথবা এডিসনের তৈরি ইলেক্ট্রিক বাল্ব। বড় বিজ্ঞান ছোট বিজ্ঞান – সবকিছুতেই মুগ্ধ হতে সময় লাগেনা। বাতাসভর্তি বেলুনকে ফাটালে শব্দ হয় – বেলুনের ভেতর কোন বোমা না থাকার পরও কেন শব্দ হয় সেই ব্যাখ্যা পেয়ে আমি মুগ্ধ হই। পানিতে টইটুম্বুর একটা গ্লাসের মুখে কাগজ চেপে গ্লাস উল্টালে পানিও পড়েনা কাগজও পড়েনা - দেখে আমি মুগ্ধ হই। জগদীশচন্দ্র বসু প্রমান করলেন গাছেরও প্রাণ আছে - জেনে আমি মুগ্ধ হই। আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন, সুব্রত বড়ুয়া আর মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা বিজ্ঞানবিষয়ক ছোটদের বইগুলো পড়ে মুগ্ধ হই। বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা, বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, এমনকি বিজ্ঞানী দেখেও মুগ্ধ হই। মোদ্দা কথা বিজ্ঞান আমাকে যেরকম মুগ্ধ করে আর কোন কিছুই সেভাবে আমাকে মুগ্ধ করতে পারেনা। যারা বিজ্ঞান বোঝেন তারা নিশ্চয়ই বিজ্ঞানের নানা কলাকৌশল দেখে আমার মতই মুগ্ধ হন – কেউ কম মুগ্ধ হন আবার কেউবা বেশি মুগ্ধ হন – কিন্তু মুগ্ধ যে হন এটা নিশ্চিত! মুগ্ধ হয়ে বিজ্ঞানকে আরো মহিমান্বিত করার চেষ্টাও করেন অনেকে, বিজ্ঞানকে পৌঁছে দিতে চান মানুষের কাছে।

অবশ্য সবাই যে বিজ্ঞানকে নিয়ে এভাবে ভাবেন তাও কিন্তু নয়, এর বিপরীত অবস্থাও দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে বিজ্ঞান বিষয়টি এখনও সেরকমভাবে জনপ্রিয় হতে না পারলেও “বৈজ্ঞানিক” শব্দটি কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করেই কেউ “বৈজ্ঞানিক” পদ্ধতিতে মাত্র সাত দিনে ইংলিশ শিখিয়ে দিচ্ছে, কেউবা “বৈজ্ঞানিক” পদ্ধতিতে ভাগ্যগণনা করে ভবিষ্যৎ বলে দিচ্ছে আবার কেউ “বৈজ্ঞানিক” পদ্ধতিতে জীবনে সুখ আনবার ট্রেনিং দিচ্ছে। চারপাশে অবৈজ্ঞানিক সব ব্যাপারস্যাপারকে যেভাবে “বৈজ্ঞানিক” শব্দটির মোড়কে ঢেকে ফেলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তা হাতে গছিয়ে দেয়া হচ্ছে - বিজ্ঞানপ্রিয় মানুষ হয়ে আমার জন্য সেটা হজম করা বেশ কষ্টকর।

নিশ্চয়ই বৃত্তান্ত শুনতে ইচ্ছা করছে যে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্কটা কি? বৃত্তান্ত দেবার আগে কিছু বৈজ্ঞানিক কথাবার্তা বলি, তাহলে পরের কথাগুলো বুঝতে সুবিধা হবে আপনার জন্য প্রথমেই আমরা কোয়ান্টাম মেকানিক্স দিয়ে শুরু করি।

কোয়ান্টাম মেকানিক্স

প্রথমেই শুরু করি কোয়ান্টাম মেকানিক্স দিয়ে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স মোটেও সহজ ব্যাপার না, বাঘা বাঘা লোকজনও এই থিওরি বুঝতে গিয়ে ঘোল খায়। এর এই কঠিন দিক নিয়ে রসবোধে বরপুর বিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান রসিকতা করে বলেছিলেন, “I think I can safely say that nobody understands quantum mechanics.”[৪] সহজ ভাষায় কোয়ান্টামতত্ত্ব লেখা মোটেও চাট্টিখানি কথা না। এ কারণে সহজ ভাষায় সবার বোধগম্য করে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য প্রয়াত কথা শিল্পী হুমায়ুন আহমেদের লেখা "কাঠপেন্সিল" বইটির[৫] উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

এমন একটা সময় ছিল যখন পদার্থ বিজ্ঞানই ছিল মূল বিজ্ঞান, আর পদার্থ বিজ্ঞানের মূল ব্যাপার-স্যাপারগুলো এসেছিল আইজাক নিউটনের সূত্র ধরে। সেটাকে বলা হত ক্লাসিকাল মেকানিক্স। সবকিছু সেসব সূত্র মেনেই চলছিল। একসময় ধারণা করা হল যে পদার্থবিদ্যার সবকিছুই আবিষ্কার হয়ে গেছে, নতুন আর কিছুই আবিষ্কার করার নেই। পুরো পদার্থবিদ্যা জগতে নেমে এল স্থবিরতা। পদার্থবিদ্যা বাদ দিয়ে লোকজন জীববিজ্ঞান, রসায়ন - এইসব ব্যাপার নিয়ে মেতে উঠল। পদার্থবিদ্যার যখন এই অবস্থা তখন হঠাৎ দেখা গেল যে পদার্থবিদ্যার বেশ কিছু জিনিস ক্লাসিকাল মেকানিক্স দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছেনা। যেমন ইলেক্ট্রনের আচরণ। আর সেরকম এক সময়ই ম্যাক্সপ্ল্যাংক কোয়ান্টাম মেকানিক্স নামে এক বিদ্যা তৈরি করে ফেললেন। এর মধ্যে হাইজেনবার্গ তাঁর বিখ্যাত “অনিশ্চয়তার সূত্র”টি দিয়ে দিলেন। তিনি বললেন যে কোন বস্তুর গতি ও অবস্থান কখনোই একসাথে বের করা যাবেনা, কিছু অনিশ্চয়তা থাকবেই। এই অনিশ্চয়তা কতটুকু তাও তিনি বের করে দিলেন। আইনস্টাইন সে সময় খুব বিরক্ত হলেন। তিনি বললেন, সব বস্তু যেহেতু প্রকৃতির মাঝে রয়েছে তাই প্রকৃতি সব বস্তুর বেগ ও অবস্থান জানে, প্রকৃতিতে কোন অনিশ্চয়তা নেই। কাজেই আমাদের উপর কোন অনিশ্চয়তা নেই। এ সময়ই আইনস্টাইন তাঁর বিখ্যাত উক্তিটি করেন - “ঈশ্বর পাশা খেলেন না (God does not play dice)”। তিনি উঠে পড়ে লাগলেন “অনিশ্চয়তার সূত্র” ভুল প্রমাণ করার জন্য। কিন্তু তা করতে গিয়ে তিনি থিওরিটিকে আরো পাকা পোক্ত করে ফেলেন। নিলস বোর তাঁকে দেখিয়ে দেন যে কিভাবে অনিশ্চয়তা কাজ করছে। আইনস্টাইন বাধ্য হয়ে সূত্রটির যথার্থতা স্বীকার করলেও, তিনি কোয়ান্টাম থিওরি নিয়ে কখনোই পুরোপুরি নিঃসন্দেহ হতে পারেননি।

আইনস্টাইনের মত কোয়ান্টাম থিওরি বাতিল প্রমাণ করার জন্য কাজ করছিলেন বিজ্ঞানী শ্রোডিঙ্গার। তিনি নিজে যদিও কোয়ান্টাম ফিজিক্সের জনকদের একজন (এবং তরঙ্গ সমীকরণ বা Wave Equation এর আবিষ্কারক), তারপরও পদার্থবিদ্যায় সম্ভাবনা (probability) ও অনিশ্চয়তার ব্যাপার তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেননা। তিনি এক কল্পিত এক্সপেরিমেন্টের কথা বললেন। সেই এক্সপেরিমেন্টে একটি বেড়াল আছে একটি বাক্সের মধ্যে, যে বাক্সে রয়েছে এক বোতল বিষাক্ত গ্যাস, বোতলের উপর একটা হাতুরি, হাতুড়িটা আবার একটা গিগার কাউন্টারের (যা দিয়ে তেজষ্ক্রিয়তা মাপা হয়) সাথে যুক্ত, কাউন্টারটির পাশেই রয়েছে একটুকরো তেজষ্ক্রিয় ইউরেনিয়াম। ধরা যাক, ৫০% সম্ভাবনা যে ইউরেনিয়াম অ্যাটম এক সেকেন্ড পর ভেঙ্গে যাবে। সাথে সাথেই গিগার কাউন্টারটি সচল হবে, ফলে হাতুরি আছড়ে পড়বে বোতলে, শুরু হবে বিষক্রিয়া। এখন এই ঘটনার ফলে বাক্সের ভেতর বেড়ালটি বেঁচে আছে কি মারা গেছে - এ প্রশ্নের সাধারন কোন উত্তর নেই, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বেড়ালটি বেঁচেও আছে আবার মারাও গেছে - এই দুই অবস্থাতেই বিদ্যমান। অর্থাৎ একটি বিড়ালের দুটি wave function থাকবে। বাক্স না খোলা পর্যন্ত আমরা বলতে পারছিনা যে বিড়ালটি জীবিত না মৃত। বাক্স খুললেই কেবল তা জানা সম্ভব, আর তখনই বিড়ালের wave function collapse করবে। শ্রোডিঙ্গারের কাছে ব্যাপারটি খুবই হাস্যকর ছিল। তিনি বললেন, আমরা যখন দেখব তখনই বিড়ালের ভাগ্য নির্ধারিত হবে, তার আগে না - এ কেমন কথা?

এই বার নোবেলবিজয়ী পদার্থবিদ ইউজিন উইগনার এগিয়ে এলেন শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল সমস্যার সমাধানে। তিনি বললেন যে, “চেতনাই বস্তুর অবস্থানের নিয়ন্তা (Consciousness determines the existense)”। কার চেতনা? যে ঘটনাটি দেখছে তার চেতনা, অর্থাৎ Observer এর চেতনা। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম – যদি Observer এর মধ্যে চেতনা থাকে থাকে তবেই ওয়েভ ফাংশন কলাপ্সের বিষয়টা চলে আসে। সমস্যা দেখা দিল যখন চেতনাকে সংজ্ঞায়িত করতে যাওয়া হল তখন। কারণ পদার্থবিদ্যায় চেতনার কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। পদার্থবিদ্যা চেতনা নিয়ে কাজ করেনা, এটা মনোবিজ্ঞানের বিষয়। বেশিরভাগ ভৌত বিজ্ঞানীরা আবার মনোবিজ্ঞানকে পাত্তা দেননা।[৬] কারণ তাদের মতে মনোবিজ্ঞানে কোন কিছুরই সেরকম কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। যেমন ধরুণ - “সুখ”। আপনি কিভাবে সুখকে সংজ্ঞায়িত করবেন? কারণ এই জিনিসটা নিয়ে একেকজনের অনুভূতি একেক রকম – এর কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। তাছাড়া এর কোন পরিমাপও নেই। এক কেজি সুখ বা দুই মিটার সুখ – এভাবে কি সুখকে মাপা যায়? সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা ও পরিমাপ ছাড়া বিজ্ঞান কাজ করেনা। যার ফলে দেখা যায় যে মনোবিজ্ঞান সত্যিকারের বিজ্ঞান কীনা সেটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাঝে প্রায়ই তর্কবিতর্ক চলে - সে আরেক মজার কাহিনী!

যাই হোক, আগের কথায় ফেরত আসি। চেতনাকে যখন সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা যাচ্ছেনা, তখন বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করলেন যে চেতনা ব্যাপারটা নেই এমন থিওরি দিতে। এবং তারা সমস্যার একাধিক সমাধানও করে ফেললেন। এই ওয়েভ ফাংশন কলাপ্সের বিষয়টা বেশ কিছু কোয়ান্টাম ইন্টারপ্রেটেশন থেকে এসেছে, এর মধ্যে কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রেটেশন খুব বিখ্যাত। কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রেটেশনে ওয়েভ ফাংশন কলাপ্সের কথা বলা আছে ঠিকই কিন্তু ঠিক কী বা কে “অবজার্ভার” হিসেবে বিবেচিত হবে তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা নেই। সুতরাং তিনি শুধুমাত্র “কনসাস অবজারভার (conscious observer)” ইন্টারপ্রেটেশনটি বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে নীলস বোরসহ অনেকেই ওয়েভ ফাংশন কলাপ্সকে শুধু প্রতীকী উপস্থাপনা বলে আখ্যায়িত করেছেন।[৭] শেষমেষ ইউজিন উইগনার নিজেই চেতনার ব্যাপারস্যাপার থেকে সরে দাঁড়ান। [৮]

এদিকে জার্মান পদার্থবিদ ডিটিয়ার বেন বিড়াল সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে বলেন যে জীবিত বিড়ালের ওয়েভ ফাংশন আর মৃত বিড়ালের ওয়েভ ফাংশন আলাদা থাকবে, একটির সাথে অন্যটির কোন যোগ থাকবেনা। ফলে কোন অবজার্ভারের দরকার পড়বেনা। হিউ এভার্ট লিখলেন যে শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল একই সাথে জীবিত ও মৃত, কারণ জগৎ দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে, এক জগতে বিড়াল মৃত অন্য জগতে বিড়াল জীবিত। জগৎ দুটি একই জায়গায় একই সময়ে হলেও তারা সম্পূর্ণ আলাদা। জগৎ যদি ভাগই হয় তবে দুটো ভাগে কেন ভাগ হবে? আরো বেশি ভাগেই ভাগ হয়ে যাক! তৈরি হল মাল্টিভার্স থিওরি, যেখানে একইসাথে একাধিক জগৎ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আমি বরং আর না এগোই। কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে নিশ্চয়ই মাথায় এতক্ষণে কঠিন প্যাচ লেগে গেছে? তো এই হচ্ছে অতি সংক্ষেপে অতি সহজ ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স। কোয়ান্টাম মেকানিক্স ঠিকমত বুঝতে বা বুঝাতে হলে অংকের সাহায্য নিতেই হবে, এখানে অংক প্রয়োগের সে সুযোগ নেই বলে কোয়ান্টাম থিওরিকে অতি সরল লাগলেও লাগতে পারে।

চলবে ...

রেফারেন্সসমূহঃ
১। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর ওয়েবসাইট - http://quantummethod.org.bd
২। সাফল্যের চাবিকাঠি কোয়ান্টাম মেথড - মহাজাতক; পরিবর্ধিত নতুন সংস্করণ - জানুয়ারী, ২০০০।
৩। কোয়ান্টাম হাজারো প্রশ্নের জবাব - পর্ব ১ ।। মেডিটেশন - মহাজাতক; প্রথম প্রকাশ - ১৫ জুন, ২০১২।
৪। The Character of Physical Law - Richard Feynman, 1965.
৫। আমি - হমায়ুন আহমেদ, অন্যপ্রকাশ, একুশে বইমেলা ২০১১। পৃষ্ঠা - ২১০।।
৬। Click This Link
৭। Click This Link
৮। Michael Esfeld, (1999), Essay Review: Wigner’s View of Physical Reality, Studies in History and Philosophy of Modern Physics, 30B, pp. 145-154, Elsevier Science Ltd.
১৩টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×