somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন হতভাগ্য পিতার কথা বলছি- প্লিজ এড়িয়ে যাবেন না। এ দায় আমার, আপনার, আমাদের সবার।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যে পিতাটির কথা বলব তাকে নারায়ণগঞ্জের সবাই এক নামে চিনেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখের সংসার। বড় সন্তানটিকে নিয়ে তার অনেক আশা। ছেলেটিও অনন্য মেধাবী। ছেলেটি দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে- এমনটিই আশা তার পিতার।

পিতাটি হচ্ছেন- চেতনার গাছে জল-সিঞ্চনকারী একনিষ্ঠ সেবক। মনন ও চেতনা জুড়ে রয়েছে হাসিনীয় আওয়ামী লীগের আদর্শ। তাই দেশের কোন সমস্যা নিয়ে কেউ তার কাছে অভিযোগ করলে তিনি অনায়েসে বলতে পারতেন- এসব জামাত-শিবিরের কাজ কিংবা যুদ্ধাপরাধীর বিচার বাঁধাগ্রস্ত করতেই এসব করা হয়েছে। সব কিছুই ঠিক ছিল, ঠিক ভাবে চলছিল। খালি নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের আগে তিনি শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে গিয়ে আইভির পক্ষে কাজ করেছিলেন। কি দূর্মতি! হাসিনীয় আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে হাসিনার পছন্দের প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ!!!! দূর্মতি নয় তো কি????


দেশ জুড়ে তখন চলছিল দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। যদিও প্রথম মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়- মুক্তিযুদ্ধরাসহ দেশের আপামর জনতা ছিল অসহনীয় কষ্টের মাঝে (কিছু সংখ্যক আওয়ামী নেতার কলকাতার বিলাসজীবন বাদে)। আর এই নয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় চলছিল দুমুর্খেরা বলে আমোদ-প্রমোদের জলসা (এতদিন যা করত ঘরে গোপনে তা শুরু হলো দেশের সব ব্যস্ত রাস্তায়) আর বিরায়ানি উৎসব। এই উৎসবের ঢেউ লেগেছিল নারায়ণগঞ্জেও। তিনিও একটি মঞ্চ বানিয়ে বসলেন। আর গণহারে সবাইকে রাজাকার ট্যাগ দিতে শুরু করলেন। লোকজন যখন বলত, ভাই পদ্মা সেতু, হলমার্ক, কুইক রেন্টালরে কথা একটু বলেন না। অন্য সবার মত সুর করে তিনিও বলতেন আমরা বাংলা পরিক্ষা দিতে এসেছি এখন ইংরেজি পরিক্ষা দিতে পারব না। কেউ যখন একটু বেশি বিরক্ত করে বলত কিন্তু আপনারা আর কি কি জানি বন্ধ করতে চান, এটা কেন?? তখন তিনিও বলতেন তুই রাজাকার। এভাবে তিনি অক্লান্ত সংগ্রাম করতে থাকলেন ভিন্নমতকে টুঁটি চেপে ধরতে আর নিজেকে নেত্রীর অনুগত প্রমান করতে। যাতে তার নেত্রীর VISION 21 পূর্ণ হয়।

এরই মধ্যে ঘটে গেল এক হৃদয়- বিদারক ঘটনা। পথভ্রষ্টরা বলে- পরকীয়ার বলি হলেন মহান ও মুক্তমনা থাবা বাবা। কিন্তু তার কাছে তিনি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ। অন্য সবার সাথে সুর করে পিতাটি CIA, FBI থেকেও দ্রূত বলে দিলেন এটা জামাত-শিবিরের কাজ।

তারপরের ঘটনা আরো মর্মান্তিক, হৃদয়- বিদারক। একদিন বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে এল না তার আদরের মেধাবী বড় পুত্র। তার লাশ পাওয়া যায় নদীর ধাঁরে। বরাবরের মতই CIA, FBI থেকেও দ্রুত চেতনাধারীরা বলে উঠেন এটা জামাত-শিবিরের কাজ। জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ কর। সব কয়টা আওয়ামী টিভি, রেডিও, পত্রিকা, ফেইসবুক পেইজ আর বুদ্ধিজীবী এবং নয়া এলিট ফেইসবুক সেলিব্রেটিদের একমাত্র কাজ হয়ে যায় ত্বকী হত্যা। সারা দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেল কবিতা লেখা, স্টাস্টাসে ভরে গেল ফেইসবুক। কিবোর্ডে আগুন ছুটতে লাগলো। যতটা না হত্যার বিচার চায় তার চেয়ে বেশি চায় জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করা। যেন জামাত এই জীবনের প্রথম পাপ করল। জামাত নিষিদ্ধের হাজারটা কারন আগে থেকেই বিদ্যমান। খালি একজন চুপ।

শিরোনামেই বলেছি, তিনি একজন পিতা- সবকিছুর আগে তিনি একজন পিতা। তাই এইবার আর চেতনার আফিম খেয়ে চূপ থাকতে পারলেন না। তিনি বলে উঠলেন, জাশি নয়, আমার সন্তানের মৃত্যুর কারন প্রধানমন্ত্রীর এক আত্মীয়।


তারপর সব চুপ। টিভি, রেডিও, পত্রিকা, ফেইসবুক পেইজ আর বুদ্ধিজীবী এবং নয়া এলিট ফেইসবুক সেলিব্রেটি সবাই চুপ, কবির কলম থেমে গেল। কিবোর্ডে আর আগুন জ্বলে না। ফেব্রুয়ারী জুড়ে তার এত সমমনা সবাই চুপ (মুষ্ঠিমেয় কিছু ছাড়া)। তার নেত্রী, তার দল। তিনি বুঝলেন হাসিনীয় আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার আত্মীয়ের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না।
পিতাটি এখন নিরবে কাঁদেন। মুখ লুকান স্ত্রী- বাকি সন্তানদের কাছে। কারন তাদের চোখ যেন বলছে- তোমার দায় নিয়েছে আমার সন্তান। তবে কেন তোমার দল আমাদের বিরুদ্ধে। তবে এই কী তোমার আনুগত্যের প্রতিদান।

এইবার চেতনাধারীদের বলতে চাই, আর চূপ করে থাকবেন না। আপনাদের সর্বোচ্চ চেষ্ট্রা করেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ হক। এই পিতাটি কিন্তু যেকোন দিন আপনি হতে পারেন। আজ যা আপানার কল্পনার বাইরে। কাল তা হতে পারে ধ্রুব সত্য।

দায় আছে জাতীয়তাবাদীদেরও

চেতনাধারীরা চুপ থাকবে জানা কথা। কিন্তু প্লিজ আপনারা চুপ থাকবেন না। এটা তাদের অন্তদন্দ মনে করবেন না। ত্বকী মেধাবী ছিল, সে দেশে সেবা করতে পারত। তার দানে ধন্য হত দেশ। আর সবচেয়ে বড় কথা একটি অন্যায়ের বিচার হওয়া দরকার। সো জিয়ার সৈনিক হিসেবে রাইজ আপ ইউর ভয়েজ।
ত্বকীর আত্মা শান্তি পাক, তার পরিবারকে আল্লাহ ধৈয্য ধারনের ক্ষমতা দিন।

##### আমার আগের ফেইসবুক আইডিটি রিপোর্ট করে ডিস্যাবল করে দেয়া হয়েছে। নতুন আইডিতে প্লিজ রিকোয়েস্ট পাঠান##### ███▓▓▓▒▒▒░░░░ একজন ঘুণপোকা রিটার্ন░░░░▒▒▒▓▓▓███
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×