" সাবধান হও পারমিতা ,
আমার গানের দেহ ছেড়ে আগামীর সমালোচকেরা
তোমাকেই পেয়ে যাবে ফিরে
তখন তোমার হাসি নিয়ে চুল ছেড়া বিচারের খেলা
আগামীর আদালতে যাবে আজকের যত অবহেলা ।।"
.
.
.
গত কয়েকদিন ধরেই টানা শুনে আসছিলাম কবির সুমনের "সাবধান হও পারমিতা" গানটি । গানের চাইতেও আমায় বেশী আকৃষ্ট করেছে "পারমিতা" নামটি ।
পারমিতারা তো সবার জীবনেই কম বেশী থাকে । শুনতে শুনতে ভাবলাম আমার একান্ত ভুবনে ক্ষণজন্মা পারমিতাকে নিয়েও এবার দায়িত্ব নিয়ে কিছু একটা লিখা উচিত ।
খেয়ে দেয়ে কাজ তো করি নেহায়েত একদমই কম । তাই আমার পারমিতাকে নিয়েও লিখে ফেললাম আজেবাজে কয়েকটি লাইন। যারা পারমিতার পরিচয় জানতে ইচ্ছুক লাইনগুলো উৎসর্গ করলাম তাদেরকেই...
..................
পারমিতা,
তোমার প্রিয় আকাশ ছেড়ে বৃষ্টিরা ঝড়তে নারাজ স্বার্থপর পৃথিবীতে
জীবনের প্রতিটি বর্ষা তাই বৃষ্টিহীন ।
যথোচিত প্রণয়ের রঙিন অদৃষ্টরা পরস্পর কালো অধ্যায়ের সাক্ষী
অভিশাপকে শাস্তি মেনে নিয়ে আমায় প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে প্রতিদিন
উপেক্ষণীয় তুচ্ছ ভালো না লাগার যে ভবিষ্যতের সাথে তুমি
শুভদৃষ্টি ঘটালে
জেনে রেখো পারমিতা,
আমার আটপৌরে ভালোবাসারা সাক্ষী থাকবে
ধুমান্ধকার সে শুভদৃষ্টি তোমার চোখের পলক আটকাতে পারবে না ।
রাতের আকাশের আলোর অস্পস্ট ছোপের মত
তোমার চোখেও ঝাপসা আধার নামবে
প্রায়শ্চিত্ত শেষ হলেই
সে আধারে নির্জলা উপবাসে আমরা শুভদৃষ্টি ঘটাবো ।
নিষ্পত্র পোশাকে আবশ্যিক শয্যায় দুজনে
জমাট বাধা থকথকে পেট্রোল হয়ে
শুয়ে থাকবো অচৈতন্য নিদ্রারোগে
গিরিপথের সঙ্কীর্ণ গলি ভেদ করবে আমার নিঃশ্বাস
সুমের দেশীয় তিমির মতো ইট সুরকি মিশ্রিত পাকা বিছানায়
দুর্বোধ্য প্রেমপত্র পাঠ করবে তুমি ...
...
...
...
তারপর
সফেদ চাদরের দাম্পত্যবিহীন সম্পর্কগুলো বৈধতার খাম খুঁজে বেড়াবে
সুখের সন্ধানে ছুটাছুটি করে ক্লান্ত তুমি
আমার হটকারিতায় খানিকটা বিরক্ত হতে পারো
তবে তুমি খুশি হবে এই ভেবে যে আমি তোমায় খুন করিনি
গাদ্যিক গণিকাবৃত্তিতে রেখেছি তোমায় আজও জীবন্ত ।
ওরা বলবে
হ্যালুসিনেশনকে অভ্যাসে পরিণত করেছে তোমার অনুপস্থিতি
ওরা জানবেনা
তোমার উপস্থিতিগুলো চিরোদিনই ছিলো পাসওয়ার্ড বন্দী ।