আজ শুক্রবার ভোর চারটার দিকের ঘটনা । বেচারা গরিব মানুষ । সারা রাত সম্ভবত ভ্যান দিয়ে মাল আনা নেওয়া করছে । শেষরাতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমাইতেছিল কারওয়ানবাজারে সড়কদ্বীপের কাছে । একটা বাঘ যে তাঁর প্রাণ নেবার জন্য দাঁড়িয়ে আছে খেয়াল করে নি ।
বুঝতে না পারলে খোলাসা করেই বলি "রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সড়কদ্বীপের ওপর বসানো বাঘের ভাস্কর্য পড়ে এক ভ্যানচালক মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোর চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে । বাঘের ভাস্কর্যের পাশে ভ্যানগাড়ির ওপর চালক ঘুমিয়েছিলেন । ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।"
ভাইরে বাংলাদেশে মৃত্যু যে কত বিচিত্র রূপে আসে এটি তারই এক নমুনা । সভ্য দেশ হলে তার পরিবার বিরাট অংকের ক্ষতিপূরণ পাইত। এইধরনের দুর্বল অবকাঠােমা নির্মানের দায়ে অবশ্যই সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে হত । পদত্যাগ করা লাগত । এই অভাগার পরিবারেরর এখন কি হইবে ?
অবশ্য এইটা যে বাংলাদেশ । কী কইতাম যেদেশে কারখানা, বিল্ডিং , সেতু ভেঙে পড়ে শত সহস্র মানুষ মরলেও কর্তৃপক্ষ বহাল তবিয়তে থাকে । সেখানে সামান্য প্রাণহীন বাঘের নিচে চাপা পড়ে কোথাকার এক অখ্যাত ভ্যানচালক মরলে তার দায়তো সেই হতভাগার যে ভাস্কর্যের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারালো । সে ঘরে কি ঘুমাইতে পারে নাই? বেটার উচিত শিক্ষা হইছে । ভাস্কর্যের নিচ কি ঘুমানোর জায়গা ? কেন সে রাস্তায় ঘুমাইতে গ্যাছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬