somewhere in... blog

একজন সম্মানিত মানুষের জন্য কিছু জড় পদার্থ কিংবা অপর কোনো মানুষ কি প্রভু হতে পারে?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারাদেশে মহাসমারোহে হিন্দুসম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা চলছে। মন্দিরের পাশাপাশি দেশের প্রায় স্থানেই অস্থায়ী বিভিন্ন মন্ডপ বানিয়ে তাতে পূজা করা হচ্ছে। ৫ দিনব্যাপী দুর্গাপূজার আজ ৪র্থ দিন। গতকাল ছিলো অষ্টমী আজ নবমী। গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী পূজা। এবার নয় বছরের এক কুমারী মেয়েকে দেবীর আসনে বসানো হয়। তারপর মাতৃজ্ঞানে তাকে পূজা করা হয়। এরপর রাত ১টা ২১ মিনিট থেকে ২টা ৯ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধি পূজা। আজ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দেবীর মহানবমী বিহিত পূজা শেষ হয়েছে। আগামীকাল দশমীর দিন হবে দেবীদূর্গার বিসর্জন।

বাসা থেকে অফিসে আসার পথে একটি অস্থায়ী পূজামন্ডপ তৈরী হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত আসা-যাওয়ার পথে মন্ডপের পূজার খানিকটা দেখার সুযোগ হয়েছে। হিন্দুমতাবলম্বীদের এই মহাযজ্ঞ দেখে আমার কেবলই মনে হচ্ছিলো, একজন সম্মানিত মানুষের জন্য তারই হাতে গড়া মাটি পাথরের কিছু মূর্তি তা কিভাবে সেই মানুষটির দেবতা বা প্রভূ হতে পারে?
যেই মূর্তিগুলো তার সামনে দিয়ে রাখা মিঠ-মন্ডা আর রকমারি খাবার খাওয়া তো দূরের কথা, খাবারের উপর বসে থাকা মাছি গুলোকেও তাড়াতে পারে না তারা কিভাবে এতো শক্তিমান বলে পূজা পেতে পারে? পূজা শেষে মূর্তিগুলোকে যখন পানিতে ফেলে দেয়া হয় তখন এই দেবতাগুলো তো নিজেকে রক্ষাও করতে পারে না, তাহলে কিভাবে সে সর্বশক্তিমান হতে পারে?

এই ব্লগে হিন্দুধর্মাবলম্বী অনেকেই আছেন। আমার এই লেখা তাদের কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়। কারো ধর্মের উপর আঘাত করার জন্যও নয়। বরং স্বাভাবিক বিবেক দ্বারা একটু নিজেদের কাজ-কর্মগুলোকে একটু মূল্যায়ন করার জন্যই এই লেখা। আজকে আপনাদের সামনে যদি এই সত্য তুলে না ধরি, তাহলে কিয়ামতের দিন আপনার আগে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে, আমরা কেনো আপনাদেরকে অন্তত: একবারও বিষয়টি বলি নি। মুসলিম দায়ীদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গত কয়েকদিনে এ ব্যাপারে তেমন কোনো লেখা চোখে পড়েনি। অথচ এটা খুবই প্রয়োজন ছিলো।

ইসলাম ভিন্ন ধর্মের লোকদেরকে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে বাঁধা দেয় না। ভিন্নধর্মের প্রত্যেককে স্বাধীনতা দেয়। পাশাপাশি তাদেরকে সৃষ্টির সেরাজীব হিসেবে ইহকালের মতো পরকালেও তাদের কল্যাণের জন্য প্রকৃত সত্যের দাওয়াতও দেয়। সত্য ও সঠিক বাস্তবতা তাদের সামনে তুলে ধরতে বলে। এরপর যার যা ইচ্ছা সে তা গ্রহণ করতে পারে। তাই ভিন্ন ধর্ম বা মতের যারা আমাদের আশ-পাশে আছেন, ধীরে ধীরে আগুনের দিকে ধাবিত হচ্ছেন, তাদেরকে সেই আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য সামান্য হলেও চেষ্টা করা তো দীনী ও নৈতিক দায়িত্ব। তাই ভিন্ন মতাবলম্বী সকল ভাইদের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে, আমরা কি করছি? তা আসুন আমরা একবার একটু ভেবে দেখি।

আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব হচ্ছে মানুষ। এই মহাবিশ্বের সকল সৃষ্টির মাঝে একমাত্র এই মানবজাতিকেই সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এই ধূসর পৃথিবীর বুকে জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপায়-উপকরণ প্রস্তুত করে তারপরই সৃষ্টি করা হয়েছে শ্রেষ্ঠজীবকে। অনেক সুন্দর অবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষ। দেখার জন্য চোখ, শ্রবণ করার জন্য কান, ঘ্রাণ নেবার জন্য নাক, আহার করার জন্য মুখ কতই না সুন্দরতমভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটিকে আবার বিরূপ আবহাওয়া ও প্রতিকূল অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরোধক ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এই সবগুলো জিনিষকে সুচরু রূপে পরিচালনা করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে মস্তিস্ক। লক্ষ-কোটি সেল বিশিষ্ট্য ব্রেণ। দেয়া হয়েছে বিবেক। এমন সুন্দরতম সৃষ্টি কি এমনি এমনিই হতে পারে?
একটি সুস্থ্য বিবেক এই সকল মহাসৃষ্টির পেছনকার সৃষ্টিকর্তাকে কখনই ভুলে যেতে পারে না। একজন বিবেক সম্পন্ন নীতিবান মানুষ অবশ্যই বলবে যে, এর পেছনে একজন স্রষ্টা আছেন। এগুলো এমনি এমনিই হতে পারে না। কোনো দুর্ঘটনা কিংবা অকস্মাৎ বিপর্যয়ে এতো সুন্দর অবয়ব সৃষ্টি হতে পারে না। দুর্ঘটনা কিংবা বিপর্যয়ের সৃষ্টি কদাকার ও স্থুল অবয়ব পেতে পারে কিন্তু এমন পরিশীলিত ও পরিকল্পিত সুন্দরতম রূপ পরিগ্রহ করতে পারে না।

এই বিশাল মহাবিশ্ব এবং তার মধ্যকার শ্রেষ্ঠ মানবের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার নাম বলতে অনাগ্রহীদের কেউ হয়তো এক্ষেত্রে একটি ‘শক্তি’ কিংবা ‘প্রকৃতি’ বলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করবেন। এতো সুন্দর এক সুবিশাল মহাবিশ্ব ও এর মধ্যকার সকল সৃষ্টিকে ‘প্রকৃতি’র দান কিংবা এক ‘শক্তি’র কাজ বলে মন্তব্যকারীগণ আসলে মৌনভাবে মহান আল্লাহকে স্বীকার করে নেন। কিন্তু প্রকাশ্যে এটি বলেন না বা বলতে চান না। কারণ প্রকাশ্যে এটির ঘোষণা দিলে তখন তো মহান আল্লাহর সৃষ্টি হিসেবে মহান আল্লাহর দেয়া নিয়ম অনুযায়ী চলার একটি বাধ্য-বাধকতা এসে যাবে। স্বেচ্ছাচারী জীবনের লাগাম টেনে ধরতে হবে। তাই এ থেকে বাঁচার একমাত্র সহজতম পথ হলো আল্লাহর নামটি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া।
স্রষ্টাকে স্বীকার করে না এমন লোকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এই সামান্য সংখ্যক মানুষ ছাড়া মানবজাতির অধিকাংশ লোকই এ ব্যাপারে সম্যক অবগত যে, এমনিতেই এই মহাবিশ্ব এবং তার মধ্যকার প্রাণীজগত সৃষ্টি হয় নি। সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই একজন আছেন। কিন্তু এরপর মানুষের মধ্যকার একটি উল্লেখযোগ্য বিশাল অংশ সৃষ্টিকর্তা ও রব হিসেবে একাধিক স্বত্ত্বার তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন। কেউ এক্ষেত্রে ৩ জনকে, কেউ আবার ৩৩ কোটি দেবতাকে, আবার অনেকে শেষ পর্যন্ত নিজকেই স্রষ্টা ও রবের আসনে বসানোর মতো গর্হিত কাজ করেছেন।

যদি একাধিক সৃষ্টিকর্তা/রব কিংবা প্রভু থাকতো তবে এই সুন্দর পৃথিবী ও সুশৃংখল সুবিশাল এই পৃথিবী এমন সুন্দর থাকতো না। একাধিক রবের আভ্যন্তরীন দ্বন্দ ও সংঘাতে সবুজ, শ্যামল এই সুন্দর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতো। কুরআনে বিষয়টিকে যেভাবে বলা হয়েছে,
لَوْ كَانَ فِيهِمَا آَلِهَةٌ إِلا اللَّهُ لَفَسَدَتَا فَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ (২২)
অর্থ: “যদি এই যদি আসমান ও যমীনে আল্লাহ ছাড়া বহু ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত, সুতরাং তারা যা বলে, আরশের রব আল্লাহ তা থেকে পবিত্র।” (সূরা আম্বিয়া ২১, আয়াত ২২)

যদি আমরা আমাদের বিবেক দ্বারা একটু চিন্তা করি, তাহলে অবশ্যই আমরা বুঝতে পারবো যে, বাস্তবিকই এই মহাবিশ্বে একাধিক ইলাহ বা প্রভূ থাকা সম্ভব নয়। একাধিক প্রতিপালক হলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ ও সংঘর্ষ অনিবার্য। যেমনটি হিন্দুদের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থেও বলা হয়েছে। তাদের ধারণাকৃত একাধিক দেবতার মধ্যকার সংঘাত ও যুদ্ধ নিয়ে বিশাল কল্প কাহিনীও আছে। আসলে বাস্তবেও যদি এতো দেবতা হতো তাহলে তাদের সংঘর্ষে সব বিরাণ হয়ে যেতো। এতো সুন্দর পৃথিবী আর থাকতো না।

কোনো জড়পদার্থ কিংবা কোনো মানুষ অপর কোনো মানুষের প্রভু হতে পারে না। জড়পদার্থ এবং বিভিন্ন মূর্তির উপাসনাকারীদেরকে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা কত দরদ নিয়ে একটু চিন্তা করার অনুরোধ করেছেন নিম্নোক্ত আয়াতে,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ ضُرِبَ مَثَلٌ فَاسْتَمِعُوا لَهُ إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ لَنْ يَخْلُقُوا ذُبَابًا وَلَوِ اجْتَمَعُوا لَهُ وَإِنْ يَسْلُبْهُمُ الذُّبَابُ شَيْئًا لا يَسْتَنْقِذُوهُ مِنْهُ ضَعُفَ الطَّالِبُ وَالْمَطْلُوبُ
অর্থ: “হে মানুষ, একটি উপমা পেশ করা হল, মনোযোগ দিয়ে তা শোন, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তারা কখনো একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না। যদিও তারা এ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়। আর যদি মাছি তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নেয়, তারা তার কাছ থেকে তাও উদ্ধার করতে পারবে না। অন্বেষণকারী ও যার কাছে অন্বেষণ করা হয় উভয়েই দুর্বল।” (সূরা হজ্জ ২২, আয়াত ৭৩)
অপর এক আয়াতে তিনি বলছেন,
أَمِ اتَّخَذُوا آَلِهَةً مِنَ الْأَرْضِ هُمْ يُنْشِرُونَ (২১)
অর্থ: “তারা যেসব মাটির দেবতা গ্রহণ করেছে, সেগুলি কি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম? ” (সূরা আম্বিয়া ২১, আয়াত ২২)

এই মূর্তি ও জড়বস্তুগুলো সুপারিশকারী হিসেবেও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কারণ যেই জড়পদার্থগুলো নিজেরাই নিজেদের কোনো উপকার করতে পারে না তারা সৃষ্টির সেরাজীব আশরাফুল মাখলুকাতের জন্য সুপারিশ করে কিভাবে তাদের উপকার করবে? তাদেরকে সুপারিশ করার অনুমতি কে দিয়েছে?
وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَؤُلَاءِ شُفَعَاؤُنَا عِنْدَ اللَّهِ [يونس/১৮]
অর্থ: “তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন বস্তুর উপাসনা করে, যা তাদের কোনো ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলেঃ এরা আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য সুপারিশকারী।” (সূরা ইউনুস, আয়াত ১৮)
মহান আল্লাহ অন্যত্র আরও বলেন,
وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَا إِلَى اللَّهِ زُلْفَى
অর্থ: “যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা কেবল এজন্যই তাদের ‘ইবাদাত করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে।” (সুরা যুমারঃ ৩)

উপরোক্ত বিষয়াবলীর উপর গভীরভাবে লক্ষ্য করলে যে কোনো বিবেকবান ব্যক্তির কাছে সত্য এবং বাস্তবতা পরিস্কার হয়ে যাবে। মহান আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা বা শিরকের গুনাহ খুবই ভয়াবহ। কোনো ব্যক্তি যদি এই শিরক নিয়ে মৃত্যুবরণ করে তাহলে তার জন্য চিরকাল জাহান্নামের আগুনই শেষ পরিণতি হবে। এটি মহান আল্লাহ বারবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا
অর্থ: “নিশ্চই আল্লাহ শিরকের অপরাধ ক্ষমা করেন না কিন্তুু এর চেয়ে নিম্নপর্যায়ের অপরাধ যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন।” (সূরা নিসা, আয়াত ৪৮) আল্লাহ আরও বলেন,
إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক সাব্যস্ত (শিরক) করবে, আল্লাহ তার জন্য অবশ্যই জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং তার আবাসস্থল হবে জাহান্নাম।” (সূরা মায়েদা ৫, আয়াত ৭২)
হযরত মায়াজ বিন জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. আমাকে বলেছেন, “আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক্ করো না, যদিও তোমাকে হত্যা করা হয় কিংবা পুুড়িয়ে মারা হয়।” (মুসনাদে আহমাদ)

মূর্তিপূজার মতো ‘মানবপূজা’ও সমান অন্যায় এবং হারাম। আমাদের সমাজে আজকে মুসলিম নামধারী বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রায় অনেকেই মূর্তিপূজা না করলেও ‘মানব পূজা’ করেন সাবলীলভাবে। মানবপূজা বা মহান আল্লাহর স্থলে কোনো মানুষকে বা নিজেকে বসানোর পদ্ধতি হচ্ছে মহান আল্লাহকে সরাসরি অস্বীকার করা, আল্লাহর সাথে ইবাদাতে বিভিন্ন গায়রুল্লাহকেও শরীক করা, রব ও ইলাহ হিসেবে আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করা, মানুষের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করা, আল্লাহর দেয়া বিধান কুরআনকে বাদ দিয়ে মনগড়া আইন ও বিধান রচনা করা। এগুলো সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে:
أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُواْ لَهُمْ مِّنَ ٱلدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَن بِهِ ٱللَّهُ وَلَوْلاَ كَلِمَةُ ٱلْفَصْلِ لَقُضِىَ بَيْنَهُمْ وَإِنَّ ٱلظَّالِمِينَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
অর্থ: “ওদের কি এমন কতগুলি দেবতা আছে যারা ওদের জন্য বিধান দিয়েছে এমন দ্বীনের, যার অনুমতি আল্লাহ দেন নি?” (সূরা শূরা ৪২, আয়াত ২১)
فَمَنْ كَانَ يَرْجُوا لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا.
অর্থ: “সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাত প্রত্যাশী, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদাতে (কখনোই) অন্য কাউকে শরীক না করে।” (সূরা কাহফ ১৮, আয়াত ১১০)

রব ও ইলাহ হিসেবে একজনকে গ্রহণ করার নামই হচ্ছে তাওহীদ। এক আল্লাহর স্বার্বভৌমত্বে বিশ্বাস স্থাপন করাকেই বলে ঈমান আনয়ন। একমাত্র স্রষ্টা ও পালনকর্তা হিসেবে মহান আল্লাহকে প্রানান্তকরণে বিশ্বাস করে তার দেয়া নিয়ম অনুযায়ী চলতে আগ্রহী ব্যক্তির নামই হচ্ছে মুসলিম। এই সহজ ও সাবলীল বিষয়টিকে আমরা যেনো সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারি এবং আমাদের অপর ভাইদের বোঝাতে পারি -মহান আল্লাহর কাছে এই তাওফীকই কামনা করছি। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথের সন্ধান দিন। আমীন।
৪৫৬ বার পঠিত
৩০টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এক্স লইয়া কি করিব

লিখেছেন আনু মোল্লাহ, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫১

যাচ্ছিলাম সেগুনবাগিচা। রিকশাওয়ালার সিট কভারটা খুব চমৎকার। হাতে সেলাইকরা কাঁথা মোড়ানো। সুন্দর নকশা-টকশা করা। নর্মালি এররকম দেখা যায় না। শৈল্পিক একটা ব্যাপার। শুধু সিটকভার দেইখাই তার-সাথে কোন দামাদামি না কইরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইলিশনামা~ ১

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


১৯৮৫ সালে ডক্টর মোকাম্মেল হোসাইন ‘ ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে যেই রিসার্চ পেপারটা( থিসিস – এম এস এর জন্য) জমা দিয়েছিলেন সেটা এখানে মিলবে;
[link|https://open.library.ubc.ca/cIRcle/collections/ubctheses/831/items/1.0096089|Spawning times and early life history of... ...বাকিটুকু পড়ুন

৯০% মুসলমানের এই দেশ? ভারতে কতগুলো মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির করা হয়েছে? গতকালও ভারতে মসজিদের পক্ষে থাকায় ৩ জন মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার | SAD

লিখেছেন আজব লিংকন, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩



শীতকালীন সর্দি-কাশি, জ্বর, হাঁপানি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, কনজাংকটিভাটিস, নিউমোনিয়া কিংবা খুশকি মতো কমন রোগের কথা আমরা জানি। উইন্টার ডিসঅর্ডার বা শীতকালীন হতাশা নামক রোগের কথা কখনো শুনেছেন? যে ডিসঅর্ডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

চট্টগ্রাম আদালত চত্বরের একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে লিখছি

লিখেছেন শান্তনু চৌধুরী শান্তু, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮



আজ চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তা নানান গুজব ও ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা এড়াতে প্রকৃত ঘটনাটি নিরপেক্ষভাবে একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে লিখছি।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×