somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

এক নিরুদ্দেশ পথিক
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে নাগরিকের দায় ও নীরবতা

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষায় আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত-শিবির, জাপা, আওয়ামী ঘরনার বাম এই সব দুর্বিত্ত রাজনৈতিক দলের কোন মাথাব্যাথা নেই। অধুনা সৃষ্ট মধ্য ধারার দল বিকল্প ধারা, এল ডি পি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ফোরাম এদেরও কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।

এক সময়ে উদার ইসলামপন্থী দলগুলো দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বললেও এই সাম্প্রতিক বছরগুলুতে এসে তারা সব বুদ্ধি বিবেক হারিয়ে বসে আছে। দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাদের যেন কোন খেয়ালই নেই।

সুন্দরবন বন্দর তেল গ্যাস সহ সম্পদ রক্ষায় মূল ধারার কয়েকজন বাম বিশেষ করে প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ এবং আনু মুহাম্মদ স্যার অতি অল্প সংখ্যক কিছু মেহনতি মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন কে একক ভাবে এগিয়ে নিচ্ছেন।

১ম কথা হচ্ছে এটা কি উনাদের একক দায়?

২য় কথা হচ্ছে ভারতীয় অর্থনৈতিক শয়তানীর উপর দাঁড়ানো আওয়ামী এস্টাব্লিশ্মেন্ট সংকটে না পড়লে কোন দাবি মানারই সম্ভাবনা নেই।

৩য় কথা হচ্ছে এই এগিয়ে নেয়া আন্দোলন সরকারের জন্য সংকট বয়ে আনলে (যদিও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না) উনাদের অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়তে পারেন, কারণ লীগকে ক্ষমতার বাইরে রেখে উনারা ডান কিংবা জাতীয়তাবাদীদের ক্ষমতায় দেখতে চান না। তাহলে দেশের সম্পদ রক্ষার চূড়ান্ত আন্দোলন কে করবে? দেশের নাগরিক কোথায়?


একটি দেশের সম্পদ রক্ষার আন্দোলন এগিয়ে নেয় তাঁর বাম এবং সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী শক্তি। বাংলাদেশের বাম ক্ষমতার বলয়ে নিজেদের সপে দিয়ে নিজেদের লূটপাটের সাথী বানিয়ে জীবন ও ক্ষমতা উপভোগ করছে। বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদীর দেশের সম্পদ রক্ষার বোধ এবং মেধা হারিয়েছে শুধু ক্ষমতার বেদনায় তড়পাইতেসে। এই শিবিরে অতীতে ভালো কিছু লোক ছিলেন তারা মরে গেছেন অথবা নিস্ক্রিয় হয়েছেন বড় বলদের অতি বেয়াদপিতে। সেদিন, বিদায়ী রাশান দূত আসল কথা বলে গেছেন- রুপপুর নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত্ত আছে। উনি সুস্পষ্ট ভাবে বলেছেন রূপপুর প্রকল্পে সায় আছে বিএনপির। রাম্পাল নিয়েও একই কেইস হতে পারে। বিএনপি ভবিষ্যৎ ক্ষমতার লোভে কাউকে চটাতে চায় না, সকল লূটপাট আর ভারতের অর্থনৈইতিক উপনিবেশ নিয়ে কথা বলতে ভুলে গেসে। এই হোল আমাদের জাতীয়তাবাদী মুখোশ।

এক সময় মনে হোত, আওয়ামীলীগ সুন্দরবনের বিপর্যয় বুঝতে পারছে না। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “দ্যাট উড বি সাম ইমপ্যাক্ট, অবভিয়াসলি।.. ভেরি সাবস্টেনশিয়ালি অ্যাফেক্টেড হবে।”।
ক্ষতি হলেও সরবে না রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র: অর্থমন্ত্রী
নাকে খত দিয়ে অবৈধ ক্ষমতা আনা হয়েছে, তাই ভারতের ইচ্ছা পূরন করতেই হবে। নাইলে ২০৪১ পর্যন্ত খোয়াব ফস্কে যেতে পারে। বন বন্দর গ্যাস ট্রানজিট নদি যায় যাক! ক্ষতি জেনেও রামপাল ডেলিবারেটলিই করা হচ্ছে ভারতের ইচ্ছায়। এটাই আওয়ামী মুখোশ!

দুঃখের বিষয় হচ্ছে দেশের দুটি বড় দল আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি প্রায় ৯০-৯৫% জনসমর্থন ধারন করে কিন্তু কেউই জনস্বার্থের নূন্যতম দায়িত্ব ধারণ করে না।

দুর্বিত্ত রাজনৈতিক দলগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সিকিউরড দেশ গড়বে না এবং তাদের হার্ড কোর সমর্থকরা ইতিমধ্যেই উচ্ছিষ্ট ভোগের কারনে অথবা উচ্ছিষ্ট ভোগের দাও মারার অপেক্ষায় আছে বলে কিছু বলবে না। বরং দুর্বিত্তায়নকে সমর্থন করবে।

কিন্তু বিস্তৃত সাধারণ সমর্থকরা, দেশের নাগরিক এত নীরব কেন? সুন্দরবন নিয়ে তো কম সচেতনতা গড়া হয়নি! দুর্বিত্তায়ন কি এতই সহনীয় এবং সুখের হয়ে গেছে?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ২:৪৫
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×