দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষায় আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত-শিবির, জাপা, আওয়ামী ঘরনার বাম এই সব দুর্বিত্ত রাজনৈতিক দলের কোন মাথাব্যাথা নেই। অধুনা সৃষ্ট মধ্য ধারার দল বিকল্প ধারা, এল ডি পি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ফোরাম এদেরও কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।
এক সময়ে উদার ইসলামপন্থী দলগুলো দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বললেও এই সাম্প্রতিক বছরগুলুতে এসে তারা সব বুদ্ধি বিবেক হারিয়ে বসে আছে। দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাদের যেন কোন খেয়ালই নেই।
সুন্দরবন বন্দর তেল গ্যাস সহ সম্পদ রক্ষায় মূল ধারার কয়েকজন বাম বিশেষ করে প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ এবং আনু মুহাম্মদ স্যার অতি অল্প সংখ্যক কিছু মেহনতি মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন কে একক ভাবে এগিয়ে নিচ্ছেন।
১ম কথা হচ্ছে এটা কি উনাদের একক দায়?
২য় কথা হচ্ছে ভারতীয় অর্থনৈতিক শয়তানীর উপর দাঁড়ানো আওয়ামী এস্টাব্লিশ্মেন্ট সংকটে না পড়লে কোন দাবি মানারই সম্ভাবনা নেই।
৩য় কথা হচ্ছে এই এগিয়ে নেয়া আন্দোলন সরকারের জন্য সংকট বয়ে আনলে (যদিও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না) উনাদের অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়তে পারেন, কারণ লীগকে ক্ষমতার বাইরে রেখে উনারা ডান কিংবা জাতীয়তাবাদীদের ক্ষমতায় দেখতে চান না। তাহলে দেশের সম্পদ রক্ষার চূড়ান্ত আন্দোলন কে করবে? দেশের নাগরিক কোথায়?
একটি দেশের সম্পদ রক্ষার আন্দোলন এগিয়ে নেয় তাঁর বাম এবং সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী শক্তি। বাংলাদেশের বাম ক্ষমতার বলয়ে নিজেদের সপে দিয়ে নিজেদের লূটপাটের সাথী বানিয়ে জীবন ও ক্ষমতা উপভোগ করছে। বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদীর দেশের সম্পদ রক্ষার বোধ এবং মেধা হারিয়েছে শুধু ক্ষমতার বেদনায় তড়পাইতেসে। এই শিবিরে অতীতে ভালো কিছু লোক ছিলেন তারা মরে গেছেন অথবা নিস্ক্রিয় হয়েছেন বড় বলদের অতি বেয়াদপিতে। সেদিন, বিদায়ী রাশান দূত আসল কথা বলে গেছেন- রুপপুর নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত্ত আছে। উনি সুস্পষ্ট ভাবে বলেছেন রূপপুর প্রকল্পে সায় আছে বিএনপির। রাম্পাল নিয়েও একই কেইস হতে পারে। বিএনপি ভবিষ্যৎ ক্ষমতার লোভে কাউকে চটাতে চায় না, সকল লূটপাট আর ভারতের অর্থনৈইতিক উপনিবেশ নিয়ে কথা বলতে ভুলে গেসে। এই হোল আমাদের জাতীয়তাবাদী মুখোশ।
এক সময় মনে হোত, আওয়ামীলীগ সুন্দরবনের বিপর্যয় বুঝতে পারছে না। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “দ্যাট উড বি সাম ইমপ্যাক্ট, অবভিয়াসলি।.. ভেরি সাবস্টেনশিয়ালি অ্যাফেক্টেড হবে।”।
ক্ষতি হলেও সরবে না রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র: অর্থমন্ত্রী
নাকে খত দিয়ে অবৈধ ক্ষমতা আনা হয়েছে, তাই ভারতের ইচ্ছা পূরন করতেই হবে। নাইলে ২০৪১ পর্যন্ত খোয়াব ফস্কে যেতে পারে। বন বন্দর গ্যাস ট্রানজিট নদি যায় যাক! ক্ষতি জেনেও রামপাল ডেলিবারেটলিই করা হচ্ছে ভারতের ইচ্ছায়। এটাই আওয়ামী মুখোশ!
দুঃখের বিষয় হচ্ছে দেশের দুটি বড় দল আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি প্রায় ৯০-৯৫% জনসমর্থন ধারন করে কিন্তু কেউই জনস্বার্থের নূন্যতম দায়িত্ব ধারণ করে না।
দুর্বিত্ত রাজনৈতিক দলগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সিকিউরড দেশ গড়বে না এবং তাদের হার্ড কোর সমর্থকরা ইতিমধ্যেই উচ্ছিষ্ট ভোগের কারনে অথবা উচ্ছিষ্ট ভোগের দাও মারার অপেক্ষায় আছে বলে কিছু বলবে না। বরং দুর্বিত্তায়নকে সমর্থন করবে।
কিন্তু বিস্তৃত সাধারণ সমর্থকরা, দেশের নাগরিক এত নীরব কেন? সুন্দরবন নিয়ে তো কম সচেতনতা গড়া হয়নি! দুর্বিত্তায়ন কি এতই সহনীয় এবং সুখের হয়ে গেছে?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ২:৪৫