বাংলাদেশে হলুদ সাংবাদিকতা এখন কমলা রঙয়ে ধারণ করেছে। ঘটনা যাই ঘটুক দোষ জামায়াত শিবিরের। কোনো রকম তদন্ত ছাড়া মিডিয়া গুলোর এই রকম চাপিয়ে দেওয়া নিউজের কারণে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে প্রকৃত অপরাধীরা। এর আগে ও আমরা দেখেছি , পাবনা তে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় শিবিরকে দায়ী করলে ও পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে টুকু ও আওয়ামীলীগের লোকজন হিন্দুদের উপর হামলা করে।
গতকাল চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষকদের উপর হামলার জন্য
কিছু মিডিয়া শিবিরকে দায়ী করেছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ২৪ রিপোর্টে চবির একজন শিক্ষকের বরাত দিয়ে
বলা হয় , এ হামলার জন্য শিবির দায়ী। অথচ তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ নামের ঐ শিক্ষক তার ফেসবুকে দাবী করেছেন, তিনি বাংলানিউজের সাথে কোন কথাই বলেনি।
বাংলানিউজ লিখেছে,
এ বিষয়ে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষকদের বহনকারী বাসটি ছড়ারকুল এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার দু’পাশ থেকে ১৫-২০ জন শিবিরকর্মী এলোপাথাড়ি ইট-পাথর ছুড়তে থাকে।
এরপর তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে বাসে হামলা চালায়। ৫-৬টি ককটেলও ছোড়ে তারা। এসময় পাথর ও গাড়ির ভাঙা কাচের আঘাতে শিক্ষকরা আহত হন। শিবিরকর্মীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন এ শিক্ষক। -
সূত্র বাংলা নিউজ : Click This Link
অপরদিকে তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ তার ফেস বুক পেজে লিখেছে,
আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বাসে হামলার পর খুব দ্রুতই খবরটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং এতো এতো প্রিয়জনেরা খবর নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও তিনটি আলাদা মহাদেশ থেকে তাতে এই আহত শরীর এবং মনে কিছুটা প্রশান্তি পেলেও চিন্তার রাজ্যে অশান্তি রয়েই গেছে। আমার নিজের শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, অনেকে আহত, কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত সকলের সুস্থতা কামনা করছি। আস্থা রেখেছিলাম প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর, কিন্তু দুংখজনক হলেও সত্য এক বিন্দু পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। কেন ছিল না? কিন্তু এর জবাব কে দিবে? ছাত্র জীবন হতেই দেখে আসছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষকরা কিভাবে প্রায় স্বার্থান্বেষী সময়ের অসৎ ব্যবহারকারীদের কাছে জিম্মি। আর আমরা হামলার প্রক্রিয়ায় কখনো সরব, আবার কখনো নীরব, কখনো স্বার্থের উপরে উঠে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছি কিনা প্রশ্ন রয়ে যায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কালো ঘঠনায় কোন না কোন পক্ষ জড়িত থাকে।
আজ আমাদের উপর দিয়ে একটি কাল বৈশাখী বয়ে গেছে, আশা করব এতেই ক্ষান্ত হবে অশুভ শক্তি এবং এর সুফল ভোগকারীরা। কোন অবস্থাতেই এই পরিস্থিতি যেন কোন মায়ের কোল খালি করার পূর্বাবাস হয়ে না আসে। এইখানেও যেন অপরাজনীতির স্বীকার আমরা না হই। আমার সাথে আলোচনা না করেই একটি খবরের পোর্টালে নিউজ করে দেয়া হয়েছে আমারি নামে। সকল ছাত্র এবং শিক্ষকদের সময়োপযোগী ভূমিকা প্রয়োজন যেন আমরা আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচিয়ে রাখতে পারি, কোন এক বা একাধিক গোষ্ঠীর স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠান যেন কঙ্কালে রুপান্তর না হয়।
তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ
সহযোগী অধ্যাপক, ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
ফেসবুকের স্টাটাস লিঙ্ক : Click This Link
সত্য ঘটনা উত্ঘাটন না করে বাংলা নিউজের মত হলুদ মিডিয়া আর কত অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করবে ?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮