চিরচেনা আমার এই বুকের কপাট খুলে দেখো
খাঁ খাঁ তাপ, রোদ্দুরে আগুন ওখানে।
দীর্ঘশ্বাসে ইট ভাটার কালো ধোঁয়া
দূষিত করে হৃদয়ের সতেজ প্র্রান্তর।
লাশের মতো অসাড় শরীরটাকে ছুঁয়ে দেখো
নিউপ্লাজিয়ায় নিমগ্ন, বিচ্ছিন্ন সব ইন্দ্রিয়-কলা
হাওয়ায় মিশে গেছে কথিত অহংকার
বনেদী হাড়গুলো গেছে উইপোঁকার দখলে।
নিদেন পক্ষে আমার মূখের পানে তাকাও
সূর্যগ্রহন লেগেছে দুচোখের আয়তনজুড়ে
ক্রোধাগ্নিতে দহিত আমার ঠোঁটের উষ্ণতা
চেটে দেখো ওখানে কেবল বিষাদ মদিরা।
বিলুপ্ত আত্মার কসম আমি তোমাদের
মাঝেই ছিলাম, তোমাদেরই একজন
বিশ্বাস করো, আমি ছিলাম তোমাদের আরাধ্য
আজ নি:সঙ্গতার শূণ্যরথে কান্ত নাবিক।
আমাকে বিচ্ছিন্ন করো বিদগ্ধ অগ্নিবান থেকে
আমার ঠোঁটের দুপাটি খুলে ঢেলে দাও
দ্রাক্ষার রস, আয়ুস্মান হতে দাও আমাকে
যেমন মাটির জঠরে কাদাজলমাখা সুদর্শন পুরুষ।