ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে আমার স্ত্রী অঝোর ধারায় কান্না জুড়ে দেয়। আমি বললাম, ভুল। আল্লাহ বলেছেন, তিনি যাকে হেদায়াত প্রদান করেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না। সুতরাং আল্লাহর হেদায়াতের তালিকায় স্থান করে নাও। তখন হাজার টানাটানি করেও ইবলিশ ঈমান থেকে তোমাকে বিন্দু মাত্র সরাতে পারবে না।তখন আমার স্ত্রীর হাত উপরে উঠে গেলো। সে অঝোর ধারায় কান্না করতে করতে আল্লাহর দরবারে হেদায়াতের জন্য মুনাজাত করতে লাগলো।যাদের স্পাউজ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে তাদের জন্য এটা মহাবিপদের। তবে আল্লাহ রক্ষা করলে তাদের ঈমানও রক্ষা পায়। ফেরাউনের স্ত্রীর ঈমান রক্ষা পেয়ে ছিলো। তিনি জান্নাতে নারীদের একজন সর্দারনি হবেন।
ঈমান রক্ষায় আল্লাহ কারো পক্ষ হলে সে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত হয়। তার জন্য ব্যক্তির আল্লাহর পক্ষ নিতে হয়। যেমন, ড. এম এ আলী আল্লাহর পক্ষ নিলেন। সেজন্য আল্লাহ তাঁর ঈমান মজবুত করে দিলেন। আল্লাহর প্রতিপক্ষ তাতে কষ্ট পেলো। তারা তাঁর উপর নাখোশ হলো। জনাব ড. এম এ আলীর তাতে পরোয়া নেই। একই বিষয়ে আল্লাহর প্রতিপক্ষের লোকেরা আমার উপর নাখোশ।তাতে আমারো কোন পরোয়া নেই। আমি আমার পরিবারকে মহানবিকে (সা.) স্বপ্নে দেখার কথা বলেছি। তারপর আমার স্ত্রীসহ আমার দুই কন্যা মহানবিকে (সা.) স্বপ্নে দেখেছে। এটা তাদের ঈমান দৃঢ় করেছে। এটা ঈমানের প্রতি তাদের প্রেম শক্ত করেছে। সেজন্য তারা ঈমান হারা হওয়ার ভয়ে কান্না করে। স্বপ্নে আল্লাহর সাথে আমার দিদার ঘটেছে। বাকী ছিলো তৃতীয় নয়ন। তাতে আমি জান্নাতের ছোট্ট একটা অংশ দেখে পাগলপারা হয়েছি। কোন সুন্দরই যেন এর তুল্য নয়।বিষয়টি আমার স্ত্রী বিশ্বাস করেছেন। কারণ তিনি জানেন তার স্বামী মিথ্যা বলেন না। মহানবির (সা.) স্ত্রী খাদিজার (রা.) ক্ষেত্রে সে ঘটনাই ঘটেছে। তিনি জানতেন তার স্বামী মিথ্যা বলেন না। সেজন্য তিনি হয়েছেন তাঁর স্বামীর নবুয়তের প্রথম মুমিনা। এটা একটা লজিক। একটা লোক যখন সব কথাই সত্য বলেন, তখন তিনি একটা কথা কেন মিথ্যা বলবেন? লজিকের পথ ধরে ধরে অবশেষে মহানবির (সা.) উম্মত সংখ্যা বেড়ে গিয়ে এখন সেটা বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।
ক্রুশ বিঁদ্ধ করে নিজের মৃত্যু দেখেও যীশু স্বপক্ষ ত্যাগ করেননি। সেজন্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনগুষ্ঠির গলায় এবং কবরে ক্রুশ চিহ্ন। বিশ্বের বিরাট বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এর কবরেও ক্রুশ চিহ্ন। এরা কোরআনের প্রতি আরো বেশী মনোযোগী হলে এরাও হয়ত মহানবির (সা.) উম্মত হয়ে যেত। কোরআনের প্রতি যতটা মনোযোগী হলে কেউ হেদায়াত পায় ততটা মনোযোগের অভাবেই অন্য লোকেরা হেদায়াত পাচ্ছে না। হেদায়াত আল্লাহর বন্টন তিনি এটা দিলেই কেউ এটা পায়, তিনি এটা না দিলে কেউ এটা পায় না। তাদের জন্য আফসোস!
# প্রয়াত ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরুকে আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন- আমিন। আর ব্লগার জানাব ড.এম এ আলীর জন্য অগ্রিম জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকাম কামনা করছি- আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০৫