মোহাম্মদ (সা.) বললেন, কোরআন আল্লাহর বাণী। কতিপয় বলল, কোরআন মোহাম্মদ (সা.) ও কতিপয় মিলে রচনা করেছে। আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা এবং কতিপয় মিলে এমন কিতাব রচনা কর। তারা বলল, একজনের কিতাব অন্য জনের কিতাবের মত হয় না। আমি বললাম, সেটা লাগবে না। তোমরা শুধু এমন কিতাব রচনা করে বলবা এটা আল্লাহর কিতাব তাতেই চলবে। আমি দেখব তাতে কোন অসংগতি আছে কি না? কারণ আল্লাহ বলেছেন, তাঁর কিতাবে অসংগতি থাকে না। কেউ কেউ কোরআনে অসংগতি বের করে বলতে চেয়েছে, এটা মোহাম্মদ (সা.) ও কতিপয় মিলে রচনা করেছে। পরে দেখা গেছে তারা যেটাকে অসংগতি বলেছে সেটা আসলে অসংগতি নয়। সুতরাং আমি মোহাম্মদের (সা.)কথায় বিশ্বাস করলাম যে কোরআন আল্লাহর বাণী। রমজানে আমি এর সাতাশ পারা পাঠ শেষ করেছি। তাতে আমার সুদৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে কোরআন আল্লাহর বাণী। আর যারা কোরআনকে আল্লাহর বাণী নয় বলে তাদের বিষয়ে আমার সুদৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে তারা আসলে মিথ্যাবাদী।
আল্লাহ বলেছেন, তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। কতিপয় বলছে, সবকিছু এমনি এমনি হয়েছে। তাহলে আল্লাহ এমনি এমনি হয়ে সব কিছু সৃষ্টি করলে সমস্যা কি? সব কিছু এমনি এমনি হলে সমস্যা নাই শুধু আল্লাহ এমনি এমনি হতেই কি শুধু সমস্যা? সুতরাং আল্লাহর কথা অস্বীকার করার সংগত কোন কারণ নাই।
কোরআনে বালা আছে তাতে কোন ভুল নাই। তো কোরআনে কে কোন ভুলটা খুঁজে পেয়েছে? দেড় হাজার বছর ধরে কোরআনে তন্ন তন্ন করে ভুল খোঁজা হলো। কিন্তু কোন ভুল পাওয়া গেলো না। তাহলে আর কোরআনের কোন কথা অস্বীকার করব কোন কারণে?
সেই কোরআনে বলা আছে হাসরে আল্লাহর অবাধ্য লোকদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তখন মোহাম্মদ (সা.), আল্লাহ ও কোরআন বিরোধী কথা কোন কাজে লাগবে? কতিপয় বলছে মোহাম্মদ (সা.), আল্লাহ ও কোরআন অস্বীকার করতে তাদেরকে বহু কষ্ট করতে হয়েছে। তাদের এ কষ্টের দাম আল্লাহ দিবেন। তিনি তাদের চিরস্থায়ী কষ্টের ব্যবস্থা করবেন। তাদের কষ্ট কোন দিন লাঘব হবে না। তাদের কষ্ট চিরকাল বাড়তেই থাকবে। কেউ বিশ্বাস করুক অথবা না করুক ঘটনা এটাই ঘটবে। সুতরাং সময় থাকতে সবাইকে চিন্তা করতে হবে তারা আসলে কি করবে? সময় গেলে সাধন হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:২৫