পাঁচটা উষ্ণ কমলা গোলাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলাম,
তোর মুঠোয় গলেছিলো পাঁচটা কোমোল সূর্য।
শুভ্র বাগান বিলাস পাঁপড়ি মেলে
টানা টানা রক্তের আলপনা দেখাতেই
কাঁটায় চেরা আমার আঙুল আঁকড়ে ধরে বলেছিলি -
"এতো পাগল কেনো তুই??"
আমার দেয়া সুগন্ধি মোম আর রঙিন কাঠ পেন্সিল
তোর মাথার কাছেই খাটের পাশে সাজানো ছিলো।
ঝড় হলো একদিন, সে কি শিলা বৃষ্টি!
তোর চোখ আমায় পায়না কোথাও,
ছপাত ছপাত শব্দ তুলে পেছনে এসে
তোকে ধরতেই,
আধ ভেজা কাঁপা জারুল গুলো দেখে বকতে ভুলে গেলি।
আর সেই রঙিন চিঠির কাগজ?
দুটো ছোট্ট হৃদয় আঁকা সেই খোঁপার কাটা ?
পকেট থেকে রোজ বেরুনো
কাঠগোলাপ, দোপাটি, বেলী, মাধবী লতা?
কিংবা সেই কচি আমের চারা?
সে কি এবার ফল দিয়েছে?
নাকি ভালোবাসার মতন তাকেও
শেকড় পোড়া করলি বলতো?
তুই না আমায় রেখেছিস,
না আমার প্রেম,
না আট প্রহর পেরুলেই নতুন নতুন ফুল,
না উপহার, না স্পর্শ খানিকটুকু।
ফিরে আমি চাই না কিছুই,
তুই ছুঁড়ে ফেলেছিস যেখানে,
মানায় ওরা ওখানেই !
বড্ড ক্ষতি করে ফেললি তবু,
ফিরিয়ে দিতে পারবি না তুই,
তোর কারনেই জগত থেকে হারিয়ে গেলো
লাজুক হাতের হঠাত আবেগে লেখা
প্রথম প্রেমের প্রথম সাহসী কবিতা ।