somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিভক্ত পাকিস্তান: বিদেশী পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধ, পর্ব ১৬

০১ লা জুন, ২০০৮ দুপুর ১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফ্রান্সিস হোপ
নিউ স্টেটসম্যান, ১২ মার্চ, ১৯৭১।

যখন একটি রাজনৈতিক বোমা ফাটে, তখন বিশ্ব অবাক হয়ে ভাবে কেন শান্তি এতো দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজ করছিল? উত্তর আয়ারল্যান্ডের মতো পূর্ব পাকিস্তানে অনেক বছর ধরে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। কিন্তু এটা ছিল শান্ত অস্থিতিশীলতা। এখন এটা বিস্ময়কর মনে হয়, এমনকি অলৌকিক মনে হয়, যে তারা কখনও স্বাধীনতার দাবি স্থগিত রেখেছিল।

এটা বোঝা যাচ্ছে যে ঢাকার শেখ মুজিবুর রহমান ও ইসলামাবাদের ইয়াহিয়া খানের মধ্যে একটা আপসরফা হতে যাচ্ছে এবং এখানে জুলফিকার আলি ভুট্টো আশ্চর্য নিরবতা পালন করছেন। এটা খুবই সম্ভব যে পূর্ব পাকিস্তান সর্বোচ্চ অর্জনের জন্য চেষ্টা চালাবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে; আর এক বা দু-বছরের মাথায় তারা কুর্দিস্তান বা বায়াফ্রার মতো বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাবে। কিন্তু বিগত ২০ বছর ধরে বিশ্ব যেটাকে এড়িয়ে গেছে, দুই অংশের মধ্যে যে বিরাট পার্থক্য, তাকে আর এড়ানো সম্ভব নয়। দুই অংশের মধ্যে হাজার মাইলের যে-ভৌগোলিক ব্যবধান, তা এই ব্যবধানের ন্যূনতম অংশ।

পাকিস্তান নামটিও পূর্ব অংশকে বাদ দিয়েই গঠিত হয়েছে। এখানে P অর্থ পাঞ্জাব, A অর্থ আফগান, K অর্থ কাশ্মির এবং S অর্থ সিন্ধু। লর্ড কার্জনের বিখ্যাত বঙ্গভঙ্গের সময়ে তাকে আলাদা করা হয়েছিল কিন্তু দেশভাগের সময়ে তাকে ভারত থেকে বের করে দেয়া হয়। তারা পাকিস্তানের ১২ কোটি জনগোষ্ঠীর অর্ধেকরও বেশি, কিন্তু তারা বাস করে দেশটির ছয় ভাগের এক ভাগ অংশে। এটা সমৃদ্ধ কিন্তু অরক্ষিত ভূমি, গত বছরের বন্যা নাটকীয়ভাবে তা দেখিয়ে দিয়েছে: বাংলার মুঘল শাসকরা একে বলেছিলেন 'খাদ্যে ভরপুর নরক' হিসেবে। এই অংশটি রাষ্ট্রের কাছ থেকে মোট রাজস্বের এক চতুর্থাংশের এবং উন্নয়ন বাজেটের এক তৃতীয়াংশেরও কম পেয়ে থাকে; আর সব পণ্যের এক চতুর্থাংশ এবং বৈদেশিক সাহায্যের এক পঞ্চমাংশ পেয়ে থাকে। শেষের দুই বরাদ্দ পরিহাস বিশেষ, কারণ বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় পুরোটাই আসে পূর্ব পাকিস্তানের পাট থেকে।

অবশ্যই একটি অপেক্ষাকৃত দরিদ্র এলাকা সাধারণত দেয় কম, তাই পায়ও কম। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি। চালের দাম পশ্চিমের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। আর চাকরি দেয়া হয় খুবই কৃপণ কায়দায়। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির মাত্র ১৫ ভাগ এবং সেনাবাহিনীর চাকরির ১০ ভাগ মাত্র পূর্ব পাকিস্তানীদের দখলে আছে।

ঢাকা থেকে এটা মনে হতেই পারে যে বাংলার মানুষ হলো শোষিত প্রলেতারিয়েত জনগোষ্ঠী, আর অন্যদিকে করাচিতে সামরিক লোকজন অনাবশ্যক বিলাসিতায় ডুবে রয়েছে। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানীদের আপত্তি নেই, কিন্তু কাশ্মিরকে পুনর্দখল করার জন্য চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে তারা পশ্চিম পাকিস্তানীদের মতো অতটা আগ্রহী নয়। কাশ্মির তাদের সমস্যা নয় এবং তারা বুঝতে পারে না কেন এজন্য তাদের কেন্দ্রে পয়সা দিতে হবে। আঞ্চলিক ক্ষোভ আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদের জন্ম দেয়। গত বছরের নির্বাচন পূর্ব পাকিস্তানকে ক্ষোভ প্রকাশের একটি সুযোগ করে দেয়, আর পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য সেটা ছিল কেবল মত প্রকাশের সুযোগ। পশ্চিম পাকিস্তানের ১৩৭টি আসনের মধ্যে ভুট্টোর পিপলস্ পার্টি কেবল ৮৩টি আসন পায়, এবং পূর্বে শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ ১৫৩টি আসনের মধ্যে ১৫১টি আসন লাভ করে। কিন্তু এই দুটি জয় তুলনা করার মতো কিছু নয়। ব্রিটিশ রানি ইংরেজ সমাজতন্ত্রী বা স্কটিশ জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে কাকে সংসদে পাঠাবেন, যেক্ষেত্রে স্কটিশরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে?

নানা ধরনের সুবিধার কারণে ভুট্টো একটি ঐক্যবদ্ধ দলের নেতা, যে-দলের পুরো দেশের জন্য কর্মসূচি রয়েছে। শেখ মুজিবও মোটামুটিভাবে তাই। তার সাফল্য আদর্শগত কারণে দ্রুত এসেছে এবং তাকে বামপন্থীদের পাশ কাটাতে হয়েছে, অতিক্রম করে যেতে হয়েছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর অনেকের কাছে তার ছয় দফা এখনও একটি অশুভ বিষয়। সামান্য সম্ভাবনা দেখেও ভুট্টো এবিষয়ে ঝুঁকি নেন এবং ঘোষণা দেন ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের ব্যাপারে আগাম নিশ্চয়তা না দিলে তিনি আইনসভার অধিবেশনে যোগ দেবেন না। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ভুট্টোর কাছে সমর্পিত হন এবং অধিবেশন স্থগিত করেন। শেখ মুজিব এর প্রতিবাদে পূর্ব পাকিস্তানে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেন: গান্ধীবাদী এই অহিংস কৌশল ইয়াহিয়া খানকে বাধ্য করে ২৫ মার্চে অধিবেশনের তারিখ ঘোষণা করতে; আইয়ুব খানের সত্যিকারের ক্ষমতা নেবার দিন সেটা। কিন্তু এবার শেখ মুজিবের না বলার পালা। তিনি সামরিক শাসন তুলে নেয়া ও গত সপ্তাহের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অধিবেশনে বসতে অস্বীকৃতি জানান। এখন আর চুপ করে বসে থাকার সময় নয়। দেশের দুই নির্বাচিত নেতার জনগণের কাছ থেকে পাওয়া পৃথক ধরনের রায়কে একত্রে সংবদ্ধ করা কঠিন, কিন্তু এবার তারা পরিস্কারভাবে কিছু একটা লাভের জন্য অবস্থান নিয়েছেন।

এই মুহূর্তে শেখ মুজিবই হলেন বাড়ির প্রকৃত মালিক। গত সপ্তাহ ছিল তার অহিংস পদ্ধতি ও সত্যিকারের ক্ষমতা প্রদর্শনের কাল। তার নির্দেশ অনুসারে ঢাকা একটি অচল শহরে পরিণত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রতীক হলো নৌকা এবং প্রতিটি বাড়িই কাঠের নৌকা প্রদর্শন করছিল, কিন্তু পরিস্থিতি কাঠের নৌকার সমাবেশের চাইতে বেশি কিছু ছিল। পূর্ব পাকিস্তানী সৈন্য ও পুলিশ আপাতভাবে ইতোমধ্যেই শেখ মুজিবের কাছ থেকে নির্দেশ নিয়ে বসে আছে। সামরিক গভর্নরের বাসার কর্মচারীরা প্রায়ই কাজে ফাঁকি দিচ্ছে এবং সামরিক রীদের রান্না করা খাবার খেয়ে তাকে দিন চালাতে হচ্ছে। ঢাকা বেতার 'পাকিস্তান বেতারের ঢাকা কেন্দ্র' নাম পাল্টে 'ঢাকা সংবাদ কেন্দ্র' নাম ধারণ করেছে এবং যে-সব কাগজ কেবল পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষে সংবাদ পরিবেশন করে শেখ সেসব কাগজে কাজ করা থেকে বাঙালিদের বিরত থাকতে বলেছেন।

চলতি তথ্যযুদ্ধ ভয়াবহ, আম্মানের স্মৃতিবহ। গত সপ্তাহের দাঙ্গায় পাকিস্তানের সরকারী সৈন্যরা বেশ কিছু আন্দোলনকারীকে হত্যা করে। পশ্চিম পাকিস্তান নিহতের সংখ্যা ১৭১ স্বীকার করেছে, পূর্ব পাকিস্তান দাবি করছে ৫০০ জন্য মারা গিয়েছে। এছাড়া এই সপ্তাহের প্রথম অর্ধে পশ্চিম পাকিস্তান উচ্ছৃঙ্খল-ছাত্রের-ওপর-রাগান্বিত স্কুলশিক্ষকের মতো ক্রুদ্ধ নিরবতা পালন করছে। অন্য কোনো পন্থায় না গিয়ে ইয়াহিয়া খানই শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য পূর্ব পাকিস্তানে আসতে চেয়েছেন। কাশ্মির থেকে লাহোরে একটি বিমান ছিনতাই করে নিয়ে গেলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে পাকিস্তানের যেকোনো বিমানকে ভারত ঘুরে শিলং হয়ে পূর্ব পাকিস্তানে প্রবেশ করতে হচ্ছে, তা সেটা প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হোক বা সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য সৈন্যপরিবহণকারী হোক। পূর্ব পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাবৃদ্ধির প্রক্রিয়া সমস্যার মুখোমুখি পড়েছে।

আর ইয়াহিয়া খানকে এখন পূর্ব পাকিস্তানের ছয়দফার চাইতে বেশি কিছূ বিবেচনায় আনতে হবে। সাম্প্রতিক খবরে জানা যায় নতুন ফেডারেল সংবিধানের জন্য আওয়ামী লীগ ৪১ দফার একটি খসড়া করেছেন। এই খসড়া অনুসারে 'পাকিস্তানের যুক্তরাষ্ট্র' পাঁচটি এলাকায় বিভক্ত হবে: বাংলা, সিন্ধু, পাঞ্জাব, পাখতুনিস্তান ও বেলুচিস্তান। প্রতিটি রাষ্ট্র তার নিজস্ব কৃষি, শিল্প, ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স, স্টিল মিল ও যোগাযোগ-ব্যবস্থাসহ নিজেদের মিলিশিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করবে। উর্দু ও বাংলা সমভাবে সরকারী ভাষা হবে। পৃথক মুদ্রার পূর্বপ্রস্তাব বাদ দেয়া হয়েছে কিন্তু প্রতিটি রাষ্ট্রের নিজস্ব রিজার্ভ ব্যাংক থাকবে ও পৃথক বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে মুদ্রা, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত ক্ষমতা থাকবে। এখানেও কিছু পার্থক্য দেখা যাবে; নৌবাহিনীর সদর দফতর হবে বাংলায়, সেনাবাহিনীর সদর দফতর হবে পাঞ্জাবে এবং সিন্ধুতে থাকবে বিমানবাহিনীর সদর দফতর। প্রতিটি ক্ষেত্রে আবার নিজস্ব বাহিনী থাকবে।

এই কর্মসূচি অনেকটা ব্রিটেনের অর্থনৈতিক নীতির মতো হতে পারে: অনেক বেশি এবং অনেক বিলম্ব। এটা বর্তমান সামরিক শাসকদের জন্য অনেক বেশি। আর এটা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের জন্য অনেক বিলম্বের একটি প্রস্তাব। কারণ তারা ইতোমধ্যে দুর্দমনীয় হয়ে উঠেছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশ অমান্য করার ক্ষেত্রে দিন দিন তারা নিজস্ব আস্থা অর্জন করে চলেছে। অধিবেশন স্থগিতের পর প্রতিটি দিনই তাদের প্রত্যাশা বেড়ে চলেছে। শেখ মুজিবের রক্তপাত এড়ানোর জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা কিংবা ইয়াহিয়া খানের বেসামরিক প্রশাসনের হাতে অবিভক্ত পাকিস্তানকে ফিরিয়ে দেয়ার আন্তরিক আকাক্সা দেখে বলা যায় নেতৃবৃন্দ প্রশংসাযোগ্য কাজই করছেন। অনেকে হয়তো পূর্ব পাকিস্তানকে প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে পরিণত হওয়া অসমর্থ রাষ্ট্র হিসেবেও মেনে নেবেন (যদিও এধরনের দুর্ভাগ্য কে-বা বরণ করতে চায়?) এবং বহু বছরের অবহেলার ফল নতুন সরকার কাটিয়ে উঠবে। কিন্তু সময় আন্তরিকতাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। এটা এই মুহূর্তে দেখা খুব কঠিন যে কীভাবে উভয় প অনড় অবস্থান থেকে সরে আসে এবং কীভাবে অধিক সহিংসতা এড়ানো যাবে। এর একটিও যদি না করা যায় তবে ঢাকায় মৃতের সংখ্যা আগামী সপ্তাহে আরও বেড়ে যাবে।

কলকাতা থেকে।

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০০৮ দুপুর ১:১২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পার্বত্য চট্টগ্রাম- মিয়ানমার-মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য মিলে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত চলছে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০১


মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়ানা তে বক্তব্য প্রদান কালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী chin-kuki-zo দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×