আমার স্টার হোটেলে যাওয়া শুরু যেদিন ভর্তি পরীক্ষা দেই, সেদিন থেকে।
লাস্ট খেয়েছি দেশ ছাড়ার কয়েকদিন আগে।
স্বাদ জিহবায় লেগে রয়েছে এখনো।
কাচ্চি বিরিয়ানির সাথে চিকেন টিক্কা, ফাঁকে ফাঁকে বোরহানির গ্লাসে চুমুক আর সবশেষে ফালুদা - আহা, বেহেশতে যেতে চাইনা, এইসব শেষে স্টার থেকে বের হয়ে রাস্তার উপারের পানের দোকানের মিষ্টি পান মুখে আর একটা সোনালী পাতা ঠোটে ধরিয়ে এক রিকশায় তিনজন যাযাবর পুরান ঢাকার অলিগলি ঘুরে হলে ফিরতে চাই, যতবার চাই ততবার। বেহেশতে যেতে চাই না।
কত উত্সবে, কত বাজিতে হেরে, কত বন্ধুকে খাসি করে, কত অকারনে, কতবার যে দল বেধে স্টারে খেতে যাওয়া!
স্টারের সেই বটি কাবাব আর মুরগি মুসাল্লাম - বদলে আমি দিয়ে দেব সমরকন্দ আর বোখারা!
স্টার মানে এই রিকশা ঠাটারি বাজার, স্টার মানে দোস্ত তোমার ডারলিং কবে লাইনে আসবে, স্টার মানে বংগবাজার, ফুলবাড়িয়ার লাল বিআরটিসি, ডাইনে মোড় তারপর বায়, এইবার থামো, চিকেন টিক্কার ফারনেস পেরুলেই স্টার মানে মামু ভাল আছেন!
স্টার মানে আকাশে বাতাসে কাচ্চি, টিক্কা, মোরগ পোলাও, তন্দুর, ফালুদা, ফিরনি, কোক, বেনসন, পাঁচমশলা, বিল, বখশিস।
স্টার মানে, চল্ স্টারে যাই!
স্টার মানে আমার ফেলে আসা দিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০০৭ রাত ১:২৩