ইসলামে নারী স্বাধীনতা এবং পর্দাপ্রথা দুটোই স্পর্শকাতর বিষয়। ইদানিং আমি যেকোনো বিষয়ে পোস্ট লেখার আগে দ্রুত আসল বিষয়ে চলে যাই, তবে এই পোস্টে কিছু কথা লিখে শুরু করি। বর্তমান সময়টা বেশ অস্থির একটা সময়। ইসলাম ঘিরে নানা গ্রুপ এর পক্ষে, বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে বিশাল ইন্ডাস্ট্রি যেমন গড়ে উঠেছে তেমনি ইসলামকে পন্য করে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল বিশাল সম্রাজ্য, ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান। আর যখন নারীর কথা আসে, দুঃখ জনক হলেও সত্য নারী সেই আদিকাল থেকেই পন্য ছিলো। কেউ একটু ছাড় দিয়ে বিশাল বাহবা কুড়াতো, কেউ নারীকে ফাঁদে ফেলে তাও করতো। এখন নারীর পাশে এতো ফাঁদ, প্রতারনা.....তাই এমন দুটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ঠিক কোন দিক থেকে লেখা শুরু করা যায় এটাও অনেক চিন্তার বিষয়।
তাই চিন্তা করলাম এসব কিছু নিয়ে না লিখে সবচেয়ে ভালো হয় এর গোড়া কোথায় সেটা নিয়ে কথা বলা দরকার। মানুষের সাথে অনেক কিছু নিয়ে তর্ক করা যায়, তর্কে খেই হারিয়ে ফেলা খুব সহজ যে আসলে কোনো বিষয়ে কথা বলা শুরু করেছিলাম। তার চেয়ে মানুষকে জানানো দরকার আসলেই কি ছিলো আর আসলেই কি হচ্ছে আর আসলেই আমরা কি জানি! এবং সত্যিকারভাবে আমাদের একটা বেসিক ধারনা রাখা দরকার ইসলাম নারীকে কিভাবে চলতে বলেছে। এখানে আমি এটা কখনোই বলবো না কোনটা অধিকতর শ্রেয়: ইসলামিক নারী স্বাধীনতা না প্রচলিত বর্বর শরীয়া ভিত্তিক দেশের নারী স্বাধীনতা বা আধুনিক সমাজব্যাবস্থার নারী স্বাধীনতা; মূলত এটা আপনারাই আলোচনা করে বের করে নিন।
আলোচনার বিষয়: ইসলাম বোলে তো আমি অবশ্যই কথা বলবো কোরান আর স হী হাদিস সমূহতে কি কথা বলা আছে সেই বিষয়ে। সেভাবেই নীচে পয়েন্ট আউট করি।
ইসলামে পর্দা প্রথা: কোরান আর স হী হাদিসের আলোকে। মুয়াবিয়ার যেকোনো হাদিস আমি পরিহার করি। কেন করি সেটা বলবো আমি আরেক পোস্টে।
আলোচনা করা হবে যথোপযুক্ত কোরানিক আয়াত এবং হাদিস দিয়ে এবং তার সাথে তাদের সূত্রাবলী অবশ্যই বর্ণিত থাকবে। যেসব বিষয়ে কোরান হাদিসে কোনো বর্ননা পাওয়া যাবে না সেসব বিষয়ে কি ফতোয়া চালিত আছে সেসবের বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হবে।
তার আগে আপনারা বাল্যবিবাহ সম্পর্কে এই পোস্ট টি পড়তে পারেন যেখানে বলা আছে বাল্যবিবাহ ইসলাম অনুমোদন করে কিনা এবং এটা কি সুন্নত বা ফরজের পর্যায়ে পড়ে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
শুরু করা যাক আসল ঝগড়া:
পর্দাপ্রথা:
ইসলাম কি বলে:
কোরান এবং সহী হাদিসের আলোকে একজন নারীকে এমন ভাবে হিজাব করতে হবে যাতে নীচের এই ৭ টা শর্তাদি পূর্ন হয়। কোরান শরীফের আয়াতের অর্থসমূহ নেয়া হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (দয়া করে এখানে কোনো দুর্নীতির খোজ করবেন না, আমি দুদক না ) এই অসাধারন ওয়েবপেজ থেকে।
প্রথম শর্ত: কতটুকু ঢাকতে হবে?
পাবলিক প্লেসে একজন নারী যখন বের হবেন তখন তাকে শরীরের যেসব অংশ ঢেকে রাখতে হবে আর যা না ঢাকলেও চলবে তার নির্দেশনা আছে নীচের এই আয়াত গুলোতে।
সূরা আন-নূর (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা ৩১
"ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। "
এই আয়াতে زينة বা জিনা শব্দের বাংলা অর্থ ধরতে গেলে সাজ, সজ্জা অলংকার। এবং বেগানা পুরুষ কারা হবে সেটা সম্পর্কে বলা আছে। তবে এখানকার অর্থ অনুসারে এই সাজ সজ্জার ব্যাপারে দুভাবে বলা আছে সেটা হলো একটা দৈহিক গোপন অঙ্গ সমূহ আরেকটা হলো নারীরা পোষাক পরিধান দিয়ে যে রূপটা ফুটিয়ে তোলে। তো মেয়েদের পরিধান সমূহের ব্যাপারে বলা আছে যা সাধারনত প্রকাশমান তা ছাড়া সব যেন ঢেকে রাখা হয় আর বুকের ওপর একটা ওড়না দিয়ে রাখে যেটা মাথায়ও থাকবে। আর স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, এদের সামনে ছাড়া অন্য কারো কাছে ন গ্ন বা অর্ধ নগ্ন বা গোপন অঙ্গ প্রকাশ না করে।
কিন্তু শেষের দিকে এই আয়াতের অর্থ নিয়ে একটা ক্যাচাল আছে। আমার আরবী জ্ঞান অতটা স্বয়ংসম্পূর্ন না তাই ইংলিশ অনুবাদ নিলাম:
পিকথাল বলছে:
And let them not stamp their feet so as to reveal what they hide of their adornment.
ইউসুফ আলি বলছে:
that they should not strike their feet in order to draw attention to their hidden ornaments.
শাকির বলছে:
let them not strike their feet so that what they hide of their ornaments may be known;
সূত্র এখানে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অর্থ বলছে:
that they should not strike their feet in order to draw attention to their hidden ornaments
তার মানে মেয়েদের জোরে হাটা মানা। আমার কমন সেন্সে যেটা বোঝায় সেটা হলো র্যাম্প মডেলিং করন যাইতো না।
সূরা আল আহযাব (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা ৫৯
"হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। "
উপরোক্ত আয়াত অনুসারে মাথার যে চাদর থাকে বা ওড়না সেটা দিয়ে যেনো তারা মাথা, ঘাড় আর বুকের পুরো অংশ ঢাকা হয়। এই নির্দেশনা পাওয়া যায় আবু দাউদে বর্ণিত হযরত আয়েশা রাঃ এর একটা হাদিস থেকে, যেখানে বলা আছে আবু বকর রাঃ এর সাথে দেখা করার জন্য নবিজী সাঃ ঘরে আসলে হযরত আসমা রাঃ এর দেখা পান যেখানে তিনি খুব পাতলা কাপড়ে ছিলেন, তখন নবিজী সাঃ ইরশাদ করেন,"হে আসমা রাঃ! যখন কোনো মেয়ে বয়ঃসন্ধিতে উপনীত হয়, তখন তার শরীরের কোনো অঙ্গ যাতে দেখা না যায়" এই বলে তিনি তার মুখ আর হাতের দিকে ইশারা করেন।
এখন কথা হলো এই আবু দাউদে বর্নিত হাদিস অনুযায়ীমুখ আর হাতও ঢাকতে বলা হয়েছে। আবার অন্যদিকে বিভিন্ন আলেমরা এটা খ্রিস্টান নানদেরকে যে খীমার দিয়ে পর্দা করতে দেখেছেন যেমন মাথা সহ কান এবং তাদের ঘাড় ও বুকের ওপরের অংশ সেটার দিকেও নির্দেশ করেন।
তার মানে এখানে একটা তর্ক আসতে পারে হাদিস অনুযায়ী সত্যি কি মুখ ঢাকতে হবে কিনা যেখানে কোরানে মুখের কথা বা হাতে কথা বলা হয়নি, বলা হয়েছে গোপন অঙ্গের কথা এবং বুকে ওড়নার কথা?
এখন আমরা আরেকটা হাদিসে দেখি সেখানে কি বলা হয়েছে:
আবু হুরায়রা রাঃ বর্নিত হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন," দুই ধরনের লোক জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। প্রথম গ্রুপে সেসব সেসব কর্মকর্তারা যারা কিনা গরুর লেজ সদৃশ্য চাবুক ব হন করে এবং তা দিয়ে মানুষকে চবকায়। আর দ্বিতীয় গ্রুপে সেসব নারীরা যারা জামা কাপড় পড়া সত্বেও নগ্নই মনে হয়। তারা পুরুষদের দিকে নিজেদেরকে ঝুকে দেয় এবং তাদেরকে একই ভাবে আকৃষ্টও করে নিজেদের কাছে। তাদের মাথা বুখতি উটের মতো লম্বা হবে, এক দিকে ঝুকে থাকবে (তাদের চুলের খোপার স্টাইলের কথা বলা হয়েছে)। তারা জান্নাতে তো প্রবেশ করতে পারবেই না বরংচ ব হুদুর হতে যে জান্নাতের সুবাশ পাওয়া যায় তা থেকেও বন্ঞ্চিত হবে। (এটার সঠিক কোনো তথ্যসূত্র খুজে পাচ্ছি না, কেউ পেলে আমাকে জানান, আমি এটা যোগ করে দেবো পোস্টে)
এই হাদীসে মূলত চুলের খোপা কেমন হবে এবং আটোসাটো জামা কাপড় যেমন স্কিন টাইট শার্ট, লেগিংস ইত্যাদীর কথাই বলা হয়েছে। কিন্তু আয়েশা বর্নিত হাদিসটি যদি আমরা লিটারেল মিনিং করি তাহলে সেটা মুখ মন্ডল ঢাকার ব্যাপারেও বলা আছে। মুখের ব্যাপারে ঐ এক হাদিস ছাড়া আরও যেসব হাদীস আছে সেটা নিয়ে পরে আলোচনা করবো। আপাতত রেফারেন্স হিসেবে ইমাম আল শোওখানী তার ফাতে আল কাদের বই এর নাম বলা যেতে পারে যেখানে মুখ মন্ডল ঢাকার ব্যাপারটা উল্লেখ আছে।
দ্বিতীয় শর্ত: পুরুত্ব
স্বচ্ছ এবং পাতলা কাপড়ের ব্যাপারে সাহাবারা বেশ কঠোর ছিলেন তখন। এমনকি এমন কাপড়ও পড়তে মানা করা হয়েছে যে কাপড়ে তার গায়ের ত্বকের বর্ন কি সেটা বোঝা যায়।আল কুর্তুবিতে বর্নিত হযরত আয়েশা রাঃ বলেন যে বানু তামিম থেকে কিছু মহিলা বেশ স্বচ্ছ কাপড় পড়ে দেখা করতে আসলে তিনি তাদেরকে বলেন যে যদি তুমি নারীদের বিশ্বাস করো, তাহলে সেসব বিশ্বাসী নারীদের পোশাক এমন হতে পারে না। আরও বলা হয় বিবাহের জন্য সজ্জিত এক মেয়ে স্বচ্ছ খীমার পড়ে আসলে তাকে বলেন যে যে মেয়ে এধরনের পোশাক পরিধান করে সে সূরা আন নুরের আয়াত বিশ্বাস করে না।
আবার রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,"আমার শেষ উম্মতের মাজে এমন নারী থাকবে যারা উটের কুজের মতো তাদের চুলের খোপা উচু করে রাখবে, স্বচ্ছ খাপড় পরিধান করবে। তাদেরকে অভিশাপ দাও কারন তারা নিশ্চয়ই অভিশাপপ্রাপ্তা।"(আত তাবারানী এবং স হী মুসলিম)।
এই স্বচ্ছ কাপড় নিয়ে আরও বহু হাদিস বর্নিত আছে। এখন কথা থাকতে পারে অনেক কোরানিস্ট হাদিস মানতে চানতে চাননা। তাদের এই ব্যাপারে মত কি?
তৃতীয় শর্ত: ঢিলেঢালা পোশাক
উসামাহ ইবনে জায়েদে বর্নিত: রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে নবিজী সাঃ আমাকে একটা মোটা কপটিক কাপড় উপ হার দিয়েছিলেন যা তিনি পেয়েছিলেন দাহিয়া আল কালবির কাছ থেকে। ওটা আমি আমার স্ত্রীকে দিয়ে দেই। এরপর নবিজী সাঃ আমাকে জিজ্ঞাসা করেন:তুমি কেন এটা পরিধান করোনি? আমি প্রত্যুত্তরে বলি: আমি এটা আমার স্ত্রীকে দিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন যে তোমার স্ত্রীকে বলে দাও যে এর নীচে একটা মোটা কাপড় পড়ে নিতে যাতে করে বাইরে থেকে তার শরীরের অবয়ব বোঝা না যায়।
এ থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে বয়ঃসন্ধি প্রাপ্ত নারীকে এমন মোটা কাপড় পড়তে হবে যে বাইরে থেকে কোনোমতেই তার দেহ সৌষ্ঠব বোঝা না যায়। কপটিক কাপড়ের ছবি দিলাম যা দেখলেই বোঝা যাবে এটা একটা মোটা ফতুয়া টাইপ বস্ত্র এবং এর ভেতরে পুরু কাপড় পড়ার নির্দেশ আছে।
যতদূর বুঝি পদার্থবিজ্ঞান অনুসারে আপনি যদি শীতের দেশে থাকেন তাহলে একটা মোটা কাপড় পড়ার চাইতে বেশ কতগুলো পাতলা কাপড় পড়া ভালো। কারন আপনি যদি বেশী সংখ্যক পাতলা পাকড় পড়েন তাহলে এইসব কাপড়ের মধ্যে থাকা বায়ুর স্তর শরীরের তাপকে সন্ঞ্চিত করে একটা মোটা কাপড়ের তুলনায় শরীরকে বেশী গরম রাখতে পারবে। যারা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান বা কানাডার মতো দেশে থাকেন তারা দেখবেন কানাডীয়ান গুজ বা এভারেস্ট ব্রান্ডের জ্যাকেট গুলো খুবই পাতলা কিন্তু তারা -২০ বা -২৫ এও বেশ ভালো কার্যকর। কারন এইসব জ্যাকেট এই কনসেপ্টে তৈরী করা। সেক্ষেত্রে এই জ্যাকেট যদি বাংলাদেশের ৪০-৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের শুস্ক আব হাওয়ায় পড়েন তাহলে ঘাম আর গরমে খারাপ অবস্থা হতে পারে। অনেকে হয়তো বলবেন এমন অনেক কাপড় আছে যেগুলো পড়লে গরম লাগবে না। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের এই সন্ঞ্চিত তাপের কনসেপ্টে কাপড়ের প্রকারভেদ কাজ করবে না। তাই গরমে এহেন দুই তিনস্তর কাপড় পড়াটা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত, এটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন।
আবার যেসব দেশে -২০ বা -২৫ তাপমাত্রা চলে সেখানে আপনি ঢিলেঢালা পোশাকে আপনার ফ্রস্ট বাইট হবে সন্দেহ নাই। ফ্রস্ট বাইট হলো অতিরিক্ত ঠান্ডায় আপনার পায়ের পাতা বা শরীরের কোনো অঙ্গ জমে কালো হয়ে যায়। ফলে ঐ অঙ্গটা তৎক্ষনাৎ নষ্ট হয়ে যাবে এবং তাকে কেটে ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। এজন্য শীতপ্রধান দেশে এই ধরনের ঢিলেঢালা কাপড় পড়া বিদজ্জনক বৈকি। আমরা মনে হয় উত্তর মেরু বা দক্ষি মেরুর বৈরী আবহাওয়া বাংলাদেশের মতো চরম বৈরীভাবাপন্ন দেশের জন্য এগুলো নিয়ে আরো বেশী করে আলাপ করতে পারি।
চতুর্থ শর্ত: রং, আকার, স্টাইল
সূরা আল আহযাব (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা ৩২-৩৩
"হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।
তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে। "
উপরের আয়াত অনুসারে মেয়েদের পরপুরুষের সাথে মোহনীয় আর কোমল ভঙ্গিতে কথা বলা বারন কারন তাতে পুরুষের মনে কু প্রস্তাব উকি ঝুকি দেয়। এখন এই আয়াতের ব্যাখ্যাস্বরুপ আল কুর্তুবিতে বর্নিত মুজাহিদ রাঃ বলেছেন যে ইসলাম অবতীর্ন হবার আগে মেয়েরা পুরুষদের মাজে এমন ভাবে চলাফেরা করতো যাতে পুরুষরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। ক্বাতাবা রাঃ বলেন যে মেয়েরা মাথায় খোলা কাপড় পড়তো মাথা এবং সাথে গলায় পরিহিত প্রলুব্ধ করার নেকলেস, কানের দুল আর অন্যান্য গ হনা সামগ্রী। যা মূলত উপরে বর্নিত আল আহযাবের ৩৩ নম্বর সূরার প্রথম লাইনেই পাওয়া যায় "মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না"।
ঘরের বাইরে এমন পোষাক পড়া যাবে না যে যা টার সৌন্দর্য্যকে আরো বাড়িয়ে তুলবে যার ফলে যে কাপড় পরিধান করবে তার মধ্যে উজ্জল কোনো রং থাকেব না বা এমন কোনো ডিজাইন থাকবে না যেটা বেশ বোল্ড ও চকচকে এবং আলো প্রতিফলিত করে যার ফলে পুরুষের মনোযোগ আকৃষ্ট হয়।
এর ব্যাখ্যায় ইমাম আদ্ব ধাবানী তার কিতাব আল কাবা'ইর গ্রন্থে লিখেছেন: যেসব কারনে একজন নারী অভিশাপ্ত হয় তার মধ্যে যে তার সাজ সজ্জা প্রদর্শন করে, সুগন্ধি ব্যাব হার করে যখন সে বাইরে যায় এবং পরনে থাকে রং বেরং এর কাপড়..." তার মানে মুসলমান মহিলাদের এমন কাপড় পড়া উচিত যার উজ্জ্বলতা নেই, সাদামাটা এবং তাতে কোনো অবয়ব থাকবে না। এই পয়েন্ট টা পালন করার দায়িত্ব সেই সব মুসলমান পুরুষের যারা ঐ নারীর কৃতকর্মের জন্য দায়ী এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ সতর্ক করে দিয়েছেন স হী হাদিসে যা বর্নিত করেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে 'আমর ইবনে আল-'আসা," তিন ধরনে ব্যাক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না: আদ দায়ুথ যে কিনা তার পরিবার সম্পর্কে নিজের পরিবারের অশ্লিলতাকে প্রশ্রয় দেয় যেমন সেইসব অসৎ স্বামী যে কিনা তার স্ত্রী বা কন্যার দায়িত্ব পালন করেন কিন্তু তাদের অবৈধ যৌনসম্পর্ক বা তাদের রুপ সৌন্দর্য্য ঘরের বাইরে প্রকাশে বাধা না দিয়ে যৌনতা উস্কে দেন।"
৫ম শর্ত: পুরুষের পোশক হতে ভিন্নতর
মেয়েরা ছেলেদের মতো পোশাক পড়তে পারবে না। আবু হুরায়রা বর্নিত হাদিসে আছে,"রাসুল সাঃ সেসব পুরুষকে অভিসম্পাৎ করেন যারা মেয়েদের ন্যায় পোষাক পরিধান করে।(আবু দাউদ,ঈবনে মাজা)
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ বর্নিত, তিনি হযরত মুহাম্মদ সা কে বলতে শুনেছেন যে যে পুরুষ মহিলাদের মতো কাপড় পড়ে এবং যে মহিলা পুরুষদের মতো কাপড় পড়ে তারা অবিশ্বাসী। (আহমেদ এবং আত তাবারানী)
আর বলা হয়েছে আবু দাউদে উম্মে সালামাহ রাঃ বলেছেন যে রাসুল সাঃ নারীদেরকে তাদের হাতে খুমুর এমন ভাবে মাথায় পড়তে নিষেধ করেছেন যা কিনা তুড়বান অন্ঞ্চলের পুরুষরা পরিধান করে। নীচে একজন খুমুড় পরিহিত তুড়বান পুরুষের ছবি দিলাম
এই নির্দেশনাটা বর্তমানা যেসব নারীরা পশ্চিমা বিশ্বে থাকেন কিন্তু বোরকা পড়েন না তাদের জন্য মোল্লারা খুব বেশী প্রচার করেন। তার মানে আয়েশার উপরোক্ত হাদিস আর এই খুমুড়ের হাদিসটি বোরখার জন্য একটা ভালো এডভোকেসী করতে পারে।
ষষ্ঠ শর্ত: কাফেরদের থেকে পার্থক্য
শরীয়াহ আইন অনুযায়ী মেয়েদের পোষাক আষাক থেকে শুরু করে চাল চলন, কথা বার্তা, উৎসব, প্রথা সবকিছুই কাফেরদের থেকে আলাদা হতে হবে যা দুটি হাদিসের মাধ্যমে পরিস্কার করা আছে। প্রথমটি হলো, উমার রাঃ বর্ননা যা কিনা আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আল-আস উদ্বৃত করেন পরে: রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাকে দুটো স্যফ্রন রং কাপড় পড়তে দেখে বলেন যে অবশ্যই এগুলো কাফিরের কাপড় তাই এসব পরিধান করো না। (স হী মুসলিম)
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ আরো বর্নিত করেন: যেই তাদের (কাফির) মটো পরিচ্ছদ পরিধান করবে। (আবু দাউদ) আবু মাসা আল-আশারি রাঃ উমার রাঃ এর উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলেন যে আমি তাদেরকে সম্মানকরবো না যারা আল্লাহকে অসম্মান করবে বা যাদের বিশ্বাস তার ওপর শ্রদ্ধা রাখে না অথবা যারা বিশ্বাসীদেরকে দূরে ঠেলে দেয়।(আহমাদ)
সপ্তম শর্ত: অসার এবং জাঁকালো পোষাক
একজন নারীর পোশাক অবশ্যই দামী বা জাঁকালো বা প্রাচুর্যপূর্ন হতে পারবে না। সাদামাটা হতে পারবে। এসব দিক খেয়াল রেখে বেশীরভাগ ইসলামিক স্কলার নেকাবের প্রতি রায় দেন।
নেকাব:
সূরা আল আহযাব (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা ৫৯
"হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। "
এই আয়াতটা অবতীর্ন হয়েছিলো এই কারনে যে তৎকালিন সময়ে মেয়েরা যখন প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাইরে যেতো রাতের বেলা ঘরের পরিধেয় পোশাকে তখন বািরের লোকজন তাদেরকে ক্রীতদাস ভেবে ঈভটিজিং করতো তখন সেই মহিলারা চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যেতো।
আবু দাউদে বর্নিত উমার রাঃ উদ্ধৃতির মাধ্যমে জানা যায় যে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যারা দুনিয়া অসার পোশাক পড়েছে আল্লাহ রোজ হাশরের ময়দানে তাদেরকে পুনরুথ্থান করবেন অপমান জনক পোশাকে।
যদিও অনেক তাবে তাবেঈন মুখের অধিকাংশ অংশ ঢাকার পক্ষে রায় দেন যেখানে মুখের নীচের অংশ থেকে নাক পর্যন্ত আর পুরো কপাল।কিন্তু বুখারীর স হী হাদিসে বর্নিত, ইমাম মালিকের মুত্তাওয়া আর সুন্নাহের আবু দাউদে এসেছে যে রাসুলুল্লাহ সাঃ নামাজ আর ইহরামের সময় মুখ আর হাতের কব্জী থেকে নীচ পর্যন্ত ঢাকতে নিষেধ করেছেন। তার মানে বোঝা যায় যে মুখ আর হাত অনাবৃত রাখা একটা খুব সাধারন অনুশীলন।
যারা অবশ্য বোরকার পক্ষপাতী তারা আয়েশা রাঃ এর আরেকটা হাদিসের কথা বলেন: আয়েশা রাঃ ইরশাদ করেন: যখন আল্লাহ শব্দগুলো প্রকাশিত করেন....এবং তাদের পর্দা জায়েদুনার (তাদের শরীর, মুখমন্ডল, ঘাড়, বুক) ওপর টানতে বললেন- তারা তাদের ইজার (এক ধরনের কাপড়) নিলো এবং কোনা থেকে এক টানে ছিড়ে ফেললো এবং মুখ আবৃত করলো (বুখারী: ৪৪৮১)। তবে এটা একটা আহাদিস মানে এর রেফারেন্স অনেক দীর্ঘ এবং তার জন্য একে সন্দেহজনক পর্যায়ে ফেলা হয়। কিন্তু কিছু কিছু স্কলার বোরখার পক্ষকপাতীত্ব করার জন্য এই হাদিসটিকে গুরুত্ব দেন।
মুখ ঢাকার বয়াপারটা নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক চললেও প্রায় সবগুলোই হাদিসই একটু সন্দেহ যুক্ত বা জাল হাদিসের মধ্যেই পড়ে। আমি এটার ডিটেলসে যাবো না। বেশীর ভাগ ইসলামী স্কলার নেকাবের প্রতি জোর দেন।
সূরা আন-নূর (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা ৬০
"বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, যদি তারা তাদের সৌন্দর্যø প্রকাশ না করে তাদের বস্ত্র খুলে রাখে। তাদের জন্যে দোষ নেই, তবে এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।"
সূরা আল আহযাব (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা ৫৩
"হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ। "
সূরা নাহল (মক্কায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা ৪৪
"প্রেরণ করেছিলাম তাদেরকে নির্দেশাবলী ও অবতীর্ণ গ্রন্থসহ এবং আপনার কাছে আমি স্মরণিকা অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি লোকদের সামনে ঐসব বিষয় বিবৃত করেন, যে গুলো তোদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।"
উপরের কোরানিক আয়াত গুলো দিয়ে এটা নির্দেশ করে যে ঘরের মধ্যেও নারীকে পর্দানশীল হতে হবে এবং সম্মান করতে হবে। বৃদ্ধা নারীদের পোশাকের ব্যাপারে ব্যাতিক্রম আছে। তাদের বস্ত্র পরিধানের ব্যাপারে কিছুটা শিথিলতা আছে।
এখন কথা হলো ওপরের যে সাতটা শর্ত হিজাবের ক্ষেত্রে তার মধ্যে ১, ৪ আর ৭ নম্বর শর্তের ব্যাপারে কোরানে সরাসরি বলা আছে। টার মানে এগুলা হলো ফরজ। বাকী গুলো সুন্নত। এখন অনেক কোরানিস্ট হাদিস মানতে চান না, কিন্তু হিজাবের ক্ষেত্রেও তারা ৭ টাই মেনে চলেন। আর যারা কোরান হাদিস দুটোই মেনে চলেন তারা তো দেখা যায় আহাদিস এবং জাল হাদিস অনুসারে বোরখাও মেনে চলেন।
বোরখা: শারিরীক ঝুকি:
যারা বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলেন তারা বলেন শুধু বোরখা না হিজাব সিস্টেমটাই নারীকে একটা শারীরিক ঝুকির মধ্যে ফেলে। যেহেতু ঘরে বাইরে সবখানেই পর্দার কথা বলা আছে সেহেতু ভিটামিন ডি এর অভাবে ভঙ্গুর হাড়, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেকা দেয়। ফলে ৩০ পেরুবার আগেই অস্টেরিওপ্রোসিস দেখা দিতে পারে। জর্দানে এমনি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সেখানকার ৮৩.৩% মহিলারাইভিটামিন ডি এর অভাবে ভোগে। যা শুধু জর্দানেই না সৌদী সহ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য মুসলিম দেশেও দেখা যায়।আর এসব যে হিজাবের কারনেই হচ্ছে সে সম্পর্কিত জার্নাল পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ভিটামিন ডি এর অভাবে যেসব স্বাস্থ্য ঝুকি হতে পারে:
* হ্রদরোগের ঝউকিতে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
* বৃদ্ধ বয়সে বুদ্ধিবৃত্তিক (কগনিটিভ) বৈকল্য
* শিশুদের মাঝে মারাত্মক এজমার প্রকোপ
* ভঙুর হাড় ও ক্যান্সার
* মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হিজাবের কারনে
শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমান ১৬ন্যানোগ্রাম/মিলি র নীচে নামলে রিকেটস আর অসটেওমেলাসিয়া দেখা দিতে পারে সেখানে হিজাবের কারনে যে ভিটামিন ডি এর স্বল্পতা দেখা দেয় সেসব মহিলাদের শরীরে এর পরিমান থাকে ৮ ন্যানোগ্রাম/মিলি।এই সমীক্ষা করা হইছে আমেরিকাতে অবস্থিত আরব আমেরিকান সেইসব মহিলা যারা হিজাব/নেকাব কঠোরভাবে মেনে চলেন তাদের ওপর।
২০০৬ সালে কাতারে আরেক সমীক্ষায় দেখা যায় ৭০% শতাংশ মহিলা ইসলামিক এই হিজাবী কালচারের কারনে অবেসিটিতে ভোগে। কাতারের কিউডিএ আরো একটা সমীক্ষায় দেখতে পায় যে এধরনের জীবন ধারনে অভ্যস্ত মহিলারা বেশী ভাগ টাইপ ২ ডায়াবেটিসে, উচ্চ রক্তচাপ, হ্রদরোগে আক্রান্ত হয়। এছাড়া তাজিকিস্তানের এক রিপোর্টে বলা হয় সিন্থেটিক কাপড়ের বোরখার কারনে অতিরিক্ত গরমে চামড়ায় র্যাশ থেকে শুরু করে স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়।
এখন বাংলাদেশে যারা হিজাব পড়েন তারা কি কখনো এমন কোনো সমস্যার মধ্যে পড়েছেন? শুনেছি বাংলাদেশে নাকি এখন বাইরে ৪১ থেকে ৪৫ এর মধ্যে টেম্পারেচার! যদি কমেন্টে কেউ উল্লেখকরেন তাহলে হয়তো আমার পোস্ট টা আরো সমৃদ্ধ হব এবং অন্যান্য যারা পড়বেন তারাও উপকৃত হবে!
বিঃদ্রঃ
আমি নিজে ইসলাম পালন করি এবং আমি খোদাভীরু বান্দা। আমার এই পোস্ট ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। বরংচ নাস্তিক এবং ইসলাম বিরোধীরা ইসলামের পর্দাপ্রথার বিরুদ্ধে যা বলেন আমি সেটাই জানার এবং অপরকে জানানোর চেষ্টা করেছি মাত্র! কমেন্টে আলোচনা এবং উপযুক্ত সুত্র দিয়ে আমার ভুল ধরিয়ে দিলে আমি পোস্টে সেটা শুধরায়া নেবো!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:১৬