ফটোগ্রাফির প্রথম পাঠ
ফটোগ্রাফির দ্বিতীয় পাঠ
ফটোগ্রাফির তিরতীয় পাঠ
আই.এস.ও (ISO)
এই একটা ছোট্ট জিনিষ বাকি এক্সপোজার নিয়া আলোচনার আর সেইটা হইলো আই.এস.ও। ছোট্ট নাম হইলেও এর ক্ষমতা ব্যাপক। আই.এস.ও নামের ইতিহাস না বইলা সরাসরি চইলা যাই জিনিষটা কি সেইটাতে (ইতিহাস জানতে চাইলে উইকিপেডিয়ায় সার্চ মারেন..আমি আবার এট্টু আইলশা কিসিমের

আই.এস.ও হইলো ফ্লিম বা সেনসর কতটা Light Sensitive বা আলোক সংবেদী (আবারো পুজা বেদীর কথা ভাবতাসেন !! সি সি সি

জিনিষটা অনেকটা এইরকম যে, আমার অনেক কাতুকুতু। কেউ আমারে কাতুকুতু দেওনের ভাব করলেও আমি লাফ দিয়া উঠি। অথচ গন্ডাররে এই কামটা করতে গেলে আপনারে পাত্তাও দিবনা। এর মানে হইলো আমি বেশি কাতুকুতু সংবেদী, আমারে হাসাইতে হইলে কম কাতুকুতু দিলেই চলে। আর গন্ডার মামু কম কাতুকুতু সংবেদী, তারে হাসাইতে বেশী কাতুকুতু দেওন লাগে (অবশ্য সারা জীবনও পার হইয়া যাইতে পারে..খিক খিক

যাউকগা আই.এস.ও তে ফিরা আসি। ফ্লিম ক্যামেরার ক্ষেত্রে , অ্যাপারচার আর শাটার ক্যামেরাতে থাকলেও আই.এস.ও জিনিষটা হইলো ফ্লিমের একটা প্রপার্টি। ফ্লিম কেনার সময় দোকানদাররে হ্য়তো বলতে শুনসেন ১০০ পাওয়ারের ফ্লিম, ২০০ পাওয়ারের ফ্লিম। ফ্লিমের গায়েও লেখা থাকে (ডিজিটালের ক্ষেত্রেও একি জিনিষ শুধু ফ্লিমের জায়গায় সেনসর)। এই ১০০ বা ২০০ ই হইলো ওই ফ্লিমটার আই.এস.ও। আই.এস.ও এর মান যা যা হইতে পারে তা হইলো ১০০,২০০,৪০০,৮০০,১৬০০, ... ইত্যাদি। খেয়াল করেন এপারচার আর শাটার স্পিডের মতো, ডাবল বা অর্ধেক হওয়ার ব্যাপারটা এইখানেও আছে।
আই.এস.ও ১০০ মানে কম আলোক সংবেদী আর ৮০০ মানে বেশী আলোক সংবেদী। তো যেখানে অনেক বেশী আলো আছে (যেমন বিয়া বাড়ি বা সূর্যোজ্জল দিন) ওই খানে তো আমার বেশী আলোক সংবেদনের দরকার নাই, তাই আমরা আই.এস.ও ১০০ বা ২০০ ব্যবহার করি। আবার ধরেন আন্ধার রাইতে জলন্ত মুমবাতির ফটুক তুলতে গেলে আই.এস.ও বাড়ায়া ৮০০/১৬০০ করন লাগতে পারে।
আই.এস.ও বাড়ানির একটা ঝামেলাও আসে। ঝামেলাটা হইলো, আই.এস.ও যতো বাড়াইবেন, ছবিতে grain বা noise ততো বেশি আসবে। তাই আই.এস.ও বাড়ানির সময় খিয়াল কইরা....
আজকে মনে হয় এট্টু বেশী লিখখা ফালাইসি। আজকা তাইলে থামি। পরের পোস্টে আমরা এক্সপোজার নিয়া আরেকটু মাখামাখি করমু। এহন আমার একখান ফটুক দেখেন... ফটুকটা বিবি রাসেলের সাথে ফটো সেশনের সময় তোলা .. আমার খুবি প্রিয় একজন আইডল..
হেপ্পি ফটোগ্রাফি
