
আজ স্বাধীনতার ৩৭ বছর অতিক্রান্ত হতে চলছে। আমরা শ্রদ্ধা দেখাতে পেরেছি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের প্রতি - তার শেষ শয্যা রচিত হলো নিজের দেশেই। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সমাধি হয়েছে দেশে।
নতুন প্রজন্ম জানছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও পরাজিত শক্তি প্রতিবিপ্লবীদের দ্বারা ইতিহাসের উল্টা ধারা তৈরী করলেও মুলত সাফল্য হিসাবে মুষ্ঠিমেয় সন্ত্রাসী তৈরী করতে পেড়েছে।
অন্যদিকে আমাদের আক্ষেপ, রাজনৈতিক চড়াই-উতড়াইয়ের মধ্যে নিজেদের রক্ষা করতে নয় শুধু - বাংলাদেশের মন্ত্রী হিসাবে জাতিয় পতাকা উড়িয়ে বেড়াতে সমর্থ হয়েছে ৭১ এর ঘাতক দালালরা। এরা এখন হুমকি দিচ্ছে আমাদের অস্তিত্বকে। শকুনের দলের মতো এরা খামচাতে চেষ্টা করছে আমাদের জাতীয় পতাকা - ভুলাতে চাইছে আমাদের জাতীয় সংগীত।
আশার কথা হলো - দেশে যুদ্ধাপরাধী বিচারের দাবী প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে।
আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থে, শহীদদের আত্নার শান্তির স্বার্থে, সম্ভ্রম হারানোর মা বোনদেন সান্তনার স্বার্থে আমাদের সবাইকে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবীকে প্রবলতর করে তোলার শপথ নেবার দিন আজ। আসুন - আমরা সবাই শহীদের রক্তের শপথ নিই - যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। এই দাবীকে প্রবলত জনদাবী হিসাবে পরিনত করার মাধ্যমে সরকারকে ঘাতকদের মায়ার জাল থেকে মুক্ত করে যুদ্ধাপরাদীর বিচারের ব্যবস্থা করার মাধ্যমেই শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করা প্রত্যয় হোক আজ আমাদের সবার।
একটা সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে তার অতীতের সকল অমিমাসিংত বিষয়গুলো সমাধান করতে হয়। উন্নত দেশগুলো যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে কঠিন অবস্থান নিয়েছিলো বলেই আজ সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের কোন আষ্ফালন দেখা যায়না। সেখানে যে কোন যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয় - এর কোন বত্যায় নেই। আমরা যদি একটা উন্নত এবং সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ দেখতে চাই - যদি সত্যই একটা স্বপ্নের বাংলাদেশ বিশ্বাস করি - তাহলে অতীতের অমিমাংসিত সকল বিষয়গুলোর যৌক্তিক সমাধানের লক্ষ্যে দেশে যুদ্ধারাধীর বিচারসহ বাংলাদেশের জন্মের বিরোধী সকল সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। একবার ভুল করে প্রচুর মূল্য দিতে হয়েছে - আর ভুল করা যাবে না।
অবিলম্বে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হবে - এটাই হোক এই সময়ের প্রধান দাবী।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:০০