মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম উত্তেজনা - প্রচুর মানুষ মারা গেছে। পরের দিন দেখলাম ছবিটা। একটা জলন্ত শ্লোগান।
"স্বৈরাচার নিপাত যাক"
"গনতন্ত্র মুক্তি পাক।"
নুর হোসেনের আত্নহুতি কি ব্যর্থ হয়েছে?
আমি তা মনে করি না।
কারন - মানুষ হিসাবে আমরা এক দিন মরবোই। কিন্তু এই মৃত্যু এমন এক কারনে হয়েছে - বাংলাদেশের জন্যে যা অত্যান্ত প্রয়োজনীয় ছিল।
নুর হোসেনের রক্তের মাধ্যমে অর্জিত গনতন্ত্রকে শুধু ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া সুযোগ হিসাবে যারা ব্যবহার করেছে - তাদের কারনে হয়তো গনতন্ত্র কিছুটা ব্যহত হয়েছে। কিন্তু নুর হোসেনের তৈরী করা সুস্পষ্ট বিভাজনকারী সীমানা অতিক্রম করার সাহস বাংলাদেশে কেহ করবে না। হুটহাট করে পাকিস্থানী স্টাইলে ক্ষমতা দখল করার আগে সবাইকে নুর হোসেনকে অতিক্রম করে আসতে হবে।
বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষের ইতিহাসের নুর হোসেন একটা সংযোজন।
আসাদ, সালাম, জব্বার রফিক থেকে শুরু করে নুর হোসেন পর্যন্ত ধারাবাহিক সংগ্রামী নামগুলো বাংলাদেশের গনতন্ত্রের আকাশে কয়েকটা উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তার মধ্যে নুর হোসেনকে দেখি এমন একটা নক্ষত্র যা গনতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে পথ নির্দেশ করবে। বাতিঘর যেমন গভীর সমুদ্রে জাহাজগুলোকে সঠিক পথ দেখায় - তেমনি নুর হোসেন গনতন্ত্রকে ভুল ভ্রান্তি থেকে বেড়িয়ে সঠিক পথে চলতে পথ দেখাবে নুর হোসেন।
নুর হোসেন চির জাগ্রত থাকুক বাংলাদেশের গনতন্ত্রের বাতিঘর হিসাবে।
১. ১০ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৩৩ ০