somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিরে দেখা এক জন্ম কথা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফিরে দেখা---৩৪,৩৫


৩৬
এটা ইন্ডিয়া। হউক নদীর এপার ওপার—তবু তারা এখন ইন্ডিয়ায়। অনেকদিন পর না-দেখা ছেলেদের দেখা পাবেন সুপ্রভা। ভোরবেলা তার মুখে তাই একটু রক্ত সঞ্চালনের আভা ছড়িয়েছে। কন্ঠস্বর স্বাভাবিক। তাদের এই এলং বাজারে নামিয়ে দিয়ে মনসুররা ফিরে গেছে। ভাড়ার অতিরিক্ত আরো দশটাকা মনসুরের হাতে দিয়ে দিলেন রবীন্দ্রবাবু। বলে দিলেন পৌঁছেই বাড়িতে এবং সালাউদ্দিনকে যেন তাদের পৌঁছানোর খবরটা দিয়ে দেয় । নৌকা থেকে নামার সময় রবীন্দ্রবাবু ওনার অভ্যস্ত পোশাক ধুতি আর পাঞ্জাবি পরে নিলেন। পা’এ দিলেন অনেকদিনের অব্যবহৃত একজোড়া পাম্পশ্যু। মালপত্র সমেত বাজারের এককোনে দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে সুপ্রভা দাঁড়িয়ে। এত সকালে বাজার তখনও খোলেনি। রবীন্দ্র বাবু একটু খোঁজ খবর করতে গেলেন এদিক ওদিক। স্থানীয় মানুষ এখানে চোখে পড়ছেনা। তবে যা চোখে পড়ছে সবইতো ওপারের মানুষ দেখি--চারদিকে তাকিয়ে সুপ্রভা অবাক হয়ে গেলেন যে উঁচু নিচু রাস্তার বাঁকে বাঁকে ছোট ছোট ঘর—তাতে প্রচুর মানুষ। সকালেই ঘাটে নৌকা আর মানুষের ভিড় জমছে—মানুষ পারাপারও হচ্ছে। ওপারের পাহাড়টা বেশ উঁচু। তারা যেখানে দাঁড়িয়ে সেটা ততোটা নয়। হঠাৎ একটু ফ্যাস ফ্যাসে চেনা গলায় ‘কাকিমা’ডাক শুনে চমকে সামনে তাকিয়ে দেখেন হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে আমিত্তিপুরের আব্দুল গনি। আমিত্তিপুরের যে ক’জন নিখোঁজ ছিল গনি তাদের অন্যতম। কাছে আসতে আসতে গনি শুধু বললো---তাইলে আইলেন শেষপর্যন্ত!

কিছুক্ষণ পর রবীন্দ্রবাবু ফিরে এদিক ওদিক তাকিয়ে যখন সবাইকে খুঁজতে লাগলেন তখনই শুনলেন—কাহা এইদিকে এইদিকে--। দেখলেন একটি চা’এর দোকানের সামনে সকলেই বসা। সঙ্গে গনি, তার একসময়কার ছাত্র। শালপাতায় করে বাচ্চারা পুরি খাচ্ছে। গনিই এনে দিয়েছে তাদের ক্যাম্প থেকে। এতক্ষণ ঘুরে কোন দিশা না পেয়ে রবীন্দ্রবাবু যখন একটু চিন্তিত তখনই গনির সাক্ষাতে বহুকাল পর রবীন্দ্রবাবুর মুখে এক চিলতে হাসি দেখা গেল। এতক্ষণে দোকানদার চা তৈরি করে ফেলেছে। তারা তিনজনই নানাবিধ কথার সঙ্গে চা বিস্কুট খেতে লাগলেন।

গনি আমিত্তিপুরের খবর নিল। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সকলের কথা জিজ্ঞেস করলো। আকবর আলির কথা শুনে কষ্ট পেল। ঢাকায় অবস্থান কালে গনি এই আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে জড়িয়ে পড়ে। একসময় ঢাকায় থাকা বিপজ্জনক হয়ে উঠলে কিছুদিনের অন্য আমিত্তিপুরে আত্মগোপন করেছিল। তখন আমিত্তিপুর বা এই অঞ্চলে এই আন্দোলন সম্পর্কে কেউ তেমন ওয়াকিবহাল ছিল না। বিশেষ প্রয়োজনে গনি একসময় আমিত্তিপুর ত্যাগ করে। তার বাড়ির মানুষেরা কেউ কেউ থাকলেও মা বাবা ভাইবোনদের সে আমিত্তিপুর ত্যাগ করার পরপরই অন্যত্র সরিয়ে দেয়। ইস্কুলের উঁচু ক্লাসে পড়ার সময় থেকেই গনি গ্রাম ছাড়া। ফলে উপদ্রুত সময়ে তার খোঁজ কেউ তেমন নেয়নি। তবে নিজের কাজের সুত্রে সে আমিত্তিপুর বা শ্রীমন্তপুরের খবর ঠিকই রাখতো। আকবর আলির খবরে ব্যাথিত হলেও তার ঘটনা সে সবটাই প্রায় জানে। কিন্তু কোন কিছুই প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয় যতক্ষণ না বিজয় সুনিশ্চিত হচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ বেস ক্যাম্প এই এলংবাজারে। যার দায়িত্বে গনি এসেছে কিছুদিন আগে। এ-সবকিছু রবীন্দ্র বাবুর জানার কথা নয়। তবু তিনি ছেলেটির সংস্পর্শে এসে কিছুটা অবাক বোধ করলেন। সেদিনকার ছোট্ট দুরন্ত ছেলেটি কত বড় কাজের দায়িত্ব নিয়ে আছে! বর্ডার পার হওয়ার পর দুশ্চিন্তার বোঝাটা গনি অনেকটাই হাল্কা করে দিল। বলল—কাহা, এই জায়গাটায় থাকা যদিও নিরাপদ নয় আপনাদের পক্ষে—তবে আজকের দিনডা থাহেন—কাইল আফনেরারে বাঘমারা পাঠায়া দিব—ঐ খানেই শরনার্থীরা সব থাহে। একদিনের জন্য গনি একটা ঘরের বন্দোবস্ত করে দিল। অল্পবয়সী দুটো ছেলেকে পাঠিয়ে মালপত্র টানাটানি এবং গোছগাছও করিয়ে দিল। গনির হেফাজতে অনেকদিন পর একটা নিশিন্ত আশ্রয় পেয়ে রবীন্দ্রবাবু যেন কিছুটা উজ্জিবীত হলেন। ঠিক হলো যে কাল বাঘমারা পৌঁছে বড় ছেলেকে একটা টেলিগ্রাম করবেন তাদের আসার সংবাদ দিয়ে।

পরদিন সকালে বাঘমারা পৌঁছেও তাদের বাঘমারার অনেকটা বাইরে থেকে যেতে হলো। ভয়ানক ভীড়। তাদের শরীক বা গ্রামের লোকের সন্ধান প্রথম দিন পেলেনই না। এখানেও গনির পরোক্ষ সাহায্যে পাহাড়ের গায়ে একটা ঘর কোন মতে পেলেন। এসব ঘর প্রথম দিকে স্থানীয় লোকেরা ভাড়া দেয়ার জন্য তৈরি করে ছিল। সরকারি ব্যবস্থার চেয়ে কিছুটা ভাল। কেউ বেশিদিন এই সব ঘরে থাকে না। কেউ নিজের লোকজনের কাছে দেশের ভেতরের দিকে চলে যায়। কেউ চলে যায় সরকারী আশ্রয় শিবিরে। ঘরে ঢুকে প্রথম কাজ টেলিগ্রাম করা । তার জন্য প্রায় একটা বেলা রবীন্দ্রবাবুর ঘোরাঘুরি করে কেটে গেল। শেষে একটা ডাকঘর খুঁজে পেয়ে টেলিগ্রাম করলেন এবং একটা সংক্ষিপ্ত চিঠিও লিখলেন। ঘরে ফিরে দেখলেন সুপ্রভা কিছুটা গুছিয়ে ফেলেছেন। সামান্য রান্নাও করে ফেলেছেন। যে কাজটা বাকি রয়ে গেল তা হলো শরণার্থী কেন্দ্রে গিয়ে নাম লেখানো এবং রেশন তোলা। আজ আর তা সম্ভব না। কালকের জন্য সেই সব কাজ রেখে দিলেন। সন্ধ্যা থেকে এখানেও শোনা যাচ্ছে কামান গর্জনের নির্ঘোষ। ঘরে কেরোসিন না থাকার কারনে তারা ঘরে আর বাতি জ্বালালেননা। অন্ধকার হওয়ার পর তারা শুয়েও পড়লেন।
৩৭
জীবনে এই প্রথম মা বাবা ছাড়া এই বাড়িতে নিয়তিদের ভোর হলো। সকালের রোদে তারা একটু একটু করে টের পেল বেঁচে থাকা। মা নেই, নিয়তির আর বসে থেকে আলস্য করার উপায় নেই। যা হোক কিছু সকালের খাওয়া,--কী হবে---ভাবতে ভাবতে সে রান্না ঘরের দরজা খুললো। এতোটা শূন্য দেখাবে সবকিছু আগে মনে হয়নি। তাই প্রতি ক্ষণেই নিয়তি মনে মনে তার মাকে দেখছে । এক্ষণে রান্না ঘরে উনুনের পাশেও সে তাই দেখছে—তার জায়গায় সে নেই, যেন মা বসে বসে সকালের ভাত রান্না করছে। ঘাট থেকে মুখ ধুয়ে ফিরে এসে দিবাকর রান্না ঘরে উঁকি দিতে দিতে নিয়তির উদ্দেশ্যে বললো—ভাত অইলে দিয়া দিও আমারেও—আমিত্তিপুর যাওন লাগবো—সালাউদ্দিন চাচা ডাকছে, কী কথা আছে যেন---। মিরাজ আলিকে দিয়ে খবর পাঠিয়েছে। মিরাজ আলি আর তার ভাই সুরজ আলি, এই দুই জন হলো রবীন্দ্রবাবুর আধিয়ার। এখন আমন ধান কাটার সময় হয়ে গেছে। দেশজুড়ে অস্থিরতার কারণে চাষবাস এবার খুব ভালোভাবে করা যায়নি। তবে সবাই বলছে উপরওলার দয়ায় ফসল খুব ভালো হয়েছে।

ঘরে বাইরে সালাউদ্দিনের ব্যস্ততার শেষ নেই। আপাতত তার বাড়িতে সে নিজে এবং তার স্ত্রী । সঙ্গে অবশ্য কয়েকজন কাজের মানুষ আছে। ধান কাটার এই মরসুমে বাড়ির মানুষের ব্যস্ততা একটু বেশিই থাকে। তার মধ্যে রবীন্দ্র’র জমি জমার দায়িত্ব রয়েছে তার উপর। এখন নিজের জমির ধান কাটা চলছে। ক’দিনের মধ্যেই রবীন্দ্র’র জমিতে হাত দেবে। ওর আধিয়াররা আমিত্তিপুরেরই দুইজন। সকালে ওদের ডাকিয়ে কথাবার্তা বললো। দিবাকরকে ডেকে পাঠালো। শ্রীমন্তপুরে রবীন্দ্র’র অন্য শরিকেরা সবাই যার যার জমি জমার বন্দোবস্তো করে গেছে আগেই। সেই অনুযায়ী এখন কাজও হচ্ছে। এদিকে দেশের অবস্থা মোটেই খুব অনুকুল নয়। যা খবরাখবর সালাউদ্দিন রাখে তাতে মিলিটারিদের প্রত্যাঘাত যে কোন সময় হতে পারে। অবশ্য পাল্টা প্রস্তুতিও চলছে। এসব অত্যন্ত গোপনীয় ব্যাপার। দিবাকর এলে ফসল কাটার ব্যাপারে বললো—বাবা ধান কাটার সময় তোমারত মাঝে মইধ্যে এই বর একটু আওন লাগব—এই একটু দেহাশুনা আরকি—মাড়াইয়ের কাজ আমার এই বাইর উডানেই অইবো—ইত্যাদি। জীবনে দিবাকর যদিও এসব কাজ করেনি, তবু সালাউদ্দিন চাচার কথায় তাকে হাজিরা দিতে হবে। কারণ শ্বশুরের অবর্তমানে তিনিই এখন অভিবাবক। কথাবার্তার শেষে দিবাকরকে সালাউদ্দিন কিছুটা সাহস জোগালেন। বললেন—আর বেশিদিন মিলিটারিরা চালাইতে পারতনা—আমরার গ্রামে আর অত ভয় পাওয়ার কিছু নাই। যে কোন বিপদে আগে খবর আসব—চিন্তা কইরনা।

সকালের খাওয়া দাওয়ার পর এঁটো বাসনও ঘরেই ছিল। এই শরীর নিয়ে বাসন মাজার জন্য নিয়তি ঘাটে যাবে কি যাবে না যখন ভাবছে তখনই সাবিত্রীর মা এসে পড়ল। আগেই কথা হয়েছিল সুপ্রভার সঙ্গে। যতদিন দরকার সে থাকবে । মেয়ের দেখাশোনা, প্রয়োজনে রান্না করা এবং এছাড়াও যাবতীয় কাজ করবে। সারাদিন থেকে সন্ধ্যের পর রাতের খাবার খেয়ে অথবা সঙ্গে নিয়ে সে বাড়ি যাবে। সাবিত্রীর একজন অভিজ্ঞ দাইও। নিয়তির অনেক ভরসা। শুনেছে তার জন্মও নাকি ওনার হাতেই। এই বাড়ির কাজ করে সাবিত্রী ভাল পায়। রাতে এখানে থাকতে পারলে ভাল হতো, কিন্তু নিজের ঘরটাতে রাতে গিয়ে না শুতে পারলে তার ভাল লাগে না। একা থাকতে তার ভয় লাগে না। এ-জন্য সাহসিনী হিসেবে গ্রামে তার খুব নাম ডাক। গ্রামের লোকের সঙ্গেই তার অকাল-বিধবা মেয়েকে দুটো বাচ্চাসহ সে পাঠিয়ে দিয়েছে বর্ডারের ঐ পারে । খবর পেয়েছে তারা বাঘমারা ক্যাম্পে আছে। লোকের মুখে যা শোনা যাচ্ছিল তাতে নিজেও চাইছিলনা মেয়ে এখানে থাকুক। কখন কী হয়--এমনিতেই পুরুষমানুষহীন বাড়ি তাদের— মেয়ে নিয়ে কত ঝামেলা তার--।

আমিত্তিপুর থেকে ফেরার পথে দিবাকরের মনে একটা নতুন অনুভুতি জন্মালো। একবার চলে গিয়ে আবার ফিরে আসার পর এই শ্রীমন্তপুর তার কাছে যেন অনেক বেশি কাছের মনে হচ্ছে। একসময় সে চেয়েই ছিল এখানেই থেকে যাওয়ার। ঘটনা পরম্পরায় সেটাই হলো। যদিও মাথার উপর এখনও বিপদ, এই অবস্থায় সংসার নিয়ে বেঁচে থাকার পুরো দায়িত্বও এখন তার হাতে। পারুক না পারুক ঘরের এতগুলো মুখের খোরাকত তাকেই জোগাড় করে রাখতে হবে। ঘরে ধান বা চাল কী পরিমান আছে তার খোঁজ এখন তাকেই রাখতে হবে। জমির ব্যাপার না হয় কিছুদিন সালাউদ্দিন চাচাই রাখবে। লক্ষ্য রাখতে হবে নিয়তির দিকেও। এসব ভাবতে ভাবতে সে পুকুর পাড়ের কাঁঠাল গাছের নিচে গিয়ে একটা বিড়ি ধরিয়ে বসলো। ভাবছে নিয়তি সুস্থ হয়ে গেলে সে একাই একশ। এসব সাংসারিক বিষয়ে সে যথেষ্ট দক্ষ। সালাউদ্দিনের আশ্বাসে আজ তার মন একটু উৎফুল্ল। ইচ্ছে করছে বড়শি বা জাল দিয়ে মাছ মারার। পর পর নিরামিষ খাওয়া খুব যন্ত্রণার বিষয়।

নির্জন জায়গায় হঠাৎ কারোর গলা আওয়াজ শুনলে একটু চমকে ওঠা আস্বাভাবিক নয়। দিবাকরেরও তাই হলো । পাশের বাড়িতে এসে ওঠা আমিত্তিপুরের পরিবারটির এক ছেলে, নাম বোধহয় করিম, হাতে একটা তিনকোনা জাল নিয়ে পুকুর পাড়ে এসে উপস্থিত। তারই গলা শুনে দিবাকর কিছুটা চমকে ওঠে।–কী দুলাভাই একলা একলা কিতা করুইন--। বলে সে কোন উত্তরের অপেক্ষা না করে জলেও নেমে পড়ে।

পাশাপাশি শরিকদের বাড়িগুলোতে ক’দিন হলো আমিত্তিপুরের কয়েকটা পরিবার এসে উঠেছে। এইসময় নাকি তাদের কারো কারো ঘর সারাবে বা নতুন করে বাঁধবে। সঙ্গে ছোট বাচ্চাকাচ্চাও আছে বেশ কিছু। সুবিধে হয়েছে নিয়তির ছেলেদের। তারা খেলার সঙ্গী পেয়ে খুশি। নিয়তি এদের এই বাড়ি ঘরে এসে ওঠার ব্যাপারে কোন দিক চিন্তা না করে বরং খুশিই হলো। প্রতিবেশী পাওয়া এখন শ্রীমন্তপুরে অনেক কিছু পাওয়া। মানুষের অবর্তমানে বাড়ি ঘরের শূন্যতা যেন আগাছার জঙ্গল দিয়ে ভরাট হচ্ছিলো। এরা এসে প্রথমেই বেশ কিছু পরিষ্কার করে নিয়েছে। নিয়তির দুটো কথা বলার মত বা শোনার মত লোক পেয়ে খালি বাড়ির চাপটা এখন সহ্য করতে পারছে।

দিবাকর আমিত্তিপুর থেকে পুকুর পাড় হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে কিছুক্ষণ আগে। কিন্তু এখনও ঠিক করতে পারছে না মাছ মারতে যাবে কি না। নিয়তির সঙ্গেও এনিয়ে কথা হলো। নিয়তির মত খুব স্পষ্ট। যাওয়ার আগে কাকারা ঘরবাড়ি জমিজমা সবই তাদের হেফাজতে রেখে গেছে—তারা পুকুরে মাছ মারলে কার কী বলার আছে।–তুমি এইতা নিয়া ভাইব্য না। বিষয় আশয় সম্বন্ধে অনভিজ্ঞ দিবাকরের ভাবনা হচ্ছিলো যে কোনদিন কাকারা ফিরে এসে যদি এই নিয়ে কথা শোনায়! নিয়তির কথায় সে আশ্বস্থ হলো। এর মধ্যেই আবার শোনা গেল করিমের গলা, উঠানে দাঁড়িয়ে আছে হাতে একটা মাঝারি আকারের রুই মাছ নিয়ে—আফা কই--এইডা রাখুইন—দুলাভাইয়ের লাইগ্যা আনছি—বলে হাসতে হাসতে সে রান্না ঘরের বারান্দায় মাছটা নামিয়ে দিয়ে গেল ।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এলেম কি? এ বিষয়ে বান্দার দায়িত্ব কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:১০




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প- ৯৪

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০১



নাম তার তারা বিবি।
বয়স ৭৭ বছর। বয়সের ভাড়ে কিছুটা কুঁজো হয়ে গেছেন। সামনের পাটির দাঁত গুলো নেই। খেতে তার বেগ পেতে হয়। আমি তাকে খালা বলে ডাকি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়ি বুনো ফল-রক্তগোটা ভক্ষন

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫

পাহাড়ি বুনো ফল রক্তগোটা এর রয়েছে বিভিন্ন নাম-রক্তগোটা, রক্ত ফল, রক্তআঙ্গুরী, রক্তফোটা, রক্তজবা পাহাড়িরা আবার বিভিন্ন নামে ডাকে। এর ইংরেজী নাম ব্লাড ফ্রুট।











প্রতি বছর... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেষমেষ লুইচ্চা হামিদও পালিয়ে গেলো!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩



৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় ফেসিস্ট হাসিনা ও তার দল আম্লিগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে দলটির চোরচোট্টা নেতাকর্মীরা। অনেক চোরচোট্টা দেশ ছাড়লেও এতদিন দেশেই ছিলো আম্লিগ সরকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত আইসি ৮১৪ বিমান অপহরণের সঙ্গে, জইশ জঙ্গি মাসুদের ভাই রউফ আজ়হার:

লিখেছেন ঊণকৌটী, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১

অপারেশন সিঁদুরে নিহত আইসি ৮১৪ বিমান অপহরণের সঙ্গে যুক্ত, জইশ জঙ্গি মাসুদের ভাই রউফ আজ়হার: ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর আব্দুল-সহ পাঁচ জঙ্গি আইসি-৮১৪ বিমান অপহরণ করেছিল। মাসুদ আজ়হার আলভি-সহ তিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×